ঢাকা শহরটা বেশ অদ্ভুত!
প্রতিদিন অদ্ভুত কত কিছু যে চোখে পড়ে। বেশ অবাক হই আমি। আজ অবাক হওয়া দুই তিনটা ঘটনা বলল। গতকাল হাতিরঝিলের ঘটনা। এক মেয়ে। বোরকা পড়া। সে হেলপারকে বলছে- আমি নামবো। নামবো। হেলপার বলছে, স্টপেজ ছাড়া নামাবো না। মেয়ে বলছে আমি নামবোই। হেলপার হাত দিয়ে দরজা আটকে রেখেছে। দুইজন দস্তাদস্তি করছে। বাসের যাত্রীরা কেই বোরকা পড়া মেয়ের পক্ষে, কেউ বাসের হেলপারের পক্ষে। বাস বেশ স্প্রীডেই চলছে। বোরকা পড়া মেয়েটি হেলপারের হাতের ফাঁক দিয়ে ধুম করে লাফ দিলো চলন্ত বাস থেকে। সব মিলিয়ে ত্রিশ সেকেন্ডের ঘটনা।
এক মেয়ে তার প্রেমিকের সাথে রাগ করে নিজের হাত দেয়ালের সাথে বাড়ি মারছে। ছেলেটা বলছে প্লীজ রাস্তার মধ্যে এমন করো না। সবাই তাকিয়ে আছে। কিন্তু মেয়েটা সমানে খুব জোরে জোরে নিজের হাত দেয়ালের সাথে ধুমধাম করে আঘাত করেই যাচ্ছে। শেষমেষ ছেলেটা রাগ করে মেয়েটাকে একা রেখেই চলে গেল।
ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাচ্ছে। ট্রেন যখন গিলগাও রেল লাইনের সামনে এসেছে তখন একলোক চলতি ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে উলটে পড়ে গেছে। হাত পা ছিলে একাকার অবস্থা। ঐ লোকটা যদি কমলাপুর নামতো তাহলে এরকম ব্যাথা পেত না। গিলগা থেকে কমলাপুরের দূরত্ব বেশি না। হেঁটে গেলে দশ মিনিট লাগে। চলতি ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কি ব্যথাটাই না পেল।
১।
সবাই জানে রাস্তার শরবত খাওয়া ঠিক না। তবু প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রাস্তা থেকে শরবত কিনে খায়। চার পাঁচ রকমের ফল দিয়ে এই শরবত বানায়। আমি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম, শরবতে যে খেজুর দিচ্ছে তার মান ভালো না।
২।
পরীর পুতুল। সে যেখানে যাবে এই পুতুলটা সাথে করে নিয়ে যায়। এই পুতুলকে খাওয়ায়, গোছল করায় এবং ঘুম পাড়ায়।
৩।
ট্রাক্টর। ট্রাক্টর দেখে চাঁদগাজীর কথা মনে পড়ে গেল। এই ট্রাক্টর পেছনে চাকা লাগিয়ে গাড়ির মতো করা হয়েছে। তাতে মালামাল টানতে সুবিধা হয়।
৪।
পুরির মধ্যে ঘুমনি দিয়ে বিক্রি করছে। গ
৫।
পেঁয়াজ কেনার জন্য লম্বা লাইন। সরকার (টিসিবি) থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তবে একজনকে এক কেজির বেশি পেঁয়াজ দিচ্ছে না। ছবিটি মতিঝিল এলাকা থেকে তুলেছি।
৬।
এই ছবিটা গতকাল তুলেছি। বনানী থেকে। তখন সকাল সাড়ে এগারোটা বাজে।
৭।
রাস্তার পাশে এক চায়ের দোকানে সিগারেটের খালি প্যাকেট গুলো সাজিয়ে রেখেছে।
৮।
ভ্যানে করে ফল বিক্রি করছে। পুলিশের ঝামেলা নেই। ফুটপাতে বসলে পুলিশ ধাবড়ানি দেয়। পুলিশ ধাবড়ানি দেওয়ার আগে ফল বিক্রেতা গান গাইতে গাইতে ভ্যান চালিয়ে অন্য কোথাও চলে যায়।
৯।
মগবাজার ফ্লাইওভারের জ্যামে বসে আছি। তখন এই ছবিটি তুলি।
১০।
এই ছবিটি আমার বাসার জানালা দিয়ে তুলি। প্রতিদিন এই বাসাতে ছাদে পানির টাংকি ভরে উপচে পড়ে। পড়তেই থাকে। পানি পড়ে ছাদে পানি জমে যায়। তখন কাক এসে সেই পানিতে মনের আনন্দে গোসল করে।
১১।
ট্রান্সমিটার উঠাচ্ছে। নিচে তিনজন, উপরে দুই জন। খুব পরিশ্রমের কাজ।
১২।
রাস্তার পাশেই দোকান ওয়েল্ডিং এর দোকান। দোকানে ভেতরে জায়গা নেই। তাই রাস্তায় কাজ চলছে।
১৩।
মতিঝিল দাঁড়িয়ে ভাবছি কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯