somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমেচারদের জন্য ডিজিটাল ফটোগ্রাফির টুকিটাকি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্যামেরা কেনার আগে
প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন: মেগাপিক্সেল কত হবে, অপটিক্যাল জুম কত, ডিসপ্লের সাইজ এবং আপনার বাজেট। এরপর পছন্দনীয় ফিচার/ফাংশনগুলোর একটি তালিকা করুন। শুধুমাত্র ব্রান্ডের নাম দেখে পছন্দ করবেন না, ইদানিং লিডিং সব কোম্পানীর ক্যামেরার মানই ভালো। এবার আপনার কাঙ্খিত ক্যামেরাটি নিম্নলিখিত সাইটগুলোতে গিয়ে খুঁজে দেখুন:
১। DigiCam Resource Page
২। Imaging Resource
৩। Digital Camera Info
৪। PriceRunner
বিভিন্ন রিভিউ সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যামেরা সম্পর্কে এক্সপার্টরা কী বলে। এবার দোকানে গিয়ে ক্যামেরাটি ভালোভাবে দেখে সবকিছু (দাম, সার্ভিস, গ্যারান্টি, প্যাকেজের অন্যান্য উপকরন) পছন্দ হলে কিনে নিন।
ক্যামেরা কেনার পরে
ডিজিটাল ক্যামেরার জগতে আপনাকে স্বাগতম! প্রথমে ক্যামেরার সাথে যা যা থাকার কথা সবকিছু আছে কিনা দেখুন। তারপর ৩০টি মিনিট ধৈর্য ধরে প্যাকেটের ইউজার গাইড / ম্যানুয়েলটি পড়ুন। ইদানিং PDF ফরমাটে সিডিতে ম্যানুয়েল দেয়া হয় যা কমপিউটারে পড়তে হবে। সেখানকার নির্দেশ অনুসারে প্রাথমিক সংযোজন শেষ করে আপনার ক্যামেরার সাথে পরিচিত হন। কোন বাটন কী কাজ করে ও কোন অপশনটি কোন মেনুতে গেলে পাবেন ইত্যাদি জেনে আপনার প্রিয়তম মানুষটির শট নিয়ে experiment শুরু করুন।
অটোমুডে ছবি তোলা
অটোমুড কমপাক্ট ক্যামেরার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন।
১) ক্যামেরা অন করে অটো মুড নির্বাচন করুন।
২) দৃশ্যের গুরুত্বপূর্ণ বস্তু/ব্যক্তিকে ভিউফাইন্ডার/মনিটরের মাধ্যমে ফোকাস করুন।
৩) শাটার বাটনে অর্ধেক চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। ক্যামেরা এখন আপনার নির্বাচিত দৃশ্যের ছবির জন্য এক্সপোজার সেটিং করবে। কম্পোজ ফ্রেমের রং সবুজে পরিবর্তন হলে শাটার বাটনের বাকী অর্ধেক চাপ দিন। ক্যামেরা ছবিটি উঠিয়ে মেমোরিতে সেভ করবে।
৫) ভিউ/প্লে অপশন নির্বাচন করে ছবিটি মনিটরে দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় ও অবস্থানের ছবির জন্য সরাসরি প্রি-প্রোগ্রাম SCAN মুড থেকে অপশন সিলেক্ট করতে পারেন, এতে ক্যামেরার জন্য কম্পোজ করা সহজ হয়।
ফটোগ্রাফির ১ম কথাঃ এক্সপোজার (Exposure)
ডিজিটাল ক্যামেরায় এক্সপোজ হওয়া মানে হলো সেনসরের উপর আলো পড়া। সেনসরের উপর আলো পড়া কন্ট্রোল করার কায়দাই এক্সপোজার কন্ট্রোল। কারেক্ট এক্সপোজার হলো একটা সাবজেক্ট থেকে যে আলো রিফ্লেক্ট করছে, ঠিক সেই আলোটাই সেনসরে ধারন করা।
এক্সপোজার হlলো অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আই.এস.ও -এই তিনটির কম্বিনেশন। এই তিনটি কমিয়ে/বাড়িয়ে ফটোতে কারেক্ট এক্সপোজারে আনতে পারবেন। মূল আলোটার চেয়ে বেশী লাইট চলে আসলে ছবিটা এট্টু সাদা বা "ওভার এক্সপোজ্ড" [Over Exposed] হবে। আর কম আলো সেনসরের উপর পরে তাহলে ছবিটা এট্টু অন্ধকার বা "আন্ডার এক্সপোজ্ড" [Under Exposed] হবে ।
এক্সপোজার কন্ট্রোল করা
১- অ্যাপারচার (Aperture), অ্যাপারচার হলো ছিদ্র। ক্যামেরার ভিতরে কি "পরিমান" আলো ঢুকবে সেটা অ্যাপারচার দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হয়। লেন্সের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য Iris Diaphragm বা গোল আকৃতির ছিদ্রকে Aperture ছোট/বড় করে। f/# সংখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সাইজের এপারচার বোঝানো হয়। অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত বাড়বে, ছিদ্র ততো ছোট হবে ও ক্যামেরার ভিতরে ততো কম আলো ঢুকবে, আবার অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত কমবে ছিদ্র ততো বড় হবে ও ক্যামেরার ভিতরে তত বেশি আলো ঢুকবে। ক্যামেরায় লেন্সের ঠিক পরেই থাকে অ্যাপারচার কন্টোল।
ছবি-১ ২-
শাটার স্পিড (Shutter Speed)
শাটার হলো পরদা । লেন্স ও সেনসরের মাঝখানে আলো ঠেকানোর আবরণকে বলে শাটার। লেন্সের ভিতর দিয়ে অ্যাপারচাররে পাস করার পর আলো(Light) ক্যামেরার ভিতরে আসে, এখন আলো কতক্ষণ ক্যামরার ভিতরে ঢুকবে সেটা ঠিক করে দেয় শাটার স্পিড। পরদা অল্প সময় খুলে রাখলে আলো কম সময় ধরে ঢুকবে, আর পরদা বেশি সময় খুলে রাখলে আলো বেশি সময় ধরে ঢুকবে।হয়। ছবি তোলার সময় অর্থাৎ Shutter release button চাপার সাথে সাথে এই শাটার অল্পক্ষণের জন্য খুলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সাধারনত এই সময়টি এক সেকেন্ডেরও কম হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। শাটার স্পিডের একক হলো সেকেন্ড। শাটার স্পিডকে 1/90, 1/125, 1/250, 1/500, 1/1000, 1/1500 সেকেন্ড হিসেবে প্রকাশ করা হয়। শাটার স্পিড 1/4 sec অর্থ আলোটা ১ সেকেন্ডের ৪ ভাগের এক ভাগ সময় ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। আবার শাটার স্পিড 4 sec অর্থ আলোটা ৪ সেকেন্ড ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। একটা ক্যামারায় শাটার স্পিডগুলা সাধারনত এইরকম থাকে : 1/8000 s 1/4000 s 1/2000 s 1/1000 s 1/500 s 1/250 s 1/125 s 1/60 s 1/30 s 1/15 s 1/8 s 1/4 s 1/2 s 1 s 2 s 4 s 8 s। রাতের ও দিনের ছবির জন্য Aperture ও Shutter Speed ভিন্ন রকমের হয়। একটা ব্যস্ত রাস্তায় আপনি যদি স্লো শাটার স্পিড দিয়া ফটো তোলেন তাহলে দেখবেন গাড়ি গুলোর হেড লাইট আর টেল লাইট একটা লম্বা শাদা আর লম্বা লাল রেখার মতো তৈরি করছে।
অনেকটা এইরম: ছবি-২
আবার শাটার স্পিড বাড়ায় ( 1/200 sec) কোন ঝরনার ছবি তুললে পানি স্থির মনে হবে। যেমন: ছবি-৩ ৩-
ISO (Sensitivity): "ISO" = International Standards Organisation। "আইএসও" টার্মটা ব্যবহার করা হয় ফিল্মের বা নেগেটিভের "লাইট সেনসিভিটি"র স্কেল হিসেবে। এটি হচ্ছে একটি মাপ, যা বলে দেয় CCD বা CMOS সেনসর কতখানি সংবেদনশীল বা আলোর স্পর্শে কত তাড়াতাড়ি রিয়্যাক্ট করবে। ISO হলো সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী। বেশী আলোক সংবেদী হলে কম আলোতেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাতে পারবে। আর যদি কম আলোক সংবেদী হয় তাহলে রিয়েকশন ঘটাতে অনেক বেশি "পরিমান" আলো বেশি "সময়" ধরে ফেলা লাগবে। ক্যামারায় আলোর পরিমান অ্যাপারচার দিয়ে আর সময় শাটার স্পিড দিয়ে কন্ট্রোল করা হয়। অ্যাপারচার আর শাটার ক্যামেরাতে থাকলেও ISO জিনিষটা সেনসরের একটা প্রপার্টিজ। ISO ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। ISO বাড়ানোর একটা ঝামেলা ISO যতো বাড়বে, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে।
ইদানীং বেশিরভাগ ক্যামরায় Pre-programmed Exposure Mode সেটিং করা থাকে, সেখান থাকে সিলেক্ট করেও কাজ চালানো যায়। যেমন: Landscape, Portrait, Sunset, Beach/Snow, Backlight, Macro, Night Scene, Fireworks, Panorama, Sports ইত্যাদি। যত বেশি মুড থাকবে তত বেশি সুবিধা। আপনার তোলা ছবি দেখে একটু চিন্তা করেন, ছবিটা কি ওভার এক্সপোজ্ড না আন্ডার এক্সপোজ্ড না ওই সময় ওইখানে যে আলোটা ছিলো তাই আসছে? ছবি গুলা জুম করে দেখেন ছবিতে গ্রেইন বা নয়েজ আসছে কিনা। অটো মোডে তুললে ঠিক এক্সপোজার পাওয়ার জন্য, ক্যামেরা নিজে নিজেই আই.এস.ও হাই করে দেয়। তাই ছবিতে গ্রেইন বেশি আসে। ছবি তোলার সময় "লাইট মিটার" দিয়ে বুঝা যায় যে ছবিটা আন্ডার/ওভার এক্সপোজ্ড কিনা ? অনেক ক্যামেরাতেই বিল্ট ইন লাইট মিটার থাকে। লাইট মিটার একটা সিনের লাইট মাপলে এক্সপোজার দেখায়। শাটার বাটন অর্ধেক চাপ দিলে একটু এডভানস্ড ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ডিসপ্লেতে আলোর পরিমান দেখাবে ও ফোকাস করবে। মাইনাস "-" এর দিকে মানে ক্যামেরায় আলো কম ঢুকছে, আলো বেশি ঢুকাতে ১) এপারচারটা বড় করা মানে f এর ভ্যালু এক স্টপ কমান। ২) শাটার স্পিড কমিয়ে দেয়া। যদি 1/500 থাকে তাইলে 1/250 করা। শাটার স্পিড কমালে ছবি কেপে যেতে পারে। ৩) আই.এস.ও বারানো। iso 200 থাকেলে iso 400 করা, কিন্তু এতে নয়েজ বারবে। প্রয়োজন অনুসারে, কোনটা বাড়াতে বা কমাতে হবে। উদাহারন হিসাবে বলা যায়, কোন চলমান বস্তুর স্থির ছবি চাইলে যদি শাটার স্পিড কমিয়ে দেন তাহলে তো আর ফ্রিজ হইবো না। কমাতে হবে এপারচার ভ্যালু অথবা বাড়াতে হবে আই.এস.ও। কম্পোজিশন কম্পোজিশন মানে হলো সাজানো। আপনার মনের চোখ যা দেখে সেটা কিভাবে একটা ছবিতে দেখাবেন আর সে জন্য ছবির উপাদান গুলা কিভাবে সাজাবেন তাকে ফটোগ্রাফিতে বলে কম্পোজিশন। যেহেতু আপনার দেখার চেয়ে ক্যামেরা একটু ভিন্ন ভাবে দেখে, তাই কম্পোজিশনের টেকনিক জানা থাকলে, ক্যামেরাও আপনার মতোই দেখাতে পারবে। কম্পোজিশনের কয়েকটা নিয়ম
১- ছবির সাবজেক্ট ঠিক করা, কি তুলতে চান (ছবির সাবজেক্ট), সেইটা আগে ঠিক করুন তারপর দেখেন আপনার ক্যামেরা সেটা তোলার ক্ষমতা রাখে কিনা।
২- ফোকাল পয়েন্ট কে একা করে দিন (Isolate the Focal Point), সাবজেক্ট ঠিক করার পর তাকে ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন করে তুলতে চেষ্টা করুন। সেটা করতে সাবজেক্টকে ফোকাল পয়েন্টে রাখতে হবে। ফোকাল পয়েন্ট হচ্চে লেন্সের সামনের যেই পয়েন্ট থেকে আলো এসে লেন্সের পিছনে সবচেয়ে স্পষ্ট ইমেজ তৈরি করে। ফোকাল পয়েন্টে যা থাকবে, সেইটা ছবিতে সবচেয়ে বেশি শার্প হবে। অনেক সময় সাবজেক্টকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আশে পাশে বা সামনে পিছনে কিছু আনশার্প এলিমেন্ট রাখা হয়। ছবিতে অনেক বেশি ফোকাল পয়েন্ট থাকে অনেকেই কনফিউজড হয় যে আসলে ছবিটাতে কি বুঝানো হয়েছে। তাই ছবিতে ফোকাল পয়েন্ট যতটা সম্ভব কম রাখতে চেষ্টা করুন।
৩- রুল অফ থার্ডস, এটি ফটোগ্রাফির অন্যতম মুল্যবান একটা কম্পোজিশন রুল। ছবির ফ্রেমে "#" এই রকম চারটা লাইনের একটা গ্রিড চিন্তা করুন যা ছবিকে ৯টি অংশে ভাগ করে। লাইন গুলা যেখানে ক্রস করে সেইগুলাকে বলে "গোল্ডেন সেকশন"। আপনার সাবজেক্টকে ছবির মাঝখানে না রেখে গোল্ডেন সেকশন ৪টার যে কোন একটাতে রাখুন।

Face Detection, Blink detection, Smart Auto scene selection ইত্যাদি নতুন নতুন ফিচার নিয়ে নতুন মডেলের ক্যামেরা বাজারে আসছে, আসবে। তবে ভালো ছবির ব্যাপারে শেষ কথা হচ্ছে, ভালো ছবি শুধু ক্যামেরার জন্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ক্যামেরার পিছনে একজন সৃজনশীল মানুষ। প্রাকটিস একজন মানুষকে দক্ষ করতে পারে। এজন্য ডিজিটাল ক্যামেরা পারফেক্ট। বিভিন্নভাবে এক্সপেরিমেন্ট করুন, ছবি ভালো না হলে ডিলিট করুন, অতিরিক্ত কোন খরচ নেই। আপনার ক্যামেরায় যেসব ফিচার/ফাংশন আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

জুম
'জুম ইন' করার অর্থ দুরের বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে বড়/কাছে দেখা। জুম দুই প্রকারের: অপটিক্যাল জুম ও ডিজিটাল জুম। অপটিক্যাল জুমে ক্যামেরা লেন্সের সাহায্যে বস্তুকে ছোটবড় করে এতে ছবির কোয়ালিটি অপরিবর্তিত থাকে। ডিজিটাল জুমের সাথে বস্তু বা লেন্সের কোন সম্পর্ক নেই, ডিজিটাল প্রসেসে ছবির কোন অংশকে বড় করে দেখানো হয় এবং ছবির কোয়ালিটি হ্রাস পায় ও ছবি ঝাপসা হয়ে যায়। সুতরাং ক্যমেরার ডিজিটাল জুম দেখে প্ররোচিত হবেন না, লক্ষ্য করবেন অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা কত। যত বেশি অপটিক্যাল জুম থাকবে তত বেশি দুরত্বের ছবি তোলা যাবে।


ক্যমেরার লেন্সের ফোকাল লেন্থ থেকে অপটিক্যাল জুম জানা যায়। ফোকাল লেন্থ্ হচ্ছে লেন্স থেকে সেনসরের দুরত্ব। যেমন: 5.8-17.4mm, 35-105mm ইত্যাদি। শেষের সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা বের হয়। 105/35=3। অর্থাৎ 3X Optical Zoom।
ফোকাস রান্জ:
লেন্স কতদুরের এবং কত কাছের বস্তুর ছবি তুলতে পারে তা Focus Range দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বেশির ভাগ ক্যামেরা অসীম (infinity) দুরত্বের বস্তুর ছবি তুলতে পারে। সুতরাং কত কাছের বস্তুর ছবি (Macro) তুলতে পারে সেটাই উল্লেখযোগ্য।
যেমন: 1.6 ft (0.5 m) to infinity (wide),
3.28 ft (1.0 m) to infinity (telephoto),
8 in. (0.2 m) (close-up) ইত্যাদি।

অটোফোকাস
ছবি তোলার সময় লেন্সকে জুম ইন বা জুম আউট করে অথবা নিজে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন দিকে মুভ করে ভিউফাইন্ডার/ডিসপ্লেতে দেখি কোন পজিশনে ছবিটি স্পস্ট আসে। এই কাজটি ক্যামেরার নিজে নিজেই করাকে অটোফোকাস বলে। ক্যামেরার শাটার বাটন অর্ধেক চাপলে ক্যামেরা নিজে নিজেই ফোকাস করে সম্ভাব্য সাবজেক্টকে স্পস্ট করে তোলে। সম্ভাব্য সাবজেক্ট স্পস্ট না আসলে কয়েক বার ক্যামেরার শাটার বাটন(ছবি তোলার বাটন) অর্ধেক চাপতে হবে বা একটু সরে দাড়াতে হবে।

হোয়াইট ব্যাল্যান্স:
অনেক সময়ই ছবির রং লালচে, সবুজাভ বা নীলচে হয়। ছবি থেকে অবাস্তব রঙের প্রভাব দুর করে বাস্তবসম্মত সাদা করার প্রসেসকে বলে হোয়াইট ব্যাল্যান্স।


ছবির রং ছবির আলোর উৎসের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। মানুষের চোখ খুব সহজেই ব্যপারটা বুঝতে পারলেও ক্যামেরা অনেক সময়ই এটা ঠিক করতে পারে না। সাবজেক্ট ও ক্যামেরার ডিসপ্লের ছবির দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা আছে কি না। হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা থাকলে ক্যামেরার মানু থেকে হোয়াইট ব্যাল্যান্স বা আলোর উৎস ঠিক করে দিলেই ছবির রং ঠিক হয়ে যাবে। হোয়াইট ব্যাল্যান্স .৩ করে -২ থেকে ২ পর্যন্ত হয়।


রঙের উৎসর তাপমাত্রা ====== আলোর উৎস
1000-2000 K ========== Candlelight
2500-3500 K ========== Tungsten Bulb (household variety) 3000-4000 K ========== Sunrise/Sunset (clear sky) 4000-5000 K ========== Fluorescent Lamps
5000-5500 K ========== Electronic Flash
5000-6500 K ======== Daylight with Clear Sky (sun overhead) 6500-8000 K ======== Moderately Overcast Sky 9000-10000 K ======= Shade or Heavily Overcast Sky



রেড আই রিডাকসন:
কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ফ্লাশ লাইট ও লেন্সের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। পোট্রেট বা ক্লোজ আপ শট নেওয়ার সময় ফ্লাশ লাইটের আলো যখন চোখের রেটিনা থেকে প্রতিপলিত হয়ে সোজাসুজি লেন্সে চলে আসে তখনই মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবিতে চোখের বর্ণে লাল হয়।


চোখের রেটিনা হল আয়নার মত শটের সময় ফ্লাশের আলো সামান্য কোণ সৃষ্টি করে লেন্সে ফিরে আসে। এই সমস্যাকে এড়ানোর জন্য Flash এর মেনু থেকে Red-Eye Reduction Flash Mode ব্যবহার করা হয়।

পাওয়ার সোর্স:
ডিজিটাল ক্যামেরার বহুমুখী ফাংশন ও এলসিডি ডিসপ্রের জন্য যথেষ্ট বিদুৎ প্রয়োজন। সুতরাং রিসার্জেবল ব্যাটারীর কোন বিকল্প নেই। সাধারণত ব্যাটারীর অপশন তিন রকমের হয়ে থাকে।
ক) Lithium Ion ব্যাটারী, এটি মোবাইল ফোনের মত ক্যামেরার সাথেই থাকে এবং ক্যামেরাসহ চার্জ করতে হয়। নতুন ব্যাটারীকে প্রথমবার ৮-১২ ঘন্টা চার্জে রেখে পূর্ণ চার্জ করা ভালো (ম্যানুয়েল দ্রষ্টব্য)। বিভিন্ন ক্যামেরার ব্যাটারীর সাইজ ও মডেল বিভিন্ন রকমের হয়। অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। যারা ক্যামেরা নিয়মিত ব্যবহার করেন সম্ভব হলে তাদের একটা রিজার্ভ ব্যাটারী কিনে নেয়া ভালো।
খ) সার্জারসহ Lithium Ion ব্যাটারী, সবকিছু উপরের মতই, শুধু পার্থক্য হচ্ছে আলাদা একটি চার্জার থাকে, ব্যাটারী ক্যামেরা থেকে বের করে এই চার্জারে রেখে চার্জ করতে হয়। সুবিধা হল, একটা এক্সট্রা ব্যাটারী কিনলে একটা স্ট্যান্ড বাই চার্জে রেখে আরেকটা দিয়ে ক্যামেরার কাজ চালানো যায়।
গ) Rechargeble AA NiMh (পেন্সিল ব্যাটারী)। এ অপশনে ব্যাটারী ও চার্জার আলাদাভাবে নিজেকে কিনতে হয়। ব্যাটারীর চার্জের ক্ষমতা mAh বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

ডিজিটাল ক্যামেরার সেনসরঃ
ইমেজ সেনসর একটি সিলিকন চীপ যা আলো সেন্স করতে এবং আলোকে ইলেকট্রিকাল সিগন্যালে রুপান্তর করতে পারে।"ইমেজ সেনসর" সাধারনত দুই ধরনের হয়। সি.সি.ডি (CCD = Charged Couple Device) আর সিমোস (CMOS = Complementary Metal Oxide Semiconductor)
সেনসর ডিজিটাল ক্যমেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দামী ডিভাইস। এটি মিলিয়ন পিক্সেলের সমন্বয়ে গঠিত। আলো যখন লেন্সের মধ্য দিয়ে এসে এই সেনসরের ফটোএকটিভ লেয়ারে আঘাত করে তখন ঐ লেয়ারের নিচের পিক্সেলে একটি বৈদ্যুত্যিক চার্জ উৎপন্ন হয়। আলোর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পিক্সেলের বৈদ্যুত্যিক চার্জ বিভিন্ন রকমের হয়। এবং বৈদ্যুত্যিক চার্জগুলোর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় একটি ডিজিটাল ছবি।

পিক্সেল আর মেগাপিক্সেল
পিকচার এলিমেন্ট বা পিক্সেল হলো ছবির ইট। ইমেজ সেনসর আলোকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রুপান্তরের পর ইমেজ প্রসেসর পিক্সেলের পরে পিক্সেল সাজিয়ে ছবি বানায়। ম্যাক্সিমাম কয়টা পিক্সেল ব্যবহার করতে পারবে সেটা নির্ভর করবো সেনসরের সাইজের উপর । এখন আপনের ক্যামেরায় একটা ১০ মেগা পিক্সেলের ছবি বানাতে সেনসরের দৈর্ঘ্য বরাবর ৩৮৭২টা পিক্সেল আর প্রস্থ বরাবর প্রতি কলামে ২৫৯২টা পিক্সেল। টোটাল পিক্সেল হবে ৩৮৭২x২৫৯২ = ১০০৩৬২২৪টা পিক্সেল বা ১০ মেগাপিক্সেল। কোন ডিজিটাল ক্যমেরার রেসুলেশন কত মেগাপিক্সেল তা দিয়ে ঐ ক্যামেরার সেনসরের ক্ষমতাকেই বুঝায়। যত বেশি মেগাপিক্সেল তত বড় প্রিন্ট আউট নেয়া যাবে ছবির মান অক্ষুন্ন রেখেই।
7"x5" ফটো কোয়ালিটি প্রিন্টের জন্য ৩ মেগাপিক্সেলই যথেষ্ট!

ক্যামেরা কেনার আগে
প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন: মেগাপিক্সেল কত হবে, অপটিক্যাল জুম কত, ডিসপ্লের সাইজ এবং আপনার বাজেট। এরপর পছন্দনীয় ফিচার/ফাংশনগুলোর একটি তালিকা করুন। শুধুমাত্র ব্রান্ডের নাম দেখে পছন্দ করবেন না, ইদানিং লিডিং সব কোম্পানীর ক্যামেরার মানই ভালো। এবার আপনার কাঙ্খিত ক্যামেরাটি নিম্নলিখিত সাইটগুলোতে গিয়ে খুঁজে দেখুন:
১। DigiCam Resource Page
২। Imaging Resource
৩। Digital Camera Info
৪। PriceRunner
বিভিন্ন রিভিউ সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যামেরা সম্পর্কে এক্সপার্টরা কী বলে। এবার দোকানে গিয়ে ক্যামেরাটি ভালোভাবে দেখে সবকিছু (দাম, সার্ভিস, গ্যারান্টি, প্যাকেজের অন্যান্য উপকরন) পছন্দ হলে কিনে নিন।
ক্যামেরা কেনার পরে
ডিজিটাল ক্যামেরার জগতে আপনাকে স্বাগতম! প্রথমে ক্যামেরার সাথে যা যা থাকার কথা সবকিছু আছে কিনা দেখুন। তারপর ৩০টি মিনিট ধৈর্য ধরে প্যাকেটের ইউজার গাইড / ম্যানুয়েলটি পড়ুন। ইদানিং PDF ফরমাটে সিডিতে ম্যানুয়েল দেয়া হয় যা কমপিউটারে পড়তে হবে। সেখানকার নির্দেশ অনুসারে প্রাথমিক সংযোজন শেষ করে আপনার ক্যামেরার সাথে পরিচিত হন। কোন বাটন কী কাজ করে ও কোন অপশনটি কোন মেনুতে গেলে পাবেন ইত্যাদি জেনে আপনার প্রিয়তম মানুষটির শট নিয়ে experiment শুরু করুন।
অটোমুডে ছবি তোলা
অটোমুড কমপাক্ট ক্যামেরার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন।
১) ক্যামেরা অন করে অটো মুড নির্বাচন করুন।
২) দৃশ্যের গুরুত্বপূর্ণ বস্তু/ব্যক্তিকে ভিউফাইন্ডার/মনিটরের মাধ্যমে ফোকাস করুন।
৩) শাটার বাটনে অর্ধেক চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। ক্যামেরা এখন আপনার নির্বাচিত দৃশ্যের ছবির জন্য এক্সপোজার সেটিং করবে। কম্পোজ ফ্রেমের রং সবুজে পরিবর্তন হলে শাটার বাটনের বাকী অর্ধেক চাপ দিন। ক্যামেরা ছবিটি উঠিয়ে মেমোরিতে সেভ করবে।
৫) ভিউ/প্লে অপশন নির্বাচন করে ছবিটি মনিটরে দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় ও অবস্থানের ছবির জন্য সরাসরি প্রি-প্রোগ্রাম SCAN মুড থেকে অপশন সিলেক্ট করতে পারেন, এতে ক্যামেরার জন্য কম্পোজ করা সহজ হয়।
ফটোগ্রাফির ১ম কথাঃ এক্সপোজার (Exposure)
ডিজিটাল ক্যামেরায় এক্সপোজ হওয়া মানে হলো সেনসরের উপর আলো পড়া। সেনসরের উপর আলো পড়া কন্ট্রোল করার কায়দাই এক্সপোজার কন্ট্রোল। কারেক্ট এক্সপোজার হলো একটা সাবজেক্ট থেকে যে আলো রিফ্লেক্ট করছে, ঠিক সেই আলোটাই সেনসরে ধারন করা।
এক্সপোজার হlলো অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আই.এস.ও -এই তিনটির কম্বিনেশন। এই তিনটি কমিয়ে/বাড়িয়ে ফটোতে কারেক্ট এক্সপোজারে আনতে পারবেন। মূল আলোটার চেয়ে বেশী লাইট চলে আসলে ছবিটা এট্টু সাদা বা "ওভার এক্সপোজ্ড" [Over Exposed] হবে। আর কম আলো সেনসরের উপর পরে তাহলে ছবিটা এট্টু অন্ধকার বা "আন্ডার এক্সপোজ্ড" [Under Exposed] হবে ।
এক্সপোজার কন্ট্রোল করা
১- অ্যাপারচার (Aperture), অ্যাপারচার হলো ছিদ্র। ক্যামেরার ভিতরে কি "পরিমান" আলো ঢুকবে সেটা অ্যাপারচার দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হয়। লেন্সের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য Iris Diaphragm বা গোল আকৃতির ছিদ্রকে Aperture ছোট/বড় করে। f/# সংখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সাইজের এপারচার বোঝানো হয়। অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত বাড়বে, ছিদ্র ততো ছোট হবে ও ক্যামেরার ভিতরে ততো কম আলো ঢুকবে, আবার অ্যাপারচার ভ্যালু f/# যত কমবে ছিদ্র ততো বড় হবে ও ক্যামেরার ভিতরে তত বেশি আলো ঢুকবে। ক্যামেরায় লেন্সের ঠিক পরেই থাকে অ্যাপারচার কন্টোল।
ছবি-১ ২-
শাটার স্পিড (Shutter Speed)
শাটার হলো পরদা । লেন্স ও সেনসরের মাঝখানে আলো ঠেকানোর আবরণকে বলে শাটার। লেন্সের ভিতর দিয়ে অ্যাপারচাররে পাস করার পর আলো(Light) ক্যামেরার ভিতরে আসে, এখন আলো কতক্ষণ ক্যামরার ভিতরে ঢুকবে সেটা ঠিক করে দেয় শাটার স্পিড। পরদা অল্প সময় খুলে রাখলে আলো কম সময় ধরে ঢুকবে, আর পরদা বেশি সময় খুলে রাখলে আলো বেশি সময় ধরে ঢুকবে।হয়। ছবি তোলার সময় অর্থাৎ Shutter release button চাপার সাথে সাথে এই শাটার অল্পক্ষণের জন্য খুলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সাধারনত এই সময়টি এক সেকেন্ডেরও কম হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। শাটার স্পিডের একক হলো সেকেন্ড। শাটার স্পিডকে 1/90, 1/125, 1/250, 1/500, 1/1000, 1/1500 সেকেন্ড হিসেবে প্রকাশ করা হয়। শাটার স্পিড 1/4 sec অর্থ আলোটা ১ সেকেন্ডের ৪ ভাগের এক ভাগ সময় ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। আবার শাটার স্পিড 4 sec অর্থ আলোটা ৪ সেকেন্ড ধরে ক্যামেরার সেনসরের উপর পড়বে। একটা ক্যামারায় শাটার স্পিডগুলা সাধারনত এইরকম থাকে : 1/8000 s 1/4000 s 1/2000 s 1/1000 s 1/500 s 1/250 s 1/125 s 1/60 s 1/30 s 1/15 s 1/8 s 1/4 s 1/2 s 1 s 2 s 4 s 8 s। রাতের ও দিনের ছবির জন্য Aperture ও Shutter Speed ভিন্ন রকমের হয়। একটা ব্যস্ত রাস্তায় আপনি যদি স্লো শাটার স্পিড দিয়া ফটো তোলেন তাহলে দেখবেন গাড়ি গুলোর হেড লাইট আর টেল লাইট একটা লম্বা শাদা আর লম্বা লাল রেখার মতো তৈরি করছে।
অনেকটা এইরম: ছবি-২
আবার শাটার স্পিড বাড়ায় ( 1/200 sec) কোন ঝরনার ছবি তুললে পানি স্থির মনে হবে। যেমন: ছবি-৩ ৩-
ISO (Sensitivity): "ISO" = International Standards Organisation। "আইএসও" টার্মটা ব্যবহার করা হয় ফিল্মের বা নেগেটিভের "লাইট সেনসিভিটি"র স্কেল হিসেবে। এটি হচ্ছে একটি মাপ, যা বলে দেয় CCD বা CMOS সেনসর কতখানি সংবেদনশীল বা আলোর স্পর্শে কত তাড়াতাড়ি রিয়্যাক্ট করবে। ISO হলো সেনসর কতটা Light Sensitive বা আলোক সংবেদী। বেশী আলোক সংবেদী হলে কম আলোতেই আলোর সাথে রিয়েকশন ঘটাতে পারবে। আর যদি কম আলোক সংবেদী হয় তাহলে রিয়েকশন ঘটাতে অনেক বেশি "পরিমান" আলো বেশি "সময়" ধরে ফেলা লাগবে। ক্যামারায় আলোর পরিমান অ্যাপারচার দিয়ে আর সময় শাটার স্পিড দিয়ে কন্ট্রোল করা হয়। অ্যাপারচার আর শাটার ক্যামেরাতে থাকলেও ISO জিনিষটা সেনসরের একটা প্রপার্টিজ। ISO ১০০ মানে কম আলোক সংবেদী আর ৮০০ মানে বেশী আলোক সংবেদী। ISO বাড়ানোর একটা ঝামেলা ISO যতো বাড়বে, ছবিতে grain বা noise ততো বেশি আসবে।
ইদানীং বেশিরভাগ ক্যামরায় Pre-programmed Exposure Mode সেটিং করা থাকে, সেখান থাকে সিলেক্ট করেও কাজ চালানো যায়। যেমন: Landscape, Portrait, Sunset, Beach/Snow, Backlight, Macro, Night Scene, Fireworks, Panorama, Sports ইত্যাদি। যত বেশি মুড থাকবে তত বেশি সুবিধা। আপনার তোলা ছবি দেখে একটু চিন্তা করেন, ছবিটা কি ওভার এক্সপোজ্ড না আন্ডার এক্সপোজ্ড না ওই সময় ওইখানে যে আলোটা ছিলো তাই আসছে? ছবি গুলা জুম করে দেখেন ছবিতে গ্রেইন বা নয়েজ আসছে কিনা। অটো মোডে তুললে ঠিক এক্সপোজার পাওয়ার জন্য, ক্যামেরা নিজে নিজেই আই.এস.ও হাই করে দেয়। তাই ছবিতে গ্রেইন বেশি আসে। ছবি তোলার সময় "লাইট মিটার" দিয়ে বুঝা যায় যে ছবিটা আন্ডার/ওভার এক্সপোজ্ড কিনা ? অনেক ক্যামেরাতেই বিল্ট ইন লাইট মিটার থাকে। লাইট মিটার একটা সিনের লাইট মাপলে এক্সপোজার দেখায়। শাটার বাটন অর্ধেক চাপ দিলে একটু এডভানস্ড ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ডিসপ্লেতে আলোর পরিমান দেখাবে ও ফোকাস করবে। মাইনাস "-" এর দিকে মানে ক্যামেরায় আলো কম ঢুকছে, আলো বেশি ঢুকাতে ১) এপারচারটা বড় করা মানে f এর ভ্যালু এক স্টপ কমান। ২) শাটার স্পিড কমিয়ে দেয়া। যদি 1/500 থাকে তাইলে 1/250 করা। শাটার স্পিড কমালে ছবি কেপে যেতে পারে। ৩) আই.এস.ও বারানো। iso 200 থাকেলে iso 400 করা, কিন্তু এতে নয়েজ বারবে। প্রয়োজন অনুসারে, কোনটা বাড়াতে বা কমাতে হবে। উদাহারন হিসাবে বলা যায়, কোন চলমান বস্তুর স্থির ছবি চাইলে যদি শাটার স্পিড কমিয়ে দেন তাহলে তো আর ফ্রিজ হইবো না। কমাতে হবে এপারচার ভ্যালু অথবা বাড়াতে হবে আই.এস.ও। কম্পোজিশন কম্পোজিশন মানে হলো সাজানো। আপনার মনের চোখ যা দেখে সেটা কিভাবে একটা ছবিতে দেখাবেন আর সে জন্য ছবির উপাদান গুলা কিভাবে সাজাবেন তাকে ফটোগ্রাফিতে বলে কম্পোজিশন। যেহেতু আপনার দেখার চেয়ে ক্যামেরা একটু ভিন্ন ভাবে দেখে, তাই কম্পোজিশনের টেকনিক জানা থাকলে, ক্যামেরাও আপনার মতোই দেখাতে পারবে। কম্পোজিশনের কয়েকটা নিয়ম
১- ছবির সাবজেক্ট ঠিক করা, কি তুলতে চান (ছবির সাবজেক্ট), সেইটা আগে ঠিক করুন তারপর দেখেন আপনার ক্যামেরা সেটা তোলার ক্ষমতা রাখে কিনা।
২- ফোকাল পয়েন্ট কে একা করে দিন (Isolate the Focal Point), সাবজেক্ট ঠিক করার পর তাকে ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন করে তুলতে চেষ্টা করুন। সেটা করতে সাবজেক্টকে ফোকাল পয়েন্টে রাখতে হবে। ফোকাল পয়েন্ট হচ্চে লেন্সের সামনের যেই পয়েন্ট থেকে আলো এসে লেন্সের পিছনে সবচেয়ে স্পষ্ট ইমেজ তৈরি করে। ফোকাল পয়েন্টে যা থাকবে, সেইটা ছবিতে সবচেয়ে বেশি শার্প হবে। অনেক সময় সাবজেক্টকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আশে পাশে বা সামনে পিছনে কিছু আনশার্প এলিমেন্ট রাখা হয়। ছবিতে অনেক বেশি ফোকাল পয়েন্ট থাকে অনেকেই কনফিউজড হয় যে আসলে ছবিটাতে কি বুঝানো হয়েছে। তাই ছবিতে ফোকাল পয়েন্ট যতটা সম্ভব কম রাখতে চেষ্টা করুন।
৩- রুল অফ থার্ডস, এটি ফটোগ্রাফির অন্যতম মুল্যবান একটা কম্পোজিশন রুল। ছবির ফ্রেমে "#" এই রকম চারটা লাইনের একটা গ্রিড চিন্তা করুন যা ছবিকে ৯টি অংশে ভাগ করে। লাইন গুলা যেখানে ক্রস করে সেইগুলাকে বলে "গোল্ডেন সেকশন"। আপনার সাবজেক্টকে ছবির মাঝখানে না রেখে গোল্ডেন সেকশন ৪টার যে কোন একটাতে রাখুন।

Face Detection, Blink detection, Smart Auto scene selection ইত্যাদি নতুন নতুন ফিচার নিয়ে নতুন মডেলের ক্যামেরা বাজারে আসছে, আসবে। তবে ভালো ছবির ব্যাপারে শেষ কথা হচ্ছে, ভালো ছবি শুধু ক্যামেরার জন্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ক্যামেরার পিছনে একজন সৃজনশীল মানুষ। প্রাকটিস একজন মানুষকে দক্ষ করতে পারে। এজন্য ডিজিটাল ক্যামেরা পারফেক্ট। বিভিন্নভাবে এক্সপেরিমেন্ট করুন, ছবি ভালো না হলে ডিলিট করুন, অতিরিক্ত কোন খরচ নেই। আপনার ক্যামেরায় যেসব ফিচার/ফাংশন আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

জুম
'জুম ইন' করার অর্থ দুরের বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে বড়/কাছে দেখা। জুম দুই প্রকারের: অপটিক্যাল জুম ও ডিজিটাল জুম। অপটিক্যাল জুমে ক্যামেরা লেন্সের সাহায্যে বস্তুকে ছোটবড় করে এতে ছবির কোয়ালিটি অপরিবর্তিত থাকে। ডিজিটাল জুমের সাথে বস্তু বা লেন্সের কোন সম্পর্ক নেই, ডিজিটাল প্রসেসে ছবির কোন অংশকে বড় করে দেখানো হয় এবং ছবির কোয়ালিটি হ্রাস পায় ও ছবি ঝাপসা হয়ে যায়। সুতরাং ক্যমেরার ডিজিটাল জুম দেখে প্ররোচিত হবেন না, লক্ষ্য করবেন অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা কত। যত বেশি অপটিক্যাল জুম থাকবে তত বেশি দুরত্বের ছবি তোলা যাবে।


ক্যমেরার লেন্সের ফোকাল লেন্থ থেকে অপটিক্যাল জুম জানা যায়। ফোকাল লেন্থ্ হচ্ছে লেন্স থেকে সেনসরের দুরত্ব। যেমন: 5.8-17.4mm, 35-105mm ইত্যাদি। শেষের সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা বের হয়। 105/35=3। অর্থাৎ 3X Optical Zoom।
ফোকাস রান্জ:
লেন্স কতদুরের এবং কত কাছের বস্তুর ছবি তুলতে পারে তা Focus Range দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বেশির ভাগ ক্যামেরা অসীম (infinity) দুরত্বের বস্তুর ছবি তুলতে পারে। সুতরাং কত কাছের বস্তুর ছবি (Macro) তুলতে পারে সেটাই উল্লেখযোগ্য।
যেমন: 1.6 ft (0.5 m) to infinity (wide),
3.28 ft (1.0 m) to infinity (telephoto),
8 in. (0.2 m) (close-up) ইত্যাদি।

অটোফোকাস
ছবি তোলার সময় লেন্সকে জুম ইন বা জুম আউট করে অথবা নিজে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন দিকে মুভ করে ভিউফাইন্ডার/ডিসপ্লেতে দেখি কোন পজিশনে ছবিটি স্পস্ট আসে। এই কাজটি ক্যামেরার নিজে নিজেই করাকে অটোফোকাস বলে। ক্যামেরার শাটার বাটন অর্ধেক চাপলে ক্যামেরা নিজে নিজেই ফোকাস করে সম্ভাব্য সাবজেক্টকে স্পস্ট করে তোলে। সম্ভাব্য সাবজেক্ট স্পস্ট না আসলে কয়েক বার ক্যামেরার শাটার বাটন(ছবি তোলার বাটন) অর্ধেক চাপতে হবে বা একটু সরে দাড়াতে হবে।

হোয়াইট ব্যাল্যান্স:
অনেক সময়ই ছবির রং লালচে, সবুজাভ বা নীলচে হয়। ছবি থেকে অবাস্তব রঙের প্রভাব দুর করে বাস্তবসম্মত সাদা করার প্রসেসকে বলে হোয়াইট ব্যাল্যান্স।


ছবির রং ছবির আলোর উৎসের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। মানুষের চোখ খুব সহজেই ব্যপারটা বুঝতে পারলেও ক্যামেরা অনেক সময়ই এটা ঠিক করতে পারে না। সাবজেক্ট ও ক্যামেরার ডিসপ্লের ছবির দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা আছে কি না। হোয়াইট ব্যাল্যান্সের সমস্বা থাকলে ক্যামেরার মানু থেকে হোয়াইট ব্যাল্যান্স বা আলোর উৎস ঠিক করে দিলেই ছবির রং ঠিক হয়ে যাবে। হোয়াইট ব্যাল্যান্স .৩ করে -২ থেকে ২ পর্যন্ত হয়।


রঙের উৎসর তাপমাত্রা ====== আলোর উৎস
1000-2000 K ========== Candlelight
2500-3500 K ========== Tungsten Bulb (household variety) 3000-4000 K ========== Sunrise/Sunset (clear sky) 4000-5000 K ========== Fluorescent Lamps
5000-5500 K ========== Electronic Flash
5000-6500 K ======== Daylight with Clear Sky (sun overhead) 6500-8000 K ======== Moderately Overcast Sky 9000-10000 K ======= Shade or Heavily Overcast Sky



রেড আই রিডাকসন:
কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ফ্লাশ লাইট ও লেন্সের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। পোট্রেট বা ক্লোজ আপ শট নেওয়ার সময় ফ্লাশ লাইটের আলো যখন চোখের রেটিনা থেকে প্রতিপলিত হয়ে সোজাসুজি লেন্সে চলে আসে তখনই মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবিতে চোখের বর্ণে লাল হয়।


চোখের রেটিনা হল আয়নার মত শটের সময় ফ্লাশের আলো সামান্য কোণ সৃষ্টি করে লেন্সে ফিরে আসে। এই সমস্যাকে এড়ানোর জন্য Flash এর মেনু থেকে Red-Eye Reduction Flash Mode ব্যবহার করা হয়।

পাওয়ার সোর্স:
ডিজিটাল ক্যামেরার বহুমুখী ফাংশন ও এলসিডি ডিসপ্রের জন্য যথেষ্ট বিদুৎ প্রয়োজন। সুতরাং রিসার্জেবল ব্যাটারীর কোন বিকল্প নেই। সাধারণত ব্যাটারীর অপশন তিন রকমের হয়ে থাকে।
ক) Lithium Ion ব্যাটারী, এটি মোবাইল ফোনের মত ক্যামেরার সাথেই থাকে এবং ক্যামেরাসহ চার্জ করতে হয়। নতুন ব্যাটারীকে প্রথমবার ৮-১২ ঘন্টা চার্জে রেখে পূর্ণ চার্জ করা ভালো (ম্যানুয়েল দ্রষ্টব্য)। বিভিন্ন ক্যামেরার ব্যাটারীর সাইজ ও মডেল বিভিন্ন রকমের হয়। অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। যারা ক্যামেরা নিয়মিত ব্যবহার করেন সম্ভব হলে তাদের একটা রিজার্ভ ব্যাটারী কিনে নেয়া ভালো।
খ) সার্জারসহ Lithium Ion ব্যাটারী, সবকিছু উপরের মতই, শুধু পার্থক্য হচ্ছে আলাদা একটি চার্জার থাকে, ব্যাটারী ক্যামেরা থেকে বের করে এই চার্জারে রেখে চার্জ করতে হয়। সুবিধা হল, একটা এক্সট্রা ব্যাটারী কিনলে একটা স্ট্যান্ড বাই চার্জে রেখে আরেকটা দিয়ে ক্যামেরার কাজ চালানো যায়।
গ) Rechargeble AA NiMh (পেন্সিল ব্যাটারী)। এ অপশনে ব্যাটারী ও চার্জার আলাদাভাবে নিজেকে কিনতে হয়। ব্যাটারীর চার্জের ক্ষমতা mAh বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

ডিজিটাল ক্যামেরার সেনসরঃ
ইমেজ সেনসর একটি সিলিকন চীপ যা আলো সেন্স করতে এবং আলোকে ইলেকট্রিকাল সিগন্যালে রুপান্তর করতে পারে।"ইমেজ সেনসর" সাধারনত দুই ধরনের হয়। সি.সি.ডি (CCD = Charged Couple Device) আর সিমোস (CMOS = Complementary Metal Oxide Semiconductor)
সেনসর ডিজিটাল ক্যমেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দামী ডিভাইস। এটি মিলিয়ন পিক্সেলের সমন্বয়ে গঠিত। আলো যখন লেন্সের মধ্য দিয়ে এসে এই সেনসরের ফটোএকটিভ লেয়ারে আঘাত করে তখন ঐ লেয়ারের নিচের পিক্সেলে একটি বৈদ্যুত্যিক চার্জ উৎপন্ন হয়। আলোর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পিক্সেলের বৈদ্যুত্যিক চার্জ বিভিন্ন রকমের হয়। এবং বৈদ্যুত্যিক চার্জগুলোর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় একটি ডিজিটাল ছবি।

পিক্সেল আর মেগাপিক্সেল
পিকচার এলিমেন্ট বা পিক্সেল হলো ছবির ইট। ইমেজ সেনসর আলোকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রুপান্তরের পর ইমেজ প্রসেসর পিক্সেলের পরে পিক্সেল সাজিয়ে ছবি বানায়। ম্যাক্সিমাম কয়টা পিক্সেল ব্যবহার করতে পারবে সেটা নির্ভর করবো সেনসরের সাইজের উপর । এখন আপনের ক্যামেরায় একটা ১০ মেগা পিক্সেলের ছবি বানাতে সেনসরের দৈর্ঘ্য বরাবর ৩৮৭২টা পিক্সেল আর প্রস্থ বরাবর প্রতি কলামে ২৫৯২টা পিক্সেল। টোটাল পিক্সেল হবে ৩৮৭২x২৫৯২ = ১০০৩৬২২৪টা পিক্সেল বা ১০ মেগাপিক্সেল। কোন ডিজিটাল ক্যমেরার রেসুলেশন কত মেগাপিক্সেল তা দিয়ে ঐ ক্যামেরার সেনসরের ক্ষমতাকেই বুঝায়। যত বেশি মেগাপিক্সেল তত বড় প্রিন্ট আউট নেয়া যাবে ছবির মান অক্ষুন্ন রেখেই।
7"x5" ফটো কোয়ালিটি প্রিন্টের জন্য ৩ মেগাপিক্সেলই যথেষ্ট!

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×