ছবিপুর ঘটকালিতে উদাসীন এর সাথে নায়লার বিয়ে হয়ে গেল অবশেষে । নায়লাকে ব্ল্যাক একখানা মেইল করে সেখানে ইমোশন এর বাপদাদার ১৪ গোস্ঠী উদ্ধার করে দিয়েছে ছবি আপু । অবশেষে বিয়ে করতে হয়েছে শুটকি ব্যাপারী উদাসীন কে। সে যাই হোক , তারপর আসুন বাসর রাতের কথায় । কি করল উদাসীন আর নায়লা সেটা জানা যাক ।
----- সেদিন ছিল বৃষ্টিভেজা রাত। উদাসীন আরো বেশি উদাস উদাস হয়ে গেল। নায়লা কে পেয়ে তার মাথা ঠিক নেই , মাথায় যে কবিতাটা প্রথম ঘাঁ দিল সেটা বলতে থাকল -----
আজি এই ঘন বরষায় পাতায় পাতায় হিয়া
তুমি না করিলে কে করিত শুটকি ব্যাপারিকে বিয়া ।
নায়লা বলল , আ্যাই দেখ আজেবাজে কবিতা বন্ধ কর বুঝলে , সকালে উঠে আমার জন্য ব্রেকফাস্ট কি শুটকি দিয়ে বানাবে? ঐসব তুমি খাবে আমাকে বাইরে থেকে পাউরুটি এনে দিয়ে যাবে নাইলে আমি কিছু খাবইনা
উদাসীন বলল আচ্ছা তা হবেখন এখন রোমান্স এর সময় এসো কাছে আসো রোমান্চিত হই একটু । দুজনে দুজনার চোখের তারায় হারিয়ে যাই । এই কথা শুনে গা জ্বলে গেল নায়লার , ভাবল মনে মনে বেটা বিয়ের আগে তো একগাদা মেয়ের সাথে টাংকি মেরে এসেছিস এখন আবার আসছে রোমান্স করতে. নায়লা বলল টপিক চেন্জ কর আমি রোমান্স কম বুঝি ঐসব হবেনা আর চোখের তারায় কেমনে হারায় শুনি ? শোন কালথেকে উদাসীন নামটা চেন্জ করে ফেলবে বুঝলে? তোমাকে সবাই উদা মুদা ডাকে খুবই অড ব্যাপার আমার মোটেও ভালো লাগেনা.আর শোন লুন্গি পড়ে আমার সাথে ঘুমোতে আসবে না তাহলে তুমি মেঝেতে ঘুমাবে আমি উপরে নাহলে কিন্তু আমি থাকবইনা বলে দিলাম।
উদাসীনতা কমিয়ে চল নাহলে আমার সাথে আমি তোমাকে রাখব না আর আমি যা বলব তাই করবে ।
ও হ্যা আরেকটা কথা তুমি নাকি বেশ এডাল্ট কোবতে লিখছ আজকাল কালকেই সব উনুনে দিয়ে আমি আলুভাজি রানব বের করে রাখবে ।
উদাসীন মহা ঝামেলায় আছে , বাসর রাতে এত রুলস ? সারাজীবন তো নষ্টের কোঠায় কি হবে এখন ? মনে হয় ছবি আপাকেই কল দিতে হবে ......
ছবিপুর বাসায় রিং -ক্রিং ক্রিং
ছবিপু তখন তেলাপোকার (দুলাভাই) সাথে রোমান্স এ বিজি আর রোমান্স এর সময় তেলাপোকা ডিসটার্ব সহ্যই করতে পারেনা। ছবিপুকে এক ধমক দিয়ে বলল এত রাইতে কেডায় ফোন দিসে তোরে angry , আপু বলল দাড়াও দেখি কি সমস্যা ।
ছবিপু : হ্যালো কি হইসে উদা তোমার বাসর রাইত পালন না কইরা এত রাইতে আমার বাসরঘর ভান্গতেছ কেনো হ্যা?
উদা: আরে ছবিপা মহাবিপদ এযে আমার বাসায় স্যান্ডি পাঠাইলেন আপনি , ঘটকালি তো করছেন আপনে আপনের বইন তো আমারে কচুগাছে ফাঁসি দিবার ব্যবস্থা করছে তারপর উদা সব খুলে বলল।
ছবিপু : সব কিছু শুনে ছবিপু কইল একটাই সমাধান আছে মাইয়া পটাও বাসর রাইত পালন কর সব ঠান্ডা হইয়া যাইব ।আমারে কল দিলে লাভ নাই বউ তোমার তুমি এখন যা মনচায় কর আমি রাখি আমার রোমান্স এ বাধাঁ দিবানা আর বুঝছ
এইবার উদাসীন পড়ল মহা বিপদে কি করা যায় , এই বাসর রাইতেই এত বিপদ , উদা প্ল্যান আটিঁতে লাগিত।
বারান্দায় অনক্ষন চুপচাপ । এইদিকে বউ উসখুস করে করে অস্থির মনে এক সন্দেহের দোলা দুলছে এত রাতে কাকে ফোন করে এই বেটা আর মনে মনে বলে তুই যতই উদাসীন ভাব দেখাস তুই যাতে মাতাল তালে ঠিক আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি । এই ভেবে নায়লা উদা কে ডাক দিল এই কই তুমি শুনছ ?
ঘরে এসো আমার না কেমন ভয় ভয় কচ্চে গোঁ
উদাসীন মিস্টি মধুর কন্ঠ শুনে ঘরের ফাঁদে পা দিল তারপর বারান্দার দরজা এঁটে ঘরে এল হাসিমুখে ।
কিহ, কি বললে তোমার ভয় কচ্চে , কে তোমাকে ভয় দেখায় , কার এত্তবড় সাহস শুনি ।এসো আমার কাছে এসো একটা চুম্বন দিয়ে দেই ভয় একদম করবেনা আর। এই বলে উদাসীন একটা চুম্বন দিল আর নায়লা আতঁকে উঠে বলল তুমি আজও শুটকির গুদামে গিয়েছিলে তোমার সারা শরীরে শুটকির গন্ধ খবরদার কাছে আসবে না একদম । এইকথা শুনে উদাসীন কিছু মনে না করে বিরাট হাসি হেসে জামাকাপড় চেন্জ করে এলো। নায়লা বানু কিছুটা শান্ত হল ।উদা নায়লার জন্য দুলাইন কোবতে আবৃতি করল
''হঠাত সে ফিরে চাইল কি?
উঠিয়ে নেকাব গোলাপ ঠোঁটের মৌনতা ভাঙ্গল কি?''
এই কথা শুনে নায়লা লজ্জা পেয়ে হেসে ফেলল আর উদাসীন মৌনসম্মতিক্রমে গোলাপী লিপিস্টিক খেতে গেল কিন্তু হায় একি এইবার নায়লা এক চিৎকার দিয়ে বিছানা থেকে নেমে গেল . '' তুমি আঁজকে শুটকি খেয়ে দাঁত ও মাজোনি '' এই বলে নায়লা সোফায় ঘুমিয়ে পড়ল রাগ করে আর উদাসীন মুখকালো করে বসে বসে পালন করলো তার বাসর রজনী.
সেজন্য আজও উদাসীন উদাসীন কারন বিবির মনে আসীন হওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি কোনদিন ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩