→← জাহিদ →←
গুগল প্লাসের অন্যতম কারিগর বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলী জাহিদ । সামাজিক যোগাযোগে শীর্ষে থাকা ফেসবুককে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে জুন মাসে আত্মপ্রকাশ করেছে গুগল প্লাস তথা জিপ্লাস। সাফল্যের বিচারে সার্চ জায়ান্ট গুগলের নতুন এই সেবা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। পরীক্ষামূলক এবং ‘ইনভাইট অনলি’ হলেও সেবাটি চালুর মাত্র ৩ সপ্তাহের মাথায় ২ কোটি ব্যবহারকারী টানতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট ট্রাফিক বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কমস্কোর। আর ফেসবুক’র সামনে এমন শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার মিশনে রয়েছেন বাংলাদেশী এক তরুণ প্রকৌশলী জাহিদ নূর সবুর।এ প্রকল্পের অন্যতম টিম লিডার তিনি। ২০০৭ সাল থেকে প্রায় ৪ বছর ধরে মাইক্রসফট ইন করপোরেশনের গুগল প্রকল্পের সাথে কাজ করছেন জাহিদ নূর সবুর।
গুগল প্লাস প্রজেক্টে কাজ করছে গুগলের বেশকিছু টিম। এমনই একটি টিমের ‘টিম লিডার’ হচ্ছেন জাহিদ নূর সবুর। একজন বাংলাদেশী হিসেবে গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে নিজের পরিতৃপ্তির কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন,“গুগল এবং গুগল প্লাস’র এ বিপুল জনপ্রিয়তার একজন নেপথ্য কারিগর হিসেবে নিজেকে সম্মানিত এবং গর্ববোধ করছি।গুগলের সব ক’টি প্রকল্পে কাজ করেই অনেক আনন্দ পেয়েছি। নতুন অনেক কিছুই শেখার সুযোগ হচ্ছে এখান থেকে।গুগলে আমি বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করছি। এটা ভেবেই আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত।”
→← সাইমান →←
বাংলাদেশী তরুণ সাইমানের নকশায় তৈরী হবে আসছে লন্ডন অলিম্পিকের স্মারক মুদ্রা। লন্ডনে ২০১২ সালের অলিম্পিককে সামনে রেখে রয়েল মিন্ট ৫ পাউন্ডের দুটি স্মারক মুদ্রা বাজারে ছাড়ার জন্য মুদ্রা দুটির নকশা আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বার্মিহাম মুইজলী এলাকার বাসিন্দা, বার্মিংহাম স্কুল অব আর্কিটেকচারের মাষ্টার্সের ছাত্র বাংলাদেশী তরুণ সাইমান মিয়ার নকশাটি অলিম্পিক স্মারক মুদ্রার জন্য বিজয়ী হয়। অপর স্মারক মুদ্রাটির নকশা বিজয়ী হন ওর্চেষ্টাশায়ারের হারফোর্ড কলেজের আর্ট গ্যাজুয়েট পিপার সান্ডারল্যান্ড।
বাংলাদেশী তরুণ সাইমান মিয়া তার নকশায় তুলে এনেছেন লন্ডনের স্কাইলাইন ও অলিম্পিকের নানা ইভেন্টের প্রতীক আর পিপার নকশায় স্থান পেয়েছে প্যারাঅলিম্পিক, স্টপওয়াচ ও চাকা।
এ খবরে উচ্ছ্বসিত সাইমান মিয়া (২৪) তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তিনি রীতিমত রোমাঞ্চিত। নকশাটি অলিম্পিকের স্মারক মুদ্রা হিসাবে সারা জীবন মানুষের সংগ্রহে থাকবে এটা ভেবে সে বিশেষ আনন্দিত। স্থাপত্যবিদ্যার প্রতি তার অনুরাগ স্মারক মুদ্রা তৈরীতে তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। বাঙালী এ তরুণ সাইমানের বাংলাদেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটের ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামে।
সাইমান আরো বলেন, ‘লন্ডনের বাইরে দেশ-বিদেশ থেকে অলিম্পিক দেখতে আসা মানুষ গোটা লন্ডন ঘুরে ফিরে যাওয়ার সময় তারা যেন ‘এক টুকরো লন্ডন’ নিয়ে যান। তাই আমার নকশায় আমি অলিম্পিকের খেলাধূলার প্রতীকের সাথে লন্ডনের ভবন ও স্থাপত্যকর্ম যোগ করে দিয়েছি যা লন্ডনের প্রতিনিধিত্ব করে।’
বহুল আলোচিত লন্ডন অলিম্পিকে বাঙালী তর্বণ সাইমানের একটি শিল্পকর্ম চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে এ নিয়ে ব্রিটেনে বসবাসরত বাঙালী কমিউনিটি গর্বিত। এ মাসের শেষের দিকে এ স্মারক মুদ্রাটি বাজারে ছাড়া হবে বলে কর্তৃপৰ জানিয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসাবে সাইমানকে সম্মানী দেওয়া হবে পাঁচ হাজার পাউন্ড।
প্রসংগত উলেৱখ্য যে ব্রিটেনের বর্তমান রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস'ায় বাঙালীরা আজ একটার পর একটা তাঁদের মেধা ও কর্ম দিয়ে সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরা আজ আর পিছিয়ে নেই। এরই মধ্যে লর্ড সভা, ব্রিটেনের পার্লমেন্টে বাংলাদেশী এমপি, এমন কি লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটেস্ এর নির্বাহী মেয়র পেতে সৰম হয়েছি। কুটনৈতিক দিক দিয়ে বাঙালীরা পিছিয়ে নেই বিচার ব্যবস্থায়ও আমাদের বিচারপতি হওয়ার গৌরব রয়েছে। এবার আসন্ন লন্ডন অলিম্পিকের স্মারক মুদ্রার নকশা তৈরীর গৌরব অর্জন করায় বাঙালীদের সাফল্য আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
→← ডা. আমজাদ →←
বাংলাদেশের চিকিত্সক আ স ম আমজাদ হোসেন গেটস ভ্যাক্সিন ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। এ বছরই প্রথম বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন এই পুরষ্কার প্রবর্তন করল। ফাউন্ডেশন বলছে, শিশুদের জীবনরক্ষাকারী টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অভিনব ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বিল গেটস তাঁর বাত্সরিক চিঠিতে লিখেছেন ‘ড. হোসেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে টিকাদান কর্মসূচী সম্প্রসারণের চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। গর্ভবতী মায়েদের তথ্য সংগ্রহ করা, টিকার তারিখগুলো সংগ্রহ করা ও এলাকাবাসীকে জানানো ইত্যাদি কাজ তিনি করেছেন। আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে, এ কাজগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু পুরনো সমস্যাগুলোকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
জেলা পর্যায়ে টিকা কর্মসূচী পরিচালনার দায়িত্বে থাকা চিকিত্সা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে কাজ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে প্রায় দেড় লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। তিনি ওই দুটি এলাকায় টিকা দেওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছেন।
আ স ম আমজাদ হোসেন গেটস ভ্যাক্সিন ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পাচ্ছেন আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। এর বড় অংশ তিনি তাঁর পছন্দমত খাতে দান করতে পারবেন।
সুকান্তের একটি কবিতার কথা মনে পড়ছে,
সাবাস বাংলাদেশ; এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়;
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার; তবু মাথা নোয়াবার নয়।।
যদি আপনাদের ভালো লাগে লাইক দিতে ভুলবেন না যেন.. এতে আমি আরও ভালো তথ্য পোষ্ট করতে উদ্দমী হবো।