somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌবন হারাচ্ছে বাঁশখালী ইকোপার্ক !

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উঁচু-নিচু পাহাড়, স্বচ্ছ পানি সমৃদ্ধ লেক, বনাঞ্চল বেষ্টিত নয়নাভিরাম দৃশ্যবলী সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি বাঁশখালী ইকোপার্ক। শিক্ষা, গবেষণার, জীববৈচিত্র রক্ষা, ইকোট্যুরিজম ও চিত্তবিনোদনের নিমিত্তে গড়ে ওঠা পার্কটিতে এক সময় শত শত পর্যটকের ভীড় জমত! কিন্তু বাস্তবত চিত্র ঠিক তার উল্টো।



বুধবার, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরো পার্ক এলাকা মিলে ৩০ জন দর্শনার্থীও ছিল না। পিকনিক সেট, দ্বিতল রেস্ট হাউস, ১২২ মিটার ঝুলন্ত সেতুর রুগ্নদশা জানান দেয় ভাল নেই পার্কটি! কংক্রিট নির্মিত শাবের ছাতা, বেঞ্চে ময়লা থাকায় পর্যটকদের বসার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।


বাঁশখালীর প্রধান সড়ক থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ি এলাকায় যেতে হয় পার্কটি দেখতে। যাওয়ার পথের কাঁটা হয়ে উঠেছে এখানকার সড়কটি। ফলে পর্যটকরা শুরুতেই খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হন। যার কারণেও পর্যটক কমেছে বলে মনে করেন স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।


যে লেকগুলো এক সময় পর্যটক আকৃষ্ট করত সেগুলোতে এখন পানি নেই। বামের ছড়ায় নির্মিত ১০ কিলোওয়াট মাইক্রো হাইড্রো বিদ্যুৎ প্লান্ট ২০০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই বছর পরই প্রবল বর্ষণে ভেঙ্গে যায়। এখন সেটিও বিকল।


জানা যায়, পার্কটিতে ৮৫ প্রজাতির পাখি, ৪৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৭ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। কিন্তু পুরো পার্ক ঘুরলেও তেমন পাখি ও প্রাণীর সাড়া মেলেনি! স্থানীয়দের মতে, পূর্বে হাতি ছিল এখন সেগুলো দেখা যায় কালেভদ্রে।

১৯৯৭ সালের উদ্ভিদ জরিপ মতে, ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান মিলেছিল। যার মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬ প্রজাতির অর্কিড, ইপিফাইড ও ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ছিল।

কিন্তু পার্কে দীর্ঘ বৃক্ষের দেখা তেমন মেলে না। দিন দিন পার্কটি স্থানীয়দের দখলে চলে যাচ্ছে। গাছ কেটে নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। পার্কের বিভিন্ন স্থান থেকে মাটিও সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে। এসকল ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে পার্কে কর্মকর্তাদের কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে চুনতী অভয়ারণ্যের জলদী লেকে ১ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাশঁখালী ইকোপার্ক। ২০০৬-০৭ থেকে ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হয়েছে। তবে বন ও বন্যপ্রাণী আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, স্থানীয় ও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম বন্ধ করা না গেলে হয়ত আর কোনদিনই যৌবন ফিরে পাবে না ইকোপার্কটি। ফলে সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার অমূল্য সম্পদ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×