এই কি করুন হাল এক প্রবাসী ভাইয়ের ?
যে প্রবাসী ভাইরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই দেশের অর্থনীতির চাকাকে রেখেছে সচল বিনিময়ে আমরা তাদের কি দিচ্ছি? বিমানবন্দর থেকে শুরু করে পরিবার সবখানেই প্রতারনা আর হয়রানি। সংবাদে আসা ভাইটির মত আরো হাজার হাজার প্রবাসী ভাই আজ এই দেশের মানুষেরর চাতুর্যের গ্যাড়াকলে পড়ে দিশেহারা। স্ত্রীর এতবড় প্রতারনার পরও হয়ত এই লম্প্রপট প্রতারক স্ত্রী উলটো নারী নির্যাতন মামলা অথবা যৌতুকের মিথ্যা মামলা দিয়ে আরো বহুদিন হয়রানি করে যাবে ভাগ্য বিরম্বিত হতভগ্য মানুষটিকে। দেশের বাইরে প্রবাসী ভাইদের সাথে কথা বললে জানা যায় তাদের কষ্ট আর প্রতারিত বা হয়রানি হবার অনেক চমকপ্রদ কাহিনী। অনেক প্রবাসী দেশে এসে আর ফিরে যেতে পারেনি এইসব নানা সাজানো মামলার ফাঁদে পড়ে,পরিনামে সেসব প্রবাসীর পরিবারগুলো পুনরায় ফিরে গিয়েছে দারিদ্র্যতার নির্মম যাঁতাকলে।যার ফলে কমেছে দেশের রেমিট্যান্স,অথচ এই প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত।
**প্রবাসীদের যাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁদে ফেলে বিদেশে কর্মস্থলে ফিরে যেতে আটকে ফেলা না যায় তার জন্য জরুরীভাবে আইন করা প্রয়োজন,অনেকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ছেলেটি যাতে আর উন্নতি করতে না পারে এরকম হিংসার বশীভুত হয়েও মিথ্যা মামলা সাজিয়ে থাকে কিন্তু মিথ্যা মামলা প্রমান হতে হতে সে প্রবাসী আর বিদেশে যেতে না পেরে করুন পরিনতি বরন করে।
** প্রবাসীর অর্থ,সম্পদ ও জানমাল রক্ষায় বিশেষ সুরক্ষা আইন কররা যেতে পারে যাতে কোন প্রবাসীর তার স্ত্রী বা পরিজন বা অন্য কেহ তার বিদেশ থাকার সুযোগে প্রতারনা বা আত্মসাত,চাঁদাবাজী,অপহরন বা অন্য কোন ব্ল্যাক্মেইলিং করে পার না পেতে পারে।
** প্রবাসীদের বিদেশ থেকে মামলা লড়ার ও হাজিরার,জিডি বা অন্যকোন আইনী সহায়তা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে,তা না হলে প্রবাসীরা বেশীদিন দেশে থেকে আইনগত ব্যাপারগুলো সুরাহা করতে পারে না বলে হয়রানির শিকার হয়।
নারী নির্যাতন দমনে বিশেষ আইন থাকতে পারলে প্রবাসী (বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী) নির্যাতন দমন আইন কেন থাকবে না?? যে দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ প্রবাসে থাকে ও নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেওরন করে সেই দেশে এমন একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী।
আশা করি সরকার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে বিবেচনা করবেন।
screenshot : Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯