somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

শেখ হাসিনা সরকারকে আপনি আবার ক্ষমতায় দেখতে চান?

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার কাছে শেখ হাসিনাকে একজন সাহসী নারী বলে মনে হয়।
সেই দেশভাগের সময় তার জন্ম। তার বর্তমান বয়স ৭৫ বছর। শেখ হসিনা যদি সরকারী চাকরী করতেন তাহলে তার ১৫-২০ বছর আগেই অবসরে যেতে হতো। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের অবসরে যাওয়ার নিয়ম নেই। তাঁরা নিজ ইচ্ছায় অবসর না নিলে তাদের অবসর নাই। অবশ্য দল যদি চায় তাহলে যে কাউকে অবসর দিয়ে দিতে পারে। আমার ধারনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও স্বেচ্ছায় অবসরে যাবেন না। এবং উনি আমৃত্যু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। তাছাড়া উনাকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুঁজে পাই না। দেশ চালানর মতোন যোগ্যতা ও দক্ষতা খালেদা জিয়ার নেই। তার প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হবার যোগ্যতাও নেই। সবচেয়ে বড় কথা খালেদা জিয়া খুব বেশি অসুস্থ। তিনি আর দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে গেছে।

সহজ সরল সত্য কথা হলো-
খালেদা জিয়ার আমলের চেয়ে, আমরা শেখ হাসিনার আমলে ভালো আছি। হ্যাঁ খালেদার আমলে দূর্নীতি হতো, শেখ হাসিনার আমলেও দূর্নীতি হচ্ছে। হয়তো অনেক বেশিই হচ্ছে। তবুও আমরা হাসিনার আমলে ভালো আছি। আমার মনে আছে, খালেদার আমলে বিদ্যুতে খুব বেশি ভোগান্তি হয়েছে। এত এত বার লোডশেড়িং হয়েছে যে জীবন তেজপাতা হয়ে গেছে। গ্রামের কাহিনী জানি না ঢাকায় বিদ্যুৎ নিয়ে ঝামেলা নাই। খুব শান্তিতে আছি। তবে জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বাড়ছে। খুব বেশি বাড়ছে। যা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুন, ধর্ষন এবং ছিনতাই অনেক কমে গেছে। সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার মান অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের অব কাঠামো উন্নয় দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে এগেছে। কিছু মানুষের হাতে অনেক টাকা চলে এসেছে। তাঁরা নানান প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। সেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি খায়, আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করতে পারছে।

গত বারো বছরে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
ঢাকা শহরে বহু বড় বড় বিল্ডিং উঠেছে। গুলশানের রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হয় ইউরোপ চলে এসেছি। বিএনপির আমলে শুধু দূর্নীতি হয়েছে কাজ হয়নি। দেশের উন্নতি হয়নি। এক শ্রেনী শুধু লুটপাত করেছে। তাদের পরিবার এখনও উন্নত দেশে রাজার হালে আছে। হাসিনার আমলে দুর্নীতি হলেও উন্নয়ন হয়েছে চোখে দেখার মতোন। কত ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভার শুধু ঢাকা না, ঢাকার বাইরেও হয়েছে। ঢাকা শহরের মানুষ মেট্রোরেল পেয়েছে। খালেদা জিয়া থাকলে ঢাকার মানুষ কিছুই পেতো না। নতুন নতুন ফালু, কালুর আর বাবর জন্ম হতো। খালেদার আমলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেশি হতো। হাসিনা জেদী মানুষ। তিনি ঠিকই তার বাবার হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। রাজাকারদের বিচার করেছেনে। হেফাজত ইসলামীদের লাইনে এনেছেন। হেফাজতিরা মতিঝিলে কেয়ামত নামিয়ে ফেলেছিলো। শেখ হাসিনা তার বুদ্ধি দিয়ে তাদের যথা সময়ে থামিয়ে দিয়েছেন। জামাত একদম সোজা হয়ে গেছে।

যেহেতু হাসিনা খালেদা অর্থ্যাত বিএনপি- আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোনো অপশন নাই।
তাই বলব আমাদের শেখ হাসিনাই ভালো। দূর্নীতি হচ্ছে, হোক। সেই সাথে উন্নয়ন তো হচ্ছে। শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন, সেটা হঠাত বন্ধ হয়ে গেলো। শুদ্ধি অভিযানটা শেখ হাসিনার অব্যহত রাখা দরকার ছিলো। দুদক তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। মূলত সরকারী চাকরী যারা করেন তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতা থাকলে ভালো হতো। লোকজন সরকারী চাকরীর জন্য মরিয়া হয়ে যায়। কারন সরকারী চাকরীতে কাজ না করলেও মাস শেষে সেলারি রেডি। কাউকে জবাবদিহিতা করতে হয় না। ঘুষ খাওয়ার নিশ্চয়তা আছে। আবার অবসর নেওয়ার পরও অনেক টাকা পাওয়া যায়। অনেকে পুলিশে জয়েন করে ঘুষের টাকার জন্য। এই সমাজে উচ্চ পদস্থ সরকারী চাকরীজীবিরা বেশ আছে। গাড়ি বাড়ি করছে, পরিবার নিয়ে ইউরোপ ট্যুরে যাচ্ছে। উন্নত জীবনযাপন করছে।

যারা ছাত্রলীগ করে, তাঁরা ধনী হয় কি করে?
সরকার থেকে কি তাদের টাকা দেওয়া হয়? নইলে একজন ছাত্রলীগ নেতা দেড় কোটি টাকা দিয়ে ফ্লাট কিনে কিভাবে? আবার ফ্ল্যাটের জন্য ৯০ লাখ টাকার ফার্নিচার কিনে কিভাবে? একজন চোর, ছিনতাইকারীর চেয়ে একজন দূর্নীতিবাজ ধরা সহজ। বয়স, প্রেম ভালোবাসা যেমন লুকিয়ে রাখা যায়া না, তেমনি টাকাও লুকিয়ে রাখা যায় না। অথচ দুদুক সারাদিন কি করে বুঝি না। চারিদিকে এত এত দূর্নীতিবাজ। তাদের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকার কথা। যাইহোক, হাসিনার আমলে মানুষের হাতে টাকা এসেছে। লোকজন ছুটি কাটাতে যায় ইউরোপে। সামান্য চিকিৎসার জন্য চলে যায় সিঙ্গাপুর। দেড় কোটি টাকার দামের গাড়ী করে ঢাকা শহরে দাবড়ে বেড়ায়। ছেলেমেয়েকে পড়ায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। কেউ গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেলেও হেলিকাপ্টারে করে যায়। কলকাতা থেকে বাঈজী এনে গ্রামে নিয়ে গিয়ে নাচায়। শেখ হাসিনার উচিৎ নব্যধনীদের থামানো। আজও তো মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও বহু ছেলেমেয়ে স্কুলে যায় না। জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করে। ক্ষমতাবানরা নানান রকম অন্যায় সমানে করেই চলেছে।

আমি বলতে চাই- হাসিনা ক্ষমতায় থাকুক সমস্যা নাই।
কিন্তু নব্য ধনীদের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। কালো টাকার বাহাদূরি বন্ধ হোক। রাজনীতি যেন টাকা ইনকামের পথ না হয়। আজকাল গ্রামে গেলে দেখা যায় চ্যাংড়া পোলাপান দামী বাইক নিয়ে লুঙ্গি পড়ে বাজার করতে যাচ্ছে। লেখাপড়ার মান বাড়াতে হবে। গত দশ বছরে লেখাপড়ার মান একদম নীচে নেমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দরিদ্র মানুষেরা খুব কষ্টে আছে। দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। দেশে অসৎ মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেক মন্ত্রী, এমপি নির্বোধের মতো কথা বলেন, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আমাদের মতো দরিদ্র দেশে পদ্মাসেতু হয়েছে, শুধু মাত্র এই কারনেই শেখ হাসিনাকে বারবার দরকার। যদিও আমাদের দেশে পদ্মাসেতু আরো ত্রিশ বছর আগে হওয়া উচিৎ ছিলো। দেশ যারা চালায় তাঁরা যদি শিক্ষিত, যোগ্য ও দক্ষ না হয়- তাহলে দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। আমি চাই আমাদের দেশের প্রতিটা মানুষ ভালো থাকুক। রাস্তায় বের হলেই যেন ভিক্ষুক না দেখা যায়। ফুটপাতে যেন কেউ না ঘুমায়। কেউ যেন জুতোর আঠা দিয়ে নেশা না করে। প্রত্যেকে যেন স্কুলে যায়। অসুস্থ হলে যেন সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০৭
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×