বাংলাদেশের সংবিধানের '১৮ ক' তে বলা আছে "রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বণ্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।"
রাষ্ট্র কি তাহলে এর উল্টা পথেই হাঁটছে? পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন তো দূরের কথা বরঞ্চ এর বারটা বাজার কথা যদি রামপালে কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়। জীব বৈচিত্র্য ও বণ্যপ্রাণির নিরাপত্তা বিধান কিসের কী বরঞ্চ নিরাপত্তার কিছু যদি থাকে তা ভেঙ্গে পড়বার কথা যদি রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়।
পাগল কিংবা মাথাখারাপ ছাড়া কারাও বাবার কুদরত নাই এটা বলে যে, কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে কিন্তু পরিবেশের কোনই ক্ষতি হবে না। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতি তো হবেই, সেটা কম আর বেশি! সেই ক্ষতি মেনে নিয়েই সম্ভবত রামপাললের জন্য ছাড় দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রের মালিক আমি(জনগণ) এরজন্য কতটুকুন ছাড় দিতে প্রস্তুত? সচেতন নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রশ্নে এতো বড় ঝুঁকি নিতে আমি রাজি নই; আগ্রহীও নই। বিদ্যুৎ চাই কিন্তু সুন্দরবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে নয়।
বাঙ্গালী ভীষণরকম ভালবাসতে জানে কিন্ত বাঙ্গালীর ভালবাসা ক্ষমাহীন ভালবাসা। ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষমা হয় না আসলে কিছু ভুলের ক্ষমা হয় না। এজন্য ক্ষমাহীন ভুল করতে নেই। আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। এদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ প্রতিটি প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩১