somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিন চার্মিক এ।

২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখনও দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেঃ। ভুমধ্যসাগরিয় আঞ্চলে এখন গ্রীষ্মকাল। শীতকালে সপ্তাহে একদিন গরম পানি দিয়ে পক্ষী স্নান (গোসল) করতে হয়। কখনও কখনও সাপ্লইয়ের পানি ঠান্ডা হয়ে বরফ হয়ে যায় তখন পানি সাপ্লাই বন্ধ। এরকম দুঃসময়ে এখনও পড়তে হয়নি কেননা আমাদের ভবনটিতে আধুনীক ক্যালিপার রয়েছে যা ভবনের ভিতরটা গরম রাখে।
যা-হোক, গত সপ্তাহে গোসল করার জন্য গিয়েছিলাম ুচার্মিকচ্ এর বিখ্যাত হামামে। দুরুত্ব এখান হতে প্রায় ৯৫ কিঃমিঃ। ছুটির দিন তাই ড্রাইভার ওগুল না থাকায় মিনিবাসে যেতে হয়েছে। সাথে এবার ও কংকা (ও আমার ভালো বন্ধু এবং ছায়ার মতো লেগে থাকে)। শহরে আবশ্যি বেশ কয়েকটি সৌখিন আর ব্যায় বহুল হামাম রয়েছে। তবে ুচার্মিকচ্ সর্ব সেরা। কেন? বলছি-

হামামের পানি ভিষন গরম। প্রাকৃতিক ভাবেই ভিষন গরম। পাহাড়ের উৎস থেকে আসছে এই আশ্চর্য জলধারা। উৎস হতে পানি আসছে হামামে আবার নোংরা পানি নিয়ন্ত্রিত ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে। বৃহৎ এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হামামে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ২৮ টি কক্ষ (ব্যক্তিগত, যৌথ আর গণ)। ৪ লিরা করে দিয়ে মধ্যম শ্রণীর এক কক্ষে আমি আর কংকা প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করেই আমার বিশ্বয়ের সীমা রইলোনা! বৃহৎ এই কক্ষে প্রায় ১২-১৫ জন গোসল করছে। পুরো কক্ষটাই বাষ্পে ভরে আছে আর প্রথম ৫ মিনিট কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছিলোনা। মাঝ খানে বড় এক চৌবাচ্চা। টৈটুম্বুর এই চৌবাচ্চা হতে বাষ্প উঠছে। চার পাশ ঘিরে উচু বসার জায়গা। সেখান হতেও পাইপ লাইনে গরম পানি আসছে।
চৌবাচ্চার পানি এতই গরম যে হঠাৎ ভুল করে কেউ নামলে শরীর ঝলসে যেতে পারে। প্রথমে কক্ষে প্রবেশ করে উষ্ম হাওয়ায় শরীর মানিয়ে নিয়ে তবে সেখানে নামতে হবে। আমি প্রায় দু্থঘন্টা ছিলাম। এই সময়ে কখনই ৩ মিনিট এর বেশি চৌবাচ্চায় ভাসতে পারিনি। কোন রকম ডুব দিয়ে আবার বসে থাকতে হয়েছে উচু স্থানে।

আসলে এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে-
পাহাড় এবং পর্বতের গর্ভ হতে আসা এই পানির রয়েছে বিশেষ শক্তি। যা আনেক রোগ সারাতে সহায়ক। সবাই তাই বিশ্বাস করে এবং হয়তো সত্যি। দূর দূরন্ত হতে মানুষ আসছে। হামামের চার পাশ ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। আমি এখানে অনেক বিকলাঙ্গ দেখেছি আনেক বাতের রোগি দেখেছি- কথা বলেছি। যারা নিয়মিত আসেন এখানে।

হামামের ভিতরে ছবি তোলা বারণ।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×