রঙ্গশালা থেকে ভেসে আসছে গানের শব্দ...
আমি কুলহারা কলংকীনি আমারে কেউ ছুয়ো নাগো সজনী,,,
গায়ে কৃত্রিম রং চোখে মুখে রঙবে রঙের আলো।
দেহের পসরা সাঁজিয়ে নেচে চলেছে নাচনেওয়ালী।
নেচে নেচে যত খুঁশি করা যায় সাহেবদের।সাহেবরা যত বেশি খুশি তার টাকাও তত বেশি।
কোন কোন সাহেব তো টাকা ছিটিয়ে দেয় সারাদেহে।
নেশায় বুঁদ হওয়া সাহেবদের যখন নেশার ঘোর কাটে তখন তারা ফিরেযায় ফিটফাট হয়ে সভ্য জীবনে।
ঠোঁটে থাকে মুচকি হাঁসি আর মগজের মধ্যে নাচনেওয়ালীর শরীরে তুফান ওঠানো সে নাচ।
আবার দিন শেষে ফিরে আসে নেশা মাখা রাত।
কিন্তু
কিন্তু নাচনেওয়ালীর সুখের দিন ফেরেনা।
তা বিক্রি হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে সভ্য সমাজের কাছে।
কেবল অবিক্রীত রয়ে গেছে তার দুঃখগুলি যার কোন ক্রেতা নেই।
অথচ সে প্রতিরাতেই সুখ বিক্রি করে।