কেকাপ্পার রান্নার অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হচ্ছে, উনি গেস্টকে একটা কথাও বলার সুযোগ দেন না।যেমনঃ
কেকা ম্যাডামঃ বিশাখা,তুমি তো আজ আমাদেরকে চিংড়িমাছের পায়েস রান্না করে দেখাবে, তাই না?
বিশাখাঃইয়ে মানে....জি....জি....
কেকাঃতুমি তো বলেছিলে তোমার বাসার সবাই এই রেসিপিটা খুব পছন্দ করে।
বিশাখাঃ হ্যাঁ,আমার আব্বু তো প্রতিদিন.....
কেকাঃতাহলে রান্নাটা শুরু করে দাও।তুমি তো বলেছিলে প্রথমে দুধ ঘন করে জাল দিতে হবে।
বিশাখাঃ জি।তারপর চিংড়ি পেস্ট করে....
কেকাঃতুমি তো বলেছিলে চিংড়ি পেস্ট ঘন দুধে দিয়ে চিনি দিয়ে নাড়তে হবে।
বিশাখাঃহ্যাঁ।তারপর নামিয়ে...
কেকাঃতুমি তো বলেছিলে তারপর এটা নামিয়ে ঠান্ডা করে পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে দেব পায়েসের ওপর।তুমি তো এভাবেই ডেকোরেশন করো তাই না!!
বিশাখা ঃহ্যাঁ, ডেকোরেশনে আমি আরো একটা কাজ করি.....
কেকাঃতুমি তো বলেছিলে তুমি সুন্দর গান গাও।আজ দর্শককে একটা গান শোনাও।
বিশাখা তরল হাসি দিয়েঃ আমারো পরানো যাহা....
কেকাপ্পা মাঝপথে গান থামিয়ে দিয়েঃ আমাদের পায়েসটা এবার হয়ে গেছে।দর্শক, দেখুন কি চমৎকার পায়েস হয়েছে!! খেতেও নিশ্চয়ই খুব দারুণ হবে।
বিশাখাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ,এই পায়েসটা.....
কেকাপ্পাঃআমরা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।বিশাখা তোমাকে ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি রেসিপি করার জন্য।
বিরস বদনে বিশাখাঃআপনাকেও ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩