সিনেমা নিয়ে লেখালেখির সুবাদে অন্যদের কাছ থেকে জানতে পারা যায় কি কি সিনেমা দেখা যায় বা কোন কোন সিনেমা দেখা উচিত। অনেকেই বলছিল উত্তম কুমারের সাড়ে ৭৪ ছবিটি দেখতে। এটি ১৯৫৩ সালের সিনেমা। বহু বছর আগের সিনেমা। উচুমানের সব বাঘা বাঘা অভিনেতারা রয়েছে এই ছবিতে। উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন ছাড়াও আছেন তুলসি চক্রবর্তি ও ভানু বন্ধোপাধ্যায়। সত্যিকার অর্থে চমৎকার একটি সিনেমা সেকেন্ডে সেকেন্ডে উপভোগ করলাম।
এতো সাবলীল অভিনয় এখনকার বাংলা সিনেমায় দেখা যায় না। প্রত্যেকের অভিনয় ছিল দেখার মতো। তাদের অভিনয় দেখে মনে হচ্ছিলো না যে তাদের সামনে ক্যামেরা রয়েছে। সাধারণ গল্প, সাধারণ সংলাপ কিভাবে অসাধারণভাবে দূর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হয় সেটা তারা জানতেন।
কাহিনী খুব সিম্পল। একটি বোর্ডিং হাউজকে ঘিরে কাহিনী। রজনীবাবুর (তুলসী চক্রবর্তি) একটি বোর্ডিং হাউজ আছে নাম আনাপূর্না বোর্ডিং হাউজ। সেখানে মূলত সব পুরুষ মানুষরাই থাকে। একদিন রজনীবাবুর এক আত্মীয় তার বোর্ডিং হাউজে এসে আশ্রয় চায়। সে আত্মীয়ের আবার এক মেয়ে রয়েছে নাম রমোলা (সুচিত্রা সেন)। এক মেয়ে মানুষ কেনো বোর্ডিং হাউজে থাকবে সে নিয়েই সব মজার কাহিনী।
আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে সিনেমাটি। আমি ৯.৫/১০। আপনারা যারা দেখেননি আর দেরী না করে দেখে ফেলুন। এখন এমনিতেই সবাই বাসাবাড়িতে বন্দী, সুতরাং হাতে সময় আছে অবশ্যই।
যাই হোক, শেষে বলবো, সিনেমা দেখতে ভালো লাগে আর সিনেমা নিয়ে লিখতেও ভালো লাগে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৯:১৭