আমি একটি মৃদু হাসি দিলাম, মেয়েটিও মৃদু হেসে উঠলো
=======================================
অনেক দিন পর সকালে মিরপুর থেকে ইতিহাস পরিবহনে করে সাভার আসছিলাম।
সকালের মৃদু ঠান্ডা বাতাস আর দ্রুতগামী বাসের কিছুটা গতি আর ঝাকুনি
সব মিলে ভালোই লাগছিলো।
আমিনবাজার পার হয়ে বাস যখন বলিয়াপুরের কাছাকাছি
তখন আমি পুরোপুরি অন্য জগতে ডুবে গেছি।
বাসে উঠার পর একবার ই কানে আসছিলো কোন একজন বক্তার ওয়াজ
আর সেই ওয়াজের বিষয়বস্তু ছিলো অনেকটা এই রকম
ইভটিজিং, যুব সমাজ, ব্লু ফিল্ম, নারীদের পর্দা...
এই কথাগুলো তখন শুনতে পাচ্ছি যখন আমার পাশের জন আমাকে হাত ধরে টানছে।
মুহুর্তের মধ্যে মনে পড়লো আমি বাসে এবং লোকটি ইশারায় দেখাচ্ছে যে
ওই পাশের একটি মেয়ে আমাকে ডাকছে যাকে আমি এই প্রথম বার দেখছি
কিছুটা বিস্ময় নিয়ে মেয়েটির দিকে তাকাতে না তাকাতেই বলে উঠলোঃ
এই যে আপনার হাতের মোবাইলটা বন্ধ করেন তো
সাঝ সকালে এগুলো শুনতে ইচ্ছে হলে কানে হেড ফোন দিয়ে শুনেন, যত্তসব
কোন কথা বলার সুযোগ দিলো না, উনি শিওর যে আমার মোবাইলেই ওয়াজ চলছে।
উনার সাথে কোন তর্কে না গিয়ে শুধু এই মামা বলে একটা জোরে আওয়াজ দিলাম।
বললামঃ মামা আমার মোবাইল এর ওয়াজটা বন্ধ করেন, পেসেঞ্জারের সমস্যা হচ্ছে।
পুরো বাসের সবাই হা করে আমার দিকে প্রথম তাকিয়ে ছিলো।
তারপর কিছু নারীবাদী সেই মেয়ের পক্ষ হয়ে, এই ড্রাইভার বন্ধ করো এসব ওয়াজ
তোমার শোনার ইচ্ছে হলে বাসায় গিয়ে শুনবা
যদিও অতি স্মার্ট সেই ম্যাডাম তখন চুপচাপ বসে ছিলো।
মেয়ে মানুষের এই বোকা চেহারাটা খুব ভালো লাগে আমার।
ওর দিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে আর তাকাই নি লজ্জ্বা পাবে
আমি ভাড়া দেবার সময় মেয়েটি মনে হয় আমার দিকে খেলায় করেছিলো
যখন নামার জন্য সিট থেকে উঠে দাঁড়ালাম তখন সেও উঠে গিয়ে সামনে বসলো
সবার সামনে হয়তো সরি টরি বলতে লজ্জ্বা পাচ্ছিলো, কারন জাবির স্টুডেন্ট
আমাকে কিছু হয়তো বলতে চেয়েছিলো উঠে দাঁড়ালো এবং আমার দিকে তাকালো
তখন ই আমার ফ্রেন্ডের ফোন আমি ফোন কানে নিয়েই নেমে গেলাম..
কিন্তু অনুমানটা ঠিক কী না তা পরখ করার জন্য জানালায় চোখ রাখলাম
মেয়েটি জানালা দিয়ে মনে হয় কারো দিকে চেয়ে আছে
ইসারায় কাও কে সরি বললো, কী নিষ্পাপ চেহারা!
আমি একটি মৃদু হাসি দিলাম, মেয়েটিও মৃদু হেসে উঠলো
মানুষ মাত্রই ভুল