somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাদিপাই-পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা একটি ছোট্ট গ্রাম।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাহাড়ি গ্রামগুলো বরাবরই খুব চমৎকার, পাহাড়ের ভাজে ভাজে অপরূপ সবুজ, আর সেই সবুজের ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়িদের ছোট ছোট কুড়ে এবং তাহাদের পরিশ্রমী ও অকৃত্রিম জীবন আমাকে খুব টানে, তাইতো সুযুগ পেলেই আমি ছুটতে চাই পাহাড়ের পাণে। আজ আপনাদের নিয়ে যাবো তেমনি একটি পাহাড়ি গ্রামে যার নাম জাদিপাই পাড়া।

বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ চুড়া কেওকারাডাং পর্বত থেকে পূর্ব দিকের ঢাল বেয়ে ১০/১৫ মিনিটের পথ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্রাম পাসিং পাড়া, যার উচ্চতা ৩০৬৫ ফুট। পাসিং পাড়ার পুর্বদিকের শেষ মাথায় গিয়ে উকি দিলেই নিচের দিকে দেখা যায় চারিদিকে পাহাড় আর সবুজ বন বেষ্টিত ছবির মতো লম্বা এক টুকরো অসমতল ভুমি, এটাই হলো বম অধ্যুষিত জনপদ জাদিপাই পাড়া। এই পাড়া থেকে আরো নিচের দিকে এগিয়ে গেলে পাওয়া যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা জাদিপাই। এতো সময় স্বল্পতা ছিলো যে, এখানকার গ্রাম বাসীদের সাথে ভালোভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগও পাইনি, ভবিষ্যতে হয়তো সেটা হয়ে যাবে।


(২/৩) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্রাম পাসিং পাড়া থেকে জাদিপাইকে দেখায় এমন।




(৪) পাসিং পাড়া থেকে জাদিপাইয়ের পথটা অত্যন্ত খাড়া ভাবে নেমে গেছে, জাদিপাইয়ের দিকে হেটে না নেমে আসলে দৌড়ে নামতে হয়, আর সেই পথ যদি পিচ্ছিল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।


(৫) পাহাড়িদের প্রত্যেকটা পাড়ারই একটা সীমারেখা আছে, যেমন এই গেইট পার হলেই জাদিপাই পাড়া শুরু, যদিও লোকালয় এখান থেকে আরো বেশ কিছুটা দূরে। আর বাম পাশের পথটা চলে গেছে বাকলাই পাড়ার দিকে।


(৬) জাদিপাইয়ে আমাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বুনো ফুলেরা ছিলো প্রস্তুত।


(৭) ঐ তো জাদিপাইয়ের মূল গ্রামে প্রবেশ করলাম বলে।


(৮/৯) জাদিপাই পাড়াটা মূলত একটা লম্বা হালকা উচু নিচু প্রায় সমতল ভুমি, তার মাঝখানে দাড়িয়ে দুই দিকে ক্যামেরা তাক করে তোলা দুইটি ছবি।




(১০) ছোট্ট শিশুরা আমাদের দলটিকে অবাক চোখে দেখছিলো।


(১১) আরো দুরে একদল শিশু কিছু নিয়ে খেলছিলো।


(১২) এটা ওদের প্রার্থনা গৃহ।


(১৩/১৪) পৃথিবীর সকল মায়ের ভালোবাসা একই রকম, জাদিপাইয়েও তার ব্যতিক্রম নয়।




(১৫/১৬) জাদিপাইের পুর্ব দিকের ঢাল বেয়ে নেমে গেলে বেশ কিছুটা সমতল ভূমি পাওয়া যাবে, সেই সমতল পেড়িয়ে আরো কিছু বিপদজনক খাড়া ঢাল বেয়ে এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় বাংলাদেশের সেরা রূপসী জাদিপাই ঝর্ণা




(১৭) ঝর্ণার পাশ থেকে জাদিপাই পাড়াকে এমন দেখায়।


(১৮) জাদিপাই পাড়া হতে এক সময় আমরা ফিরতি পথ ধরি.......


(১৯/২০) ইচ্ছে আছে কোন এক চাঁদনী রাতে জাদিপাইয়ে রাত কাটাবো, হয়তো তখন মনে হবে চাঁদের আলোয় ডুবে আছে কোন একটা পুকুর, আর সেই পুকুরের তলদেশে থেকে আমি পৃথিবীর রূপসূধা পান করছি। তিন দিক পাহাড় বেষ্টিত থাকায় জাদিপাই পাড়াকে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হয়, তাই এমনটি আমার ইচ্ছে। জানিনা সেই ইচ্ছে কোন দিন পূরণ হবে কিনা!!



বিঃ দ্রঃ এটা মূলত একটা ছবি ব্লগ


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪২
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×