ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলার প্রশাসনিক ভবন বিজয়পুরে অবস্থিত অথচ উপজেলায় আলো জ্বলমল করলেও সে গ্রামে স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি।
দুই সহস্রাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিগত সময়ে গ্রামবাসী একাধিক আবেদন দাখিল করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ এতে কোন সাড়া দেয়নি। এতে সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রত্যায় যেন ওই গ্রামবাসীর ক্ষেত্রে অন্ধকারে মিঁশে আছে।
এলাকার লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, ফুলগাজী উপজেলার ফুলগাজী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গঠিত।
ওই গ্রামে তিনটি মসজিদ, চারটি মক্তব ও তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া বিদ্যূৎ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে এলাকার জমিতে ছোট বড় পনেরটি ডিজেল চালিত গভীর নলকূপ দিয়ে সেচকার্য পরিচালনা করা হয়। বিদ্যূৎ বঞ্চিত দুই সহস্রাধিক জনসংখ্যার ওই গ্রামের স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা হারিকেন-কুঁপি আর মোমবাতি। ওই গ্রামের ওপর দিয়ে বাশুড়া ও গোসাইপুর সড়ক পথে দিন-রাত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া এ গ্রামের আশপাঁশের সকল গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাসের বাণী শুনালেও নির্বাচন শেষে তাঁর আর প্রতিফলন ঘটেনা। অথচ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভাবনাময় এ গ্রামের বাসিন্দারা স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও বিদ্যুতের সংযোগ পায়নি। বিদ্যুতের অভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রাম বাসীর কাছে প্রতিটি রাত ঘুট-ঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন, অবহেলিত এক জনপদ।
একাধিকবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও কোন লাভ হয়নি বলে যানান এলাকা বাসী, বিদ্যুৎ যেন এ গ্রামের মানুষের জন্য সোনার হরিণ মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১