somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনে পৌরসভার গাড়ীর ড্রাইভার আর সন্ধ্যার পরে রিকশা চালক

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৌরসভার চাকুরী পেয়েছি। সেদিন আমি তৃতীয় দিনের মত অফিস করিছলাম। নতুন বসায় জায়গা পেয়েছি, বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা ছিল সেটাও ঠিক করে নিয়েছে। সরাদিন মোটামুটি গোছগাছ করলাম। দিনের বেশ কিছু সময় বৃষ্টি হলো। তুমুল বৃষ্টি। জেলা স্কুলের মাঠ পর্যন্ত ডুবে গিয়েছিল। দিন শেষে একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। মেয়র স্যার থাকতে বলেছিলেন। সেজন্য অপেক্ষা করছিলাম। এর মধ্যে শুনলাম আজকে আর মিটিং হবে না। পরে রের হলাম পৌরসভা থেকে। গেটের কাছেই একটা রিকশা অনেক্ষন থেকে দাঁড়িয়ে ছিল।
স্যার কোথায় যাবেন?
আমি বললাম সার্কিট হাউজ যাব।
চলেন স্যার।
আমিও উঠে পরলাম। সে আমাকে নিয়ে আসছিল আর পৌরসভা সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলছিল। আমার কথাও শুনলো আমি নাকি বড় কর্মকর্তা নতুন এসেছি সে শুনেছে। আমি তার কথা শুনছিলাম। তার কথা শুনে মনে হচ্ছিল সে পৌরসভার অনেক খবর জানে। সেজন্য হঠাৎ মনে হলো সে আবার পৌর সভার কর্মচারী নাতো? আমি সত্যি সত্যি তার কাছে জানতে চাইলাম বিষটি? সে আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো জি স্যার। আমি পৌরসভার ড্রাইভার। গার্বেজ ট্রাক এবং রোড রোলার চালাই। এবার সত্যি মনটা খারাপ হয়ে গেল। একজন মানুষ একটা সরকারী চাকুরী করে। দিনে পৌরসভার ডিউটি করে। কিন্তু বেতন নিয়মিত হয় না সেজন্য সে এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। রিকশা চালায়। এটা হয়তো এখানকার পৌরসভার সবার কাছে সহজ ও স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমার কাছে কেন জানি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। পৌরসভা একটা সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমি যতদুর দেখেছি এর আয় এত কম হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যে আয় হওয়ার কথা সেটা নিশ্চই হয় না সেজন্য বেতনের এই সমস্যা।

সেই আমাকে বলছিল আগে একজন বড় স্যার ছিলেন, তিনি অত্যন্ত কড়া মানুষ ছিলেন। তার সময়ে কখনও বেতন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন হচ্ছে। তখনতো পৌরসভার আয় আরও কম ছিল, এখন তো আরও অনেক বেড়েছে। তার পরেও আমাদের বেতন দেয়ার সময় বলে পৌরসভার আয় নেই। আমাকে বলার সময় হয়তো সে ভাবছিল আমি সেই লোকের মত বড় কর্মকর্তা, কিন্তু আমি তো অত বড় কর্মকর্তা নই যে তার বেতন আবার নিয়মিত করতে পারবে। আমার সেই ক্ষমতাও নেই।

৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×