somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তিন লক্ষ না ত্রিশ লক্ষ?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে,চা ষ্টল-কফি ষ্টল, হোটেল-রেষ্টুরেন্টসহ সর্বত্র এই আলোচনায় মুখরিত. বেগম জিয়া বলছেন শহিদের সংখ্যা নিয়ে ভূল শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে.. শেখ হাসিনা ত্রিশ লক্ষ শাহিদ হয়েছেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন.মনে এই প্রশ্ন
অবশ্যই আসে যে
কিসের ভিত্তিতে
জানা গেল যে ৩০ লক্ষ্
শহীদ হয়েছেন।
আমরা যখন স্কুলের
বইতে বাচ্চাদের
শিখাই ৩০ লক্ষ,
তারাই পরবর্তীতে
ইন্টারনেটে বা
আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে
ভিন্ন সংখ্যা ও
বিতর্ক গুলো দেখে।
বুঝতে হবে যে
বিশ্বায়নের যুগে এখন
সব
তথ্য উন্মুক্ত। আমরা
৩০ লক্ষ্ বললেও
আন্তর্জাতিকভাবে
বলা হয় নিরপেক্ষ
যাচাই এ যে সংখ্যা
পাওয়া গিয়েছে
সেটা ৩০ লক্ষ নয়।
সুতরাং এটা নিয়ে
অবুঝ আবেগের কোন
কারন নেই। আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের
জন্য, আমাদের
সম্মানের জন্যই
সঠিক হওয়া
প্রয়োজন।
আমরা যেন নিজেদের
মিথ্যাবাদী
জাতি হিসেবে
পরিচিত না করি। যদি
আমরা ৩০ লক্ষ্ বলি
তাহলে সেটা
ডিফেনড করার জন্য
পরিসংখ্যান ও
যুক্তি যেন থাকে।
একটি কথা পায়ই
শোনা যায় যে
জাতিসংঘ সম্মেলনে ৩
লক্ষ এর জায়গায়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
৩০ লক্ষ্ বলেছিলেন
স্বাধীন
বাংলাদেশের প্রতি
সহমর্মিতা ও
অনুদান আদায়ের জন্য
বা ৩ লক্ষ এর
জায়গায় ভুলে ৩
"মিলিয়ন" বলে
ফেলেছিলেন যেটা
পরবর্তীতে চালু হয়ে
যায়। সুতরাং পরিস্কার
হওয়া জরূরি। এটা
নিয়ে অন্ধ আবেগের
কিছু নেই।
এখানে কেউ বলছে না
যে গণহত্যা হয়নি।
ব্যাপারটি হল ৩০
লক্ষ নিয়ে কারন
আন্তর্জাতিক
নিরপেক্ষ যাচাইয়ে ৩০
লক্ষ বা তার
নিকটবর্তী কোন
সংখ্যা
পাওয়া যায়নি। আর
এটাও প্রশ্নবিদ্ধ যে
কিভাবে ৩০ লক্ষ
নির্ধারণ করা হল।
এটাও বলা হয় যে শেখ
মুজিব ৩ লক্ষ এর
জায়গায় ভুলে অথবা
বেশি অনুদান
লাভের জন্য ৩
"মিলিয়ন" বলেছিলেন।
কেউ বলেনি যে
শহীদদের নামের
লিস্ট
বানাতে হবে বা একদম
৩০ লক্ষ দেখাতে
হবে। দরকার একটি
গ্রহনযোগ্য ভিত্তি
যা
দিয়ে আমরা
আন্তর্জাতিক
যাচাইকে
চ্যালেঞ্জ জানাতে
পারব। শেখ মুজিব
৭২-৭৩ এ বিভিন্ন
সম্মেলনে ৩০ লক্ষ
বলেছেন যেটা প্রশ্ন
রাখে কিভাবে
যাচাই করা হয়েছে।
কারন তখনও ভারত
থেকে শরণার্থীরা
দেশে ফিরছিল এবং
সংখ্যা যাচাইয়ের
লোকবল/সামর্থ্য
ছিল
না! এটি নিয়ে অবশ্যই
বিতর্ক অবসানের
দাবি রাখে। আমরা আর
কত নিজেদের
মিথ্যাবাদী জাতি
বানাব। রাজনৈতিক
ফায়দা হাসিলের জন্য
রানা প্লাজা
থেকে এক রেশমা
উদ্ধার নাটক করে
বিশ্ববাসীর কাছে
নিজেদের
মিথ্যাবাদী আর
হাসির পাত্র
বানিয়েছি।
আর মুজিবের কাছে
২৫ এ মার্চের আগে
তাজউদ্দীন আহমেদ
যখন স্বাধীনতার
ঘোষণাপত্র নিয়ে
স্বাক্ষর করতে বার
বার অনুরোধ করেছেন,
মুজিব তখন
স্বাক্ষর করতে
অস্বীকার করেছে এই
বলে যে পরে
পাকিস্তানীরা এটিকে
প্রমান হিসেবে
ব্যাবহার করে তার
বিচার করবে। অর্থাৎ
তিনি ভাবতে
পারেননি যে বাংলাদেশ
স্বাধীন হবে।
তাজউদ্দীন
আহমেদের মেয়ের
লেখা
বইতেই সব আছে।
আমাদেরকে দেশের
প্রচলিত ইতিহাস
খাওয়ানো হয় যা
মিথ্যায় ভরপুর। সঠিক
ইতিহাস জানার
জন্য নিরপেক্ষ মন
নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের
সব কিছু পড়ে নিজের
যাচাই করা উচিত।
তাজউদ্দীন
আহমেদের মেয়ের
লেখা বই
পড়েছেন?
আন্তর্জাতিক
বিভিন্ন
নিরপেক্ষ তদন্ত গুলো
পড়েছেন?
মুক্তিযোদ্ধা এম এ
জলিল এর বই পড়েছেন
যেখানে বলা হয়েছে
কেন আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের
সর্বাধিনায়ক
ওসমানী কে
১৬ ডিসেম্বর
আত্মসমর্পণ
অনুষ্ঠানে
আসতে বাধা দিয়েছিল
ভারতীয় বাহিনী
এবং সিলেটে তার
হেলিকপটারে গুলি
করেছিল......? আমরা
অবশ্যই আবেগ নিয়ে
থাকব, কিন্তু অন্ধ বা
মিথ্যা আবেগ নয়।
এই যুক্তি আমার নয়,
নিরপেক্ষ সকলের।
বিভিন্ন সুত্র থেকে
জানুন, পড়ুন। অনেক
ধারনাই পরিবর্তন
হবে। বুঝবেন কিভাবে
আমাদের ইতিহাস
ক্রমশ পরিবর্তন করা
হয়েছে আর আমাদের
খাওয়ানো হয়েছে।আসুন আমরা সবাই স্বচ্ছ সুন্দর সঠিক ইতিহাস নব প্রজন্মের সামনে তুলে ধরি.শিখাই.উজ্বল সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ি.
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×