ইদানিং মনে হচ্ছে আমি বার্ধক্যে চলে এসেছি।
সময় শেষের দিকে। সব কিছু থেকে অবসর নিয়েছি। এখন শুধু অবসর আর অবসর আমার। বই পড়া, মুভি দেখা আর ব্লগিং। এছাড়া দুনিয়াতে আমার আর অন্য কোনো কাজ নেই। কেউ যখন জিজ্ঞেস করের আপনি কি করেন? উত্তরে 'বেকার' এই কথাটা বলা অনেক কষ্টকর। তার চেয়ে অবসরে আছি এটা বলা ভালো। সে যাক গে, কিছু লেখার চেয়ে ছবি নিয়ে পোষ্ট দেওয়াই ভালো। শুধু ছবি থাকবে। তাতে কোনো নিজের কথা থাকবে না। মতামত থাকবে না। শুধু ছবি। তাতে কারো খারাপ লাগবে না। কেউ কঠিন করে মন্তব্য দিবে না। কটু কথাও বলবে না। নিশ্চিন্ত থাকা যায়। ছবি তোলাও মনে হয় হারাম। গান বাজনা হারাম, মদ হারাম। যাই হোক, অনেকদিন পর 'ঢাকার পথে পথে' ছবি ব্লগ দিলাম। ছবি গুলো দেখুন। তুচ্ছ এবং সাধারন সব ছবি। কোনো রকম চিন্তা ভাবনা করে এসব ছবি তুলি নি। হুটহাট করে তোলা। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১।
শীতের এক সকালে মতিঝিলে। চারিদিকে ভীষন কুয়াশা। জন্ম ম্রিতু বিয়ে কোনো কিছুই আটকায় না শীতে।
২।
নতুন বছর উৎযাপন। ফটকা আতশবাজি।
৩।
ফার্ম নয়। দেশী মূরগীর ডিম।
৪।
ঢাকা শহরের সমস্ত এলাকার রাস্তায় এখন পিঠার দোকান। চিতই আর ভাপা পিঠা। সাথে তিন রকমের ভরতা। ঢাকা শহরের মানুষ পিঠা পছন্দ করে। ঘরে বানায় না, তাই সবাই দোকান থেকে পিঠা কিনে।
৫।
এবার শীত মানুষকে কাপিয়ে দিয়েছে। গ্রামে নিশ্চয়ই আরো বেশি শীত।
৬।
রাস্তার পাশে ফুটপাতে বইয়ের দোকান। পল্টন। এই বইটা কিনলাম।
৭।
নাম তার রফিক। বয়স ৩৫ বছর। জন্মের পর থেকেই হাটতে পারে না। বসতেও পারে না। তার ভিক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। সব আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর হিসাব বুঝা সাধারন মানুষের কর্ম নয়।
৮।
বাচ্চা মেয়েটা পার্কে বেড়াতে আসে নি। উন্নয়নের মহাসড়কে ফুল বিক্রি করতে এসেছে। সময় সকাল ১১ টা।
৯।
খিলগাও। খুব ব্যস্ত রাস্তা। আজ একমাস ধরে রাস্তাটার এরকম হয়ে আছে। এরকম একটা নয় অনেক গুলো গর্ত। কবে স্লাব বসানো হবে কে জানে!
১০।
দুই দিন আগের তোলা ছবি। ভয়াবহ কুয়াশা।
১১।
শীতকালে গাছপালা মলিন হয়ে পড়ে। বর্ষা এলে তরতাজা হয়ে উঠবে।
১২।
পার্কে বসে পত্রিকা পড়ার মজাই অন্যরকম।
১৩।
রাস্তায় কাঠখড় পুড়িয়ে আগুন জ্বালানো হয়। প্রচন্ড শীতে আগুন পোহাতে ভালো লাগে। আমি আগুন পোহালাম। খুব ভালো লেগেছে।
১৪।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঢাকায় প্রতিদিনই মিটিং মিছিল দেখা যাচ্ছে। মিছিলে এত লোক হয় যে রাস্তায় জ্যাম লেগে যায়।
১৫।
পল্টন মোড়ে রাস্তায় একটি বইয়ের দোকান।
১৬।
হাতীর ঝিল। সকাল ১১ টা। দারুন কুয়াশা চারিদিকে।
১৭।
শতকরা ৭০ জন বাইকওয়ালা রাস্তায় বের হলে কোনো নিয়ম মানেন না। তাদের জন্য এই সিস্টেম করা হয়েছে।
১৮।
লইটা শূটকি। আমি মাঝে মাঝে খাই।
১৯।
ছবিটাতে কি চড়ুই পাখি বুঝা যাচ্ছে? আমাদের ছাদে প্রচুর চড়ুই আসে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩