১। যাদু আমার প্রিয় একটি বিষয়-
পানির উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, মানুষ কেটে দু'টুকরো করা অথবা শূন্যে ভেসে থাকা।
এই সব ম্যাজিক দেখে আমি মুগ্ধ!
দিনের পর দিন ভাবতাম- কিভাবে করে? কিভাবে সম্ভব?
এই সব ম্যাজিকের ট্রিকস গুলো জানার পর- আমি অবাক!! এত সহজ। কিন্তু কখনও তো আগে এই কৌশল গুলো ধরতে পারিনি।
২। “Bird By Bird” লিখেছেন অ্যান লেমট। ১৯৫৪ সালে জন্ম নেয়া মার্কিন লেখক অ্যান লেমটকে বলা হয়ে থাকে ‘জনতার লেখক’। গল্প এবং প্রবন্ধ দুই-ই তিনি সমান ভাবে লিখেছেন। তিনি একই সাথে একজন রাজনৈতিক কর্মী, বক্তা এবং শিক্ষক। মূলত সান ফ্রান্সিসকোতেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তার রচিত প্রবন্ধগুলো মূলত আত্মজৈবনিক।
নিজের রচনা সম্পর্কে এই লেখকের বক্তব্য হলো– আমি তা-ই লিখি যা লিখতে আমার ভাল লাগে; যাতে সত্য কথন থাকে, থাকে মানুষের জীবন ঘনিষ্ট হৃদয়ের অনুভূতি, আধ্যাত্মিক রূপান্তর, পরিবার, গোপনীয়তা, পাগলামী আর সর্বোপরি হাস্যরস।
অ্যান লেমট রচিত “বার্ড বাই বার্ড” প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। এটি এমন একটি বই যাকে লেখালেখি সংক্রন্ত বিষয়ে কোর্স বলা চলে।
৩। কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে লেখা, পুরষ্কার বা সংবর্ধনা নিয়ে যেমন রেষারেষি-ছোঁড়াছুঁড়ি থাকে- সাংবাদিকদের মধ্যেও এটা দেখা যায়-তবে কাজ নিয়ে এমন ঈর্ষা ভালো লাগে ...
৪। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদাগুলো (অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা) সুলভ মূল্যে পাওয়ার নিশ্চয়তা চাই।
৫। এই বাংলায় লেখক কবি'র সংখ্যা একটু বেশী। বেশী হওয়ারই কথা।
প্রাচীন কাল থেকেই এই উপমহাদেশে দারিদ্র কবলিত হলেও সাহিত্য গদ্য, পদ্য পুথি, পালা, খনার বচন, লালন বচন ইত্যাদিতে 'বাংলা অঞ্চল' বেশ এগিয়ে ছিল। ভাত খেতে না পারলেও গুটি গুটি পুথিকাব্যের ছন্দ মিলানোর চেষ্টা করতো।
কবি, সাহিত্যিকদের বিশাল ব্যক্তিত্ব থাকতে হয়। হৃদয়বান হতে হয়। তেলবাজি আর চাটুকারিতা পরিহার করতে হয়। চিন্তা, ভাবনা আর মন মানসিকতা আধুনিক হতে হয়। বেশির ভাগ লেখকগন তাদের বইয়ের প্রচারের জন্য ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন। ফেসবুক না থাকলে তাদের কি হতো? লেখকরা এটা কেন বুঝেন না- যারা সারাদিন ফেসবুকে থাকে তারা বই পড়ে না।
বই বের করাটা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে হ্যাংলার মত বই হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর উপস্থাপক পরিচয় দেয়ার এক মিনিটের মধ্যে লেখককে সরিয়ে দিয়ে আরেকজনকে ডাক দেয়। কথাও শেষ করতে দেয় না...! আমি একজন লেখককে আরো উঁচু স্থানে বসাতে চাই। লেখক মানুষ লেখে তার নিজের গরজে। নিজের নাম প্রচারের জন্যে, নিজেকে উঁচুতে তুলে ধরার মানস থেকেও কোনও কোনও মানুষ লেখে। এই দুই ধরনের লেখার মাঝে ফারাক অনেক।
হাতে একটা এসএলআর ক্যামেরা থাকলে যেমন ফোটোগ্রাফার হয়ে যায়, তেমনি ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ করলে যে কেউ এখন লেখক হতে পারে। কিন্তু সে সব বই কেহ পড়বে না। বইমেলার সময় বুঝা যায়- আমাদের ভালো লেখকও নাই, ভালো প্রকাশকও নাই। সবই গার্বেজ। আর সত্যি কথা বলতে কি, পাঠকও বই পড়ে না। অনুরোধে ঢেঁকি গেলার কারণে দু'একখানা বই কেনে মাত্র।
লেখক বাড়ছে লেখার মান বড়ছে না। তবে নতুন লেখকদের বই কিনে আমাদের উৎসাহ দেয়া উচিত। কিনতে না পারলেও তারা কষ্ট করে লিখেছে, যাই লিখুক এপ্রিশিয়েট করা উচিত।
৬। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের কাছে জেতা তরুণদের প্লট, ফ্ল্যাট আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবর্ধনা না দিয়ে বরঞ্চ পল্টন ময়দানে ভারতীয় বিএসএফের হাতে নিহত কৃষকের জানাজা আর রাষ্ট্রীয় সম্মান দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৪