এই লেখাটি একটি সত্য জীবন প্রবাহ। ভাল মন্তব্য গ্রহন করা হবে। বাজে মন্তব্য মুছে ফেলা হবে। এটি সত্যিকারের বর্তমান এবং চলমান জীবনের দু:খ,কষ্ট এবং চলতি জীবন সম্পর্কিত লেখা। শুধুমাত্র ভাল মন্বব্য গ্রহন হবে এবং সামনের দিনগুলির জন্য পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। এখানে-ব্লগারের বাল্য জীবন থেকে বর্তমান অবস্থা সহ ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক,পারিবারিক এবং ব্যক্তিজীবন তুলে ধরা হবে।
২৪-০৭-১৯৮৪
জন্ম: ঢাকা শাহরের পাশের এক শহরে সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও রাজনৈতিক পরিবারে ক্রম অনুযায়ী বাবা মায়ের বড় সন্তান হিসেবে জন্ম।
২০০১ সালে এস এস সি পরীক্ষায় প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতিতে মোটামুটি গ্রেড এ উত্তীর্ন
২০০৩ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায় প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতিতে মোটামুটি গ্রেড এ উত্তীর্ন
২০০৭ সালে ব্যবস্থাপনায় সম্মান সনদ অর্জন
২০০৮ সালে ব্যবস্থাপনায় মাষ্টার্স সনদ অর্জন
২০১০ সালে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ সনদ অর্জন।
এরই মাঝে রয়েছে ইসলামী ঐতিহ্যের আলোকে গড়া রাজনৈতিক জীবন।
আগেই বলেই জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে। আর ইসলামী রাজনৈতিক পরিবারগুলো একটু আগোছালো হয়ে থাকে। আমার ধারনা ভুল ও হতে পারে। তবে আমার পরিবারটি একটু বেশিই আঘোছালো ছিল। আমার বাবার উদাসীনতা আমাকে আরো বিষন্ন করে দিয়েছিল। যখন আমি বাড়ীর বাইরে তখন বাবা বাসায় । আর আমি বাসায় বাবা বাড়ীর বাইরে।বাবার ইসলামী রাজনৈতিক জীবন আমাদের পরিবারকে না হোক অন্তত আমাকে বিচ্ছিন্ন করেছে। যাই হোক সেকথা বলে এখন আর কোন লাভ নাই। তবে ইসলাম পরিবাকেও সময় এবং অধিকার বস্তবায়নের কথা বলেছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এস এস সি এবং এইচ এস সি পাশের পর নিজ খরচ নিজেই বহন করেছি। শুধুমাত্র বার্ষিক ফরম ফিলাপের খরচ বাবার কাছ থেকে নিতে পেরেছি। এছাড়া প্রতি ঈদে পোষাক বাবদ ভাই বোনেরা প্রতিজন ২০০৩ সাল থেকে ৫০০-৮০০ টাকা পেয়েছি। তাতেও আমাদের পরিবারে অসন্তুষ্টি ছিলনা। বাড়ী বলতে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ভাঙা টিনের ঘর এখনও ২০১২ সালে শহুরে জীবনে সাক্ষী হয়ে আছে। কিছুই করার নেই। পাশাপশি বাবা মায়ের অসুস্থতা আজ পরিবারের কাল হয়ে আছে। ২০০৬ সালে বাবার হার্ট সার্জারী আর ২০১০ সাল থেকে মায়ের ডায়ালাইসিস খরচ বহন করতে করতে আজ বড় ছেলে হিসেবে দেশের বাইরে অবস্থান। একটু চিন্তা আর চেষ্টা.......তবু যেন বৃথা না হয়ে যায়। সারা জীবন ইসলামী আন্দোলনের কাজ করতে গিয়ে আয়ের অবস্থান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু এই আন্দোলন করতে গিয়ে পরিবারকে আর্থিক দৈন্যদশা থেকে উত্তরন করা সম্ভব হয়নি।আজও এই কঠিন অবস্থায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
চলবে-(পরের পর্বে যা থাকবে- আর্থিক দৈন্যদশা থেকে উত্তরনে বাবার প্রচেষ্টা এবং ব্যর্থতার কারন)
কোন বাজে মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। লেখাটি লিখে রাখতে চাই নিজের জীবনের জন্য।