বিকেলে পরীকে নিয়ে হাঁটে গিয়েছিলাম।
বাসার কাছেই হাঁট। হেটে যেতে দশ মিনিট সময় লাগে। খিলগাও রেলওয়ে কলোনীর মাঠে হাঁট বসেছে। শুধু মাঠে না, আশেপাশে সব গুলো গলিতে গরু আর গরু। খুব জমজমাট অবস্থা। প্রচুর লোকজন। তবে গতকাল বৃষ্টি হওয়াতে প্যাঁক কাদায় মাখামাখি অবস্থা। পরী এত এত গরু দেখে অবাক! সে একটা গরু না নিয়ে বাসায় ফিরবে না এমন অবস্থা। পরীকে বুঝিয়ে বললাম, গরু অবশ্যই কিনবো। কিন্তু আজ না। বাসায় গরুর রাখার জায়গা নেই। তা ছাড়া তিন আগে গরু কিনলে কে দেখাশোনা করবে? মেয়ে বুঝলো এবং মানলো। তবে পরী একটা গরু পছন্দ করে রেখেছে। লাল রঙ। সেই গরুটা কিনতে হবে। পরী জোর করাতে বেপারিকে জিজ্ঞেস করলাম, গরুর দাম কত? বেপারী বলল, তিন লাখ টাকা। আমি বললাম, একটু কমিয়ে বলেন। বেপারী বলে আপনিই বলেন, কত হলে আপনার পোষায়? যাই হোক, বেপারীর কাছ থেকে জানলাম, সে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার এই হাঁটে এসেছে গরু বিক্রি করতে। সে মোটা ২২ টা গরু এনেছে। অলরেডি তার ১১ টা বিক্রি হয়ে গেছে। যাই হোক, আপনারা ছবি গুলো দেখুন।
১।
গরুর হাঁট ভরতি মানূষ জন। হাঁটা যায় না, এমন অবস্থা।
২।
চিংড়ি মাছের মাথা ভাজা। দশ টাকা পিছ। খুবই বাজে একটা খাবার। সম্ভবত চায়নিজ রেস্টুরেন্ট থেকে শুধু মাছের মাথা গুলো কম দামে কিনে আনে। বেসন মিশিয়ে ভাজে। মাথা গুলো পরিস্কারও করে না। ধোয়ও না। হাঁটে এই বাজে খাবারটা দেদারছে বিক্রি করছে।
৩। এই হাঁটের বেশির ভাগ গরু এসেছে, ফরিদপুর আর ঝিনাইদহ থেকে।
৪।
এই সাদা গরুটার দাম চাচ্ছে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা।
৫।
নিজের একটা ছবি দিলাম। ক্ষমা প্রার্থী।
৬।
একলোক হাঁটে চায়ে খাচ্ছে। তার গেঞ্জিতে লেখা---
৭।
হাঁটে ছোট, বড় সব রকমের গরু আছে। সর্বনিম্ম ৬০ হাজার টাকা।
৮।
হাঁটের গরু গুলো ভালো নেই। ছোট জায়গা। প্যাঁক কাদা, কেউ কেউ অকারনেই গরু গুলো লাঠি দিয়ে মারছে।
৯।
হাঁটের বাইতে বসেছে গরুর খাবারের দোকান। ঘাস, খড়, ভুসি সবই পাওয়া যাচ্ছে।
১০।
এই হাঁটে একটাও ইন্ডিয়ান গরু নেই। সব দেশী গরু।
১১।
পরী। পরী হাঁটে এসে মুগ্ধ।
১২।
কেউ সাদা গরু পছন্দ করে, কেউ কালো, কেউ লাল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৭