এই হামলাকারী ব্যক্তিটি যদি মুসলিম হতেন, গোটা পৃথিবীর অবস্থাটা এতক্ষনে কি দাঁড়াতো?
এতবড় হত্যাযজ্ঞের পরেও মুসলিম বিশ্ব তো শান্তির পথেই আছে। তারা তো কোথাও পাল্টা কোনো আক্রমন কিংবা উদ্ধত কোনো আচরন করেনি।
ভেবে দেখুন, বিশ্বের অন্য ধর্মালম্বীরাও যখন জঙ্গী হয়ে উঠবে তখন গোটা পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে! পশ্চিমা বর্ণবাদী এবং মুসলিম বিদ্বেষী এসব খুনীদের তৈরি করেছে কারা? আন্তর্জাতিক বৈষম্য, পক্ষপাতিত্ব মানবতার জন্য ক্ষতিকর।
মসজিদে হামলা করতে হবে এবং টার্গেট করে কেবলমাত্র মুসলিমদেরকেই হত্যা করতে হবে -এই জ্ঞানটুকু যার পূর্ণমাত্রায় থাকে, তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলার যুক্তি কোথায়? এই আধুনিক যুগে এসেও আমরা, দিন দিন কেমন অস্থিরতার যুগে ফিরে যাচ্চছি!!
এইসব হামলায় ইউরোপ, আমেরিকার ক্ষমতাসীনদের মদদ আছে। তারা মানবতার গান গেয়ে গেয়ে শরনার্থী, অভিবাসীদের স্থান দেয়। ট্রাম্পের মত চুড়ান্ত রেসিস্ট একজন ব্যক্তির আমেরিকার মত দেশে ক্ষমতায় থাকা, এই বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষের জন্যই উদ্বেগজনক। ধর্মের উর্ধে উঠে এই বিশ্বের সকল মানুষ যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট না হয়- তবে শান্তি ফিরবে না। আর এই রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আমরা সবাই মানুষ... সবাই একই সষ্টার সৃষ্ট জীব। সবাই শান্তিতে থাকুক। তারপর ও ভাবতে হবে গভীর ভাবে, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে মানবতা আদৌ টিকে থাকবে কি না !
চলুন সকল মুসলিম অমুসলিম ও নওমুসলিম মিলে সুন্দর শান্তির একটি পৃথিবী গড়ি।