১১৯ সন্তানের জনকের কীর্তি
প্রাচীন মিশরের ফারাওগনের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন ফারাও দ্বিতীয় র্যামেসিস-১১। ফারাও র্যামেসিসের সন্তান সংখ্যা ছিলো মোট ১১৯ জন। এর মধ্যে ৬০ জন পুত্র এবং ৫৯ জন কন্যা।
তিনি তাঁর প্রত্যেকটি সন্তানকেই সমানভাবে ভালোবাসতেন, অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তিনি যাতে তাঁর সবছেলে মেয়েকে চোখের সামনে একসাথে দেখতে পান তার জন্য করেছিলেন এক বিচিত্র কাজ। তিনি উপাস্য দেব্তা এ্যাবিডাস এর মন্দিরের সামনের দেয়ালে তাঁর সব ছেলেমেয়েরই মূর্তি খোদাই করে রেখেছিলেন, যাতে তিনি প্রার্থনার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করার সময় প্রতিদিন সন্তানদের মুখ দেখতে পান।
মধুভর্তি ড্রামে আলেকজান্ডারের মৃতদেহ
ভারত অভিজান শেষে স্বদেশে ফেরার পথেই দিগ্ববিজয়ী আলেকজান্ডার মারা যান খৃষ্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে। মারা যাবার পর তাঁর মৃতদেহকে মস্তবড় একটি মধুভর্তি ড্রামে ডুবিয়ে রাখা হয়। কারন মধুতে ডুবানো মৃতদেহে পচন ধরেনা। এভাবেই সংরক্ষন করে আলেকজান্ডারের মৃতদেহ গ্রীসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বদেশের মাটিতে সমাধিস্হ করা হয়।
ভ্রাতৃভক্ত সম্রাট
মিশরের রাজা দ্বিতীয় টলেমী সিংহাসনে আসীন ছিলেন ১৮৫ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ২৪৬ খৃষ্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত। তার ঐতিহাসিক নাম ছিলো ফিলাডেফাস, যার অর্থ হলো-ভ্রাতৃভক্ত ।
তবে মজার ঘটনা হলো, তিনি এমনই ভ্রাতৃভক্ত ছিলেন যে নিজের হাতেই তার দুই ভাইকে খুন করেছিলেন। দেখিয়েছিলেন ভ্রাতৃভক্তির চরম নির্দশন।
পিতৃভক্ত সম্রাট
মিশরের এমনি বিচিত্র নামের আর এক সম্রাট ছিলেন চতুর্থ টলেমী। তিনি রাজত্ব করেছিলেন খৃষ্ট পূর্ব ২২১ থেকে ২০৩ অব্দ পযর্ন্ত। চতুর্থ টলেমীরও একটি ঐতিহাসিক নাম ছিলো- ফিলোপাটোর, যার অর্থ পিতৃভক্ত। এখানেও মজার ঘটনা হলো চতুর্থ টলেমীও তার পিতাকে হত্যা করেছিলেন নিজেরই হাতে।