এক দুষ্টলোকের জন্ম হয় সেপ্টেম্বর মাসে।
১৯৬৫ সাল। নাম তার কামরুজ্জামান। বর্তমানে উনি একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করছেন। অবশ্য এখন উনার চাকরি নাই। করোনা কালে আরো অনেকের সাথে তাকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। তবে উনি একটা সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। উহা মিরপুরে অবস্থিত। সম্ভবত মিরপুর- ১২ তে। ব্লগিং এবং অনলাইন নিউজপোর্টাল নিয়েই উনি এখন ভীষন ব্যস্ত থাকেন। তবে নিয়মিত বাজার করেন। কোন তরকারীর দাম কত উনি তা খুব ভালো জানেন।
জনাব, কামরুজামান সাহেব-
আমার শ্বশুর বাড়ির এলাকার লোক। মানে বরিশালের। উনার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের সাতলা গ্রামে। অবশ্য আমার শ্বশুর বাড়ি বাবুগঞ্জ। উনি লেখাপড়া করেছেন বানারীপাড়া চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজে। যাই হোক, উনি জীবনে কিছুই করতে পারেন নি। তাই উনি আমার উপর মানে এই প্রজন্মের উপর অনেক আস্থা রাখেন। তার ধারনা তরুনেরা এই বিশ্বের হাল ধরবে। উনি অতীত ইতিহাস জানতে এবং জানাতে ভালোবাসেন। ইতিহাস উনাকে ভাবায়। হাসায় এবং কাদায়।
বুড়ো কামরুজ্জামান সাহেব ধার্মিক লোক।
কিন্তু নাচ গান সিনেমা তার খুব পছন্দ। বিশেষ করে হিন্দি সিনেমার গান গুলো। তিনি নিয়মিত হিন্দি সিনেমার নাচ গান দেখেন। তিনি অহংকার করেন না। অহংকার নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ব্রাজিলিয়ান কবি-গায়ক এগনোর মিরান্ডা কাজুজা একবার শো করার সময় সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বাতাসে ধোঁয়া ছেড়ে অহংকার করে বলেছিলেন- ''খোদা, এটা তোমার জন্য"। কাজুজা বত্রিশ বছর বয়সে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিভৎস অবস্থায় মারা যান। আহংকার স্রষ্টাকে মানায়; সৃষ্টিকে নয়। মহান স্রষ্টা অহংকারকারীকে অপছন্দ করেন।
উনি আমার মতো সুন্দরী মেয়েদের ভালোবাসেন।
সেদিন আমি ব্লগে মাতা হারি নামের এক নর্তকী মেয়ের কথা লিখলাম। তার নাচের কথা বললাম। কামরুজ্জামান সাহেব সারারাত না ঘুমিয়ে ইউটিউবে মাতা হারির নাচ দেখলেন। আর মুগ্ধ হলেন! গুগলে সার্চ দিয়ে উনি তার প্রিয় নায়িকাদের ছবি গুলো নিয়মিত দেখেন। আর আফসোস করেন বয়সটা কেন এত বেড়ে গেল! তার যখন তরুন বয়স মানে ভরা যৌবন তখন ইন্টারনেট ছিলো না দেশে। এক জীবনে তাকে অসংখ্যবার আফসোস করতে হয়েছে। তার প্রিয় নায়িকাদের তালিকায় আছেন- মাধুরী দীক্ষিত, দীপিকা পাডুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ ও ঐশ্বরিয়া। এবং মেগান ফক্স, স্কারলেট জোহানসন, আম্বার হার্ড, চার্লিজ থেরন, মারেইম উজার্লি, ইরিনা শায়েক, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, কেট আপ্টন, বেলুচি। আর বাংলাদেশের ময়ূরী, মুনমুন এবং পলি।
যাই হোক, অনেক কথা বলে ফেললাম।
আমার বিশ্বাস উনি মনে হয় আমার সাথে লাগতে আসবেন না। খোচাখুচি করবেন না। কামরুজ্জামান সাহেবকে আমি বলেছি- নামাজ পড়ুন আর ধর্মকর্ম করুন। এত গাইগুই করবেন না। বাঘের লেজে আর ভুল করেও পা দিবেন না। অন্য লেজে গিয়ে পা দেন। সমস্যা নাই। যদি তেরিং বেরিং করেন তাহলে- আরো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। সব শেষে, ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এটাই। তবে কামরুজ্জামান সাহেবকে একটা শিখা দেওয়া দরকার। দুষ্টলোকদের শিক্ষা দিয়ে পথে আনতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩১