বার্গার আর কোক আমার খুব পছন্দ।
গতকাল সন্ধ্যায় বড় ভাই ফোন দিয়ে এগারোটা বার্গার আনায়। এগারোটা বার্গার কারন বাসায় আমরা এগারোজন সদস্য। বার্গারটা খেতে ভালো ছিলো। সবচেয়ে বড় কথা একদম বাসায় এসে দিয়ে গেছে। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। বাসার কাছের দোকান থেকে আনলাম কোক। সন্ধ্যায় বাসার সবাই মিলে বার্গার দিয়ে নাস্তা করলাম। যতই কোক ফানটা খাই সন্ধ্যায় আমাকে এক কাপ চা খেতেই হয়। দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
আজও বড় ভাই নাস্তা আনালেন।
আজ অবশ্য বার্গার না। পিজা আর চিকেন ফ্রাই। KFC'র চিকেনটা আমার অনেক প্রিয়। মাঝে মাঝে খেতে ভালো লাগে। সুরভি খেয়েছে পিজা। বাইরের খাবার খেলে আমার সমস্যা হয়। গ্যাস্ট্রিক। তবুও খাই। আমার মা পিজা খায় না। আজ তাকে জোর করে ধরে পিজা খাইয়ে দিয়েছি। পরী চিকেন পছন্দ করে। কিন্তু আজ সে চিকেন খেতে পারেনি। খুব নাকি ঝাল। তবে আরিশ খেয়েছে।
আগামীকাল বড় ভাইয়ের জন্মদিন।
আগামীকাল ভাবী রান্না করবেন। রাতে ভাবীর ঘরে খাবো। মেন্যু পোলাউ, গরুর মাংস, রোস্ট, ডিমের কোমরা আর চিংড়ি ফ্রাই। ইদানিং পোলাউ আমার ভালো লাগে না। সাদা ভাত ভালো লাগে। ঝরঝরে সাদা ভাত। ভাতে থাকে না তেল, ঘি, গরম মশলা আর তেজপাতা। বাসার বানানো রোস্টও আমার ভালো লাগে না। বিয়ে বাড়ির মতো হয় না।
নীল সাধু ভাই, 'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি'র প্রকাশক।
কবি এবং সেচ্ছাসেবক। তিনি মানুষের জন্যে কাজ করেন। করোনাকালের প্রারম্ভ থেকেই তিনি দিনরাত্রি মাঠে ছিলেন। “মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে” যেই গানটা রয়েছে, সেই গানের কথাগুলোর পূর্ণ অর্থ মনে হচ্ছে নীল সাধু ভাই এবং ভাবী বোঝতে পেরেছেন। তাই তাঁদেরকে করোনাকালেও ঘরে রাখা যায়নি! তাঁরা সাংগঠনিকভাবে খাবার এবং সাহায্য নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য এই যে, আজ তাঁরাই পুরো পরিবার নিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত!
এমন একটি পরিবারের সকলের সুস্থতার জন্যে আসুন আমরা দোয়া করি…
ফেসবুকে আমি নীলসাধু ভাইয়ের ফ্রেন্ড লিস্টে ছিলাম।
উনি ব্লগ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবার পর আমাকে তার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ডিলিট করে দেন। আমার সাথে তো তার ঝগড়া ঝাটি কিছুই হয় নাই। আমাকে ডিলিট দিলেন কেন? যাই হোক, উনি এবং উনার পরিবার সুস্থ হোক এটাই চাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫১