গ্রামের নাম মানিগাঁও। একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল পাহাড়টা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ভেতর। যেখানে সব সময় মেঘেদের আনাগোনায় স্বপ্নময় হয়ে থাকে। আর সেই স্বপ্ন পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে মানিগাঁও পায়ের কাছ থেকে বাঁক নিয়ে যে অজানা গন্তব্যে চলে গেছে সেই নদীটির নাম যাদুকাটা। আমি বলি রূপের নদী যাদুকাটা।
আর যাদুকাটার বাঁকেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম শিমুল বাগান। ফাগুনে এই বনের আগুন লাগা সৌন্দর্য্যে মানুষ ছুটে যায় ওখানে, হারিয়ে যায় এক বসন্ত ভুবনে। গত বসন্তে এই আগুন রাঙা শিমুল বনে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোন এক বর্ষায় সবুজ শিমুল বনটাকে দেখতেই হবে আমার। তাই এবারের বর্ষায় সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দেখে এলাম আমার কাঙ্খিত সবুজ শিমুল বন।
(২) সুনামগঞ্জ নতুন ব্রীজ নেমেই বৃষ্টি দেখে মনটা দমে গেল। এমনিতেই মেঘালয়ের কোল ঘেষে হওয়ায় এই অঞ্চল বৃষ্টি প্রবন, তার উপর বর্ষাকাল। এখান থেকেই মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে হবে লাউড়ের গড়, তারপর ট্রলারে যাদুকাটার ওপারে যেতে হবে। বৃষ্টির কারণে পরে সিএনজিতে করে লাউড়ের গড় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
(৩/৪) কিছু শামুক খোল পাখি খাবার খুজে বেড়াচ্ছে ও কৃষকরা ব্যস্ত কাজে। ছবিগুলো সিএনজিতে থেকেই তুলেছি।
(৫) ওপারে মেঘালয়ের পাহাড় আর এপারের সবুজ ধানের ক্ষেত, সত্যিই অসাধারণ!
(৬) বর্ষাকালে যাদুকাটা নদী অনেক প্রশস্ত হয়ে যায়, মেঘালয়ের পাহাড়কে পেছনে ফেলে যাদুকাটা ধরে ট্রলার নিয়েএগিয়ে চললাম শিমুল বনের দিকে।
(৭) শিমুল বন প্রান্তের ট্রলার ঘাট।
(৮) যাদুকাটায় পাথর সংগ্রহের নৌকা।
(৯) আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে বসে ছিল ফিঙেগুলো।
(১০) ঐ তো একটু সামনেই আমাদের সেই কাঙ্খিত সবুজ শিমুল বন।
(১১) শিমুল বনের ঐ শেষ প্রান্তেই যাদুকাটা নদী।
(১২/১৩) এমন সবুজের ভেতর বসে একটি দিন কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই।
(১৪) উপর দিক থেকে তোলা শিমুল বনের ছবি।
(১৫) এখানে থেকেও ঝাপসা ভাবে মেঘালয়ের ঝর্ণা দেখা।
(১৬) শিমুল বনের ভেতর পায়ে চলা পথ।
(১৭) একটা কাঠ শালিক শিমুল ডালে বসে খেলছে।
(১৮) বনের ভেতর সাইকেল চালাচ্ছে দুটি শিশু।
(১৯) শিমুল বনের ফাগুনের ছবি এটা।
(২০) বনের ভেতর আমার উপস্থিতি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯