সুন্দরবন বিধ্বংসী রাম্পাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিবছর ৯.৫ লাখ টন ছাই, ৭৯ লাখ টন কার্বনডাই অক্সাইড, ৫১,৮৩০ টন সালফারডাই অক্সাইড এবং ৫৮ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হবে। যা জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
আবার এইতো, গেলো মাসে পশুর নদীতে ৭৭৫ টন কয়লা ভর্তি কার্গো ডুবিতে নদীর তলানিতে কয়লা জমা পরেছে। ডুবে যাওয়া কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করতেই পাঁচ দিন সময় লেগেছে (কাজের অগ্রগতিও কারো অজানা নয়।) তাতেই কুমির আর ডলফিনের প্রজনন ও জীবন চক্র হুমকির মুখে। তো সুন্দরবন বিধ্বংসী সর্বনাশা রাম্পাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১০ হাজার টন কয়লা নিয়ে যেতে হবে পশুর নদী দিয়ে, তখন কার্গো ডুবলে পশুর নদীর অবস্থা কি হবে ভেবেছেন কি? বুড়িগঙ্গা হয়ে যাবে পশুর নদী।
এই পশুর নদী ধ্বংস করে, মায়া হরিণ ধ্বংস করে, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সর্বগ্রাসী সর্বনাশা প্রকল্প চাওয়া মূর্খ ছাড়া আর কাজ হতে পারে? রাষ্ট্রের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো দরকার, চিনের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশের অঞ্চলে লাঙস এবং কোলন ক্যান্সারের হার একটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের কোন একটা অঞ্চলে (ঠিক নামটা মনে পড়ছে না এখন) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পড়ে পরিবেশের এতটাই বিপর্যয় ঘটেছে যে, উক্ত অঞ্চলে এখন আর কৃষি ফসল জন্মায় না। ওখানকার পানির রং ও স্বাভাবিক নয় এখন আর।
২০১৬ সালে চীনে ১০০টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এনার্জি রেগুলেটর। যা কিনা চীনের ১১টি প্রদেশে প্রায় ১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। তাও আমার আমাদের রাষ্ট্র ঐ সর্বনাশা প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা নাকি অন্য রাষ্ট্রের বাতিল প্রজেক্ট।
এখন প্রটেস্ট করতে গেলেই, বলতে গেলেই উন্নয়ন বিরোধী ট্যাগ দিতে সময় নেয় না রাষ্ট্র যন্ত্র। হয়ে যাও ভারতের কয়লার কন্সিউমার!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬