ও নাবিক! ঝড়ো সমুদ্রে হারালে গুপ্তধন অতীব আপন,
থামলে প্রলয়, পায় কি হদিস তার আজো কেউ কখনো!
মুক্তা মণির স্তূপ সব আনমনে গ্রাস করে প্রবীণ কাছিম,
পৌছায় অমরত্বে; তোমার প্রাপ্য জীবন বাকীই এখনো!
নারিকেল পাতা ঝিরিঝিরি আলোকে কাটছে তলোয়ারে,
বেলাভূমি ছুয়েছে ডুবন্ত জাহাজের ভাংগা গলুইয়ের পাড়,
কাঠের টুকরোরা স্মৃতি হয়ে আসে তোমার মনের ভিতরে!
স্মৃতিরা আসলে, তবুও ফেরেনা হৃদয়ের হারানো রতন,
বহু খোজ ব্যর্থ হয় তলহীন মহাসাগরের নিংড়ানো স্রোতে!
তোমার একাকীত্বের সাথী আলবাট্রসও উড়ে গেছে দূরে,
পাখা ঝাপটানো শেষ শব্দও লবণাক্ত বাতাস নিল শুষে!
ভাংগা দ্বীপ আর নির্জনতায় পারস্পরিক প্রতিধ্বনি ঝরে,
শুষ্ক দৃষ্টি জলন্ত বেলাভূমিতে পুড়ে পৌরাণিক প্রতীক্ষায়,
তবু গোধূলি আলোয় আসেনা সেই নিঃসংগ পাখি ফিরে!
ছেড়া পাল সাদাপাখি হয়ে লুন্ঠিত হীরকের সাথেই হারায়,
নাবিক নির্দয় বালুচরে নিয়ে ঝিনুকের কষ্টে লুপ্ত এ জীবন,
অদেখা গোলাপি মুক্তার আশা শৈবালে মেখে রাখে জলে!