১০বছর একুশের ফেব্রুয়ারীর পরম সত্য থেকে দূরে ছিলাম। এমন না যে, দূরে থাকাটা উপভোগ করেছি। প্রতিটা দিন পুড়েছি "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি" গেয়ে সহস্র বাঙালীর পায়ে পা মিলানোর জন্য।
একুশে ফেব্রুয়ারী উপভোগ্য ছিল ছোটবেলায়। "উপভোগ্য" শব্দটা খুবই ভুল, মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, জানি। কিন্তু ছোটবেলায় একুশে ফেব্রুয়ারী প্রভাতফেরিতে যাওয়ার একটা উৎসব ছিল মাত্র।
স্কুল থেকেই চলে যেতাম রাজশাহী শহরের জেলখানার সামনে নানী বাসায়, ২০তারিখে। রাত বারোটা থেকে একের পর এক র্যালি এগিয়ে যেতো রাজশাহী ডিগ্রী কলেজের দিকে সাথে সমস্বরে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো"র সূর.... সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। যদিও ঐসময়টা একুশে ফেব্রুয়ারি আমার কাছে র্যালি করার উৎসব ছিল তবুও "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" শুনে এখনকার মত গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত তখনও।
২০০৫ সালে শেষ প্রভাতফেরিতে গেছিলাম পিংকির(ছোট খালা) সাথে। ২০০৬সালের ১৮ফেব্রুয়ারী দাদু পরপারে চলে গেল.. সেবছর একুশে ফেব্রুয়ারী কবে, কিভাবে পার হয়ে গেল, টেরই পাই নি। এরপর একেকটা নিত্য কারণে প্রভাতফেরি থেকে বঞ্চিত আমি।
এবছর মনঃস্থির করলাম, ভার্সিটির প্রভাতফেরির অংশ হবো কিন্তু এক বিশেষ কারণবশত এবারও বঞ্চিত আমি......
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯