নিজের কামরায় প্রবেশ এ; কামরাটি যেন বলছিল- কেন আমাকে দু্থমাস পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছেনা? কি-আর করা, লেগে গেলাম। নিজের কামরা, ড্রইংরুম, রান্নাঘর পরিস্কার করতে প্রায় ৪ ঘন্টা লেগে গেলো। এদিকে এক মাসের নোংরা জামা-কাপড় দিয়েছি ধোলাই যন্ত্রে। যন্ত্রটি না থাকলে অত্যাবশকীয় ভাবে আমাকে এখন ডঃ ফাতিনের হাসপাতালে থাকতে হতো! এই লেখা সম্ভব হতোনা। সবকাজ শেষ করে বিকাল ৪ টার দিকে লাঞ্চ করে বিছানায় এপাশ ওপাশ করছি- এমন সময়ে চৌধুরী ফিরেছে। মজার বিষয় হলো- ও ৮৫০ কিঃ মিঃ দুর হতে আমার জন্য ুহাওয়াই-মিঠাইচ্ নিয়ে এসেছে! আল্প কিছু হাওয়াই-মিঠাই খেয়ে দু্থমগ কফি নিয়ে ওর সাথে ১০ মিনিট গল্প করে আবার বিছানায় এসেছি। এমন সময় কেনান (কংকা) হাঁসি মুখে উপস্থিত। আনিচ্ছা সত্ত্বেও ওর সাথে বের হতে হলো সন্ধায়। গেলারীয়াতে (সপিং কমপ্লেক্সে) গিয়ে ৩ ডলারের বিনিময়ে দু্থজন টেবিল টেনিস খেললাম দুই দফা। সত্যই ভালো ছিল মসয়টা। এবারই প্রথম মনে হলো- কংকা শুধু ঝামেলাই করেনা, কিছু ভালো সময়ও উপহার দেয়। এর পর প্রায় ঘন্টা দুই রাস্তায় হাঁটলাম। স্বভাব জনিত কারণে কংকা শুধু বক্ বক্ করেই যাচ্ছিলো। আমার কানে এয়ারফোন থাকায় ওর বকবকানি সঙ্গীতের সাথেই মিশে যাচ্ছিলো। দা-ক্যাপি তে গিয়ে ভরপেট শিক-কাবাব খেয়ে নিলাম। এর পর গেলাম আফিস এরিয়ায়। কংকা দু-জোড়া জুতা কিনলো ৬০ ডলার দিয়ে। আমি ১২ ডলার দিয়ে একটি সিডি-ব্যাগ আর এক প্যাকেট পার্লিমেন্ট কিনলাম।
আম্মাজান কে ফোন করার কথা ছিলো। রাত আনেক হয়েছে। এতো রাতে অবিবাহিত বন্ধুদের কাছে ফোন করা যায়।
বাসার ইন্টারনেট মাস খানেক ধরে চ্যুত হয়েছে। টেলিফোনটি গভর্নর অফিসের নামে হওয়াতে নতুন লাইন পেতে দেরী হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


