যা-হোক, গত সপ্তাহে গোসল করার জন্য গিয়েছিলাম ুচার্মিকচ্ এর বিখ্যাত হামামে। দুরুত্ব এখান হতে প্রায় ৯৫ কিঃমিঃ। ছুটির দিন তাই ড্রাইভার ওগুল না থাকায় মিনিবাসে যেতে হয়েছে। সাথে এবার ও কংকা (ও আমার ভালো বন্ধু এবং ছায়ার মতো লেগে থাকে)। শহরে আবশ্যি বেশ কয়েকটি সৌখিন আর ব্যায় বহুল হামাম রয়েছে। তবে ুচার্মিকচ্ সর্ব সেরা। কেন? বলছি-
হামামের পানি ভিষন গরম। প্রাকৃতিক ভাবেই ভিষন গরম। পাহাড়ের উৎস থেকে আসছে এই আশ্চর্য জলধারা। উৎস হতে পানি আসছে হামামে আবার নোংরা পানি নিয়ন্ত্রিত ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে। বৃহৎ এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হামামে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ২৮ টি কক্ষ (ব্যক্তিগত, যৌথ আর গণ)। ৪ লিরা করে দিয়ে মধ্যম শ্রণীর এক কক্ষে আমি আর কংকা প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করেই আমার বিশ্বয়ের সীমা রইলোনা! বৃহৎ এই কক্ষে প্রায় ১২-১৫ জন গোসল করছে। পুরো কক্ষটাই বাষ্পে ভরে আছে আর প্রথম ৫ মিনিট কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছিলোনা। মাঝ খানে বড় এক চৌবাচ্চা। টৈটুম্বুর এই চৌবাচ্চা হতে বাষ্প উঠছে। চার পাশ ঘিরে উচু বসার জায়গা। সেখান হতেও পাইপ লাইনে গরম পানি আসছে।
চৌবাচ্চার পানি এতই গরম যে হঠাৎ ভুল করে কেউ নামলে শরীর ঝলসে যেতে পারে। প্রথমে কক্ষে প্রবেশ করে উষ্ম হাওয়ায় শরীর মানিয়ে নিয়ে তবে সেখানে নামতে হবে। আমি প্রায় দু্থঘন্টা ছিলাম। এই সময়ে কখনই ৩ মিনিট এর বেশি চৌবাচ্চায় ভাসতে পারিনি। কোন রকম ডুব দিয়ে আবার বসে থাকতে হয়েছে উচু স্থানে।
আসলে এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে-
পাহাড় এবং পর্বতের গর্ভ হতে আসা এই পানির রয়েছে বিশেষ শক্তি। যা আনেক রোগ সারাতে সহায়ক। সবাই তাই বিশ্বাস করে এবং হয়তো সত্যি। দূর দূরন্ত হতে মানুষ আসছে। হামামের চার পাশ ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। আমি এখানে অনেক বিকলাঙ্গ দেখেছি আনেক বাতের রোগি দেখেছি- কথা বলেছি। যারা নিয়মিত আসেন এখানে।
হামামের ভিতরে ছবি তোলা বারণ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


