আমেরিকানদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হলো- তাদের পুলিশ।
ট্রাম্প আমেরিকাকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা পেছনে পড়লে, বিশ্বের ক্ষতি হবে। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে- ট্রাম্প হয়তো আবারো ক্ষমতায় আসবে। ট্রাম্পের সৌভাগ্য ডেমোক্রেটদের ভালো কেন্ডিডেট নেই। ফাকা মাঠেই ট্রাম্প গোল দেবে। আর বাইডেন মোটামুটি ছিল, কিন্তু ছেলের স্কানডাল তার কাল হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে, আমেরিকার জনগনের বেকুবের মতো আচরণ করায়, ইউরোপ ও বিশ্বের অনেকেই হতবাক।
গত ২০ বছরের মধ্যে এইটাই সম্ভবত আমেরিকায় সবচেয়ে বড় কৃষনাঙ্গ আন্দোলন। করোনাতে সরকারের অসফলতা, ট্রাম্পের উল্টাপাল্টা বক্তব্য মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। এই আন্দোলন আসলে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের প্রকাশ। করোনার কারনে বেকার সমস্যা বেড়েছে। বেকার সমস্যা থেকে বিশৃঙ্খলা আর লুটপাট চলছে। হয়তো বেড়ে যাবে হত্যা, ছিনতাই। উন্নত দেশেরই এই হাল হলে- আমাদের মতোন গরিব দেশের কি অবস্থা হবে!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য- অতি দ্রুত বিতর্কিত পুলিশ অফিসারদের বিচার শুরু করার পাশাপাশি চিহ্নিত দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তার শুরু করা দরকার। অবশ্য বর্ণবাদী এই মনোভাব পরিবর্তন হওয়ার জন্য এই আন্দোলনটা কার্যকরি হওয়া দরকার। তবে দোকানপাট লুট। বাড়ি ঘরে আগুন দেয়াটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না। আমেরিকা নিজেদের উন্নত বলে যত যাই বলুক দিন শেষে তারা বহু যুগ পেছনেই পড়ে আছে। চিন্তার কথা হলো- আমেরিকার সমস্যা বিশ্বকে প্রভাবিত করে।
ভাবতে অবাক লাগে ১৭ বছরের একটি মেয়ে ভিডিও করে পুরো আমেরিকা ওলোট পালোট করে দিলো। আশা করি মেয়েটি নিরাপদে আছে। বিক্ষুব্ধ আমেরিকান বাঙ্গালিতে তফাৎ নেই। জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুরের ভিতরে অনেকে লুট করার সুযোগ নিচ্ছে। বিক্ষুদ্ধ জনতা একটা সময় কি নিয়ে আন্দোলন শুরু করছিলো সেটা ভুলে যায়।দোষীরা যখন গ্রেফতার হয়েছে। এখন বিক্ষোভকারীদের থেমে যাওয়া উচিত। দোকানপাট লুট করার ফলে প্রতিবাদের মুল উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়।
খবরে দেখলাম- অনেক ভবন ও গাড়ি বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে্। সত্যিই ভয়াবহ ভয়ংকর অবস্থা। ট্রাম্প হয়তো মনে মনে চাচ্ছে- মানুষের ক্ষোভ নিজের থেকে কমে আসবে। আমিরিকায় বর্ণবাদ জিনিসটা প্রকট হয়েছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে। ওবামার আমলে বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণেই ছিল। আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় মানে পৃথিবীতে সেই সাদাকালো বর্নবাদ এবং দাসত্বের গ্লোবালাইজেশন শুরু হবে। যে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাটু চাপা দিছে তার খবর আছে। এদিকে পুলিশের স্ত্রী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছে।
কতটা ক্ষোভ থাকলে মানুষ এভাবে ফেটে পড়ে, কারফিউ আর করোনার মত ভয়ংকর কিছুই মানছে না! ট্রাম্পের ব্যাক্তিত্ব থাকলে সে নিজে থেকেই পদত্যাগ করত। দুঃখজনক ব্যাপার আমেরিকার জনগন কেউ এখনও ট্রাম্পের পদত্যাগ চাচ্ছে না। গত বছর বাংলাদেশের স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছিলো নিরাপদ সড়কের দাবীতে, তখন আমাদের মতোণ দরিদ্র দেশে কোনো লুটপাত হয়নি। বাংলাদেশের প্রতিবাদী মানুষ একজোট হয়ে রাস্তার মাঝখানে বসে পদত্যাগ দাবি করে। লুটপাত করে না।
২০২০ সাল বড় অদ্ভুত একটি বছর। এই বছরটি মানব ইতিহাসে অনেক কারণে বিখ্যাত হয়ে থাকবে। মানবতার জয় হয়ে স্থায়ী সমাধান আসুক এই কামনা করছি। ১০০ বছর আগে আমেরিকা তথা পুরো বিশ্ব অনেক মানবিক ছিল। বিশ্ববাসীকে মানবিক হতে হবে। মানুষ মানবিক হলেই অনেক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যায়। পৃথিবীর একটা উত্তম পরিবর্তন দরকার। পৃথিবী থেকে হিংসা বিদ্বেষ, খুনাখুনি সব কিছু দূর হয়ে যাওয়া দরকার। বর্ণবাদ চিরতরে দূর হয়ে যাওয়া দরকার। মানুষে মানুষে সুন্দর সম্পর্ক থাকা দরকার। পৃথিবীটা আমাদের সবার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৮