""ধর্ষণের মামলা সাজাতে দেবরের সাথে রাত কাটাতে বাধ্য করে স্বামী, শ্বাশুরি "/#)
লজ্জা লজ্জা লজ্জা
একটা ভালো আইনকে এভাবে কালো আইনে পরিনত করে যত্রতত্র অপব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুরে মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণের ঘটনা এবং মামলা সাজানো বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাককর্মী। ফরিদ ও সুমনকে ফাঁসানোর জন্য তার ফুপু শাশুড়ি পরিকল্পিতভাবে এ ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এটা প্রমাণ করার জন্য প্রথমে তাকে স্বামী ফুফু শ্বাশুরির উপস্হিতিতে এক দুঃসম্পর্কের দেবরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।একথা ফাঁস হলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ওই পোশাককর্মী।
এদিকে জোরপূর্বক ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই নারী পোশাককর্মী এখন তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের হেফাজতে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী পোশাককর্মী জানান, ফুপু শাশুড়ি পারুলের এক আত্মীয় জয়নালকে ল্যাপটপ চুরির মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় ফরিদ ও সুমন। এতে তার ফুফু শ্বাশুরি ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্ষণের এ নাটক সাজান।
এদিকে ভুক্তভোগী নারী পোশাককর্মীর বক্তব্য এবং তার ফুপু শাশুড়ির দায়ের করা মামলার এজাহারের তথ্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। মামলাটি করা হয় ৩ জুলাই। দেরি করে মামলা দায়েরের কারণ হিসেবে ফুফু শ্বাশুরি উল্লেখ করেন, চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে।
ফুফু শ্বাশুরির দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,"ঘটনার দিন ১ জুলাই বিকেল ৫টায় ওই নারী তার এক বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে যান। রাত ১০টার দিকে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর মডেল থানাধীন হাউজিং রিসার্স অফিসের পকেট গেইট এলাকা থেকে ফরিদ ও সুমন তাকে কালো রঙের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। গাড়িতে ওই দুইজন ছাড়া আরও অজ্ঞাত দুইজন ছিল। এরপর চলন্ত অবস্থায় প্রথমে ফরিদ এবং পরে সুমন তাকে ধর্ষণ করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাউজিং রিসার্স অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে যায় তারা।"
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, "বাড়িতে এসে অসুস্থতা এবং ঘটনার কথা বললে পরদিন সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডাক্তার তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন।"
এদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিক বলেন, 'শাশুড়ি পারুল এবং তার স্বামী তছির আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তারা বলে, তুই আমাদের কথামতো কাজ না করলে তোকে মেরে ফেলব। তাদের পরিকল্পনামতো ২ জুলাই আমার এক দুঃসম্পর্কের দেবরসহ আমাকে শ্যামলীর একটি হোটেলে নিয়ে যায় তছির। এরপর ওই দেবরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক শেষে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওই দেবর চলে যায়।'
তিনি বলেন, 'আমার স্বামী সাভারে থাকেন। তার সঙ্গে তিনমাস ধরে কোনো যোগাযোগ নেই আমার। থাকি ফুপু শাশুড়ির সঙ্গে। তিনি আমার ওপর নানা অত্যাচার করেন। গত কোরবানির ঈদের আগে আমি ঢাকায় আসি। এরপর গার্মেন্টসে চাকরি নেই। সেখান থেকে আমি সাত হাজার টাকার চেয়ে কিছু কম বেতন পাই। সব টাকা ফুফু নিয়ে নেন।' - See more at: Click This Link