আজ একটা খুব অদ্ভুত মেসেজ পেলাম মোবাইলে। “buddhijibi diboser suveccha”।এই মেসেজটা কি ইচ্ছাকৃত ভাবে দুষ্টুমী? নাকি না জানার ভুল?? যেটাই হোক পাকিস্তানিরা যে বুদ্ধিজীবি হত্যার সাথে আমাদের বুদ্ধিরও কিছু হত্যা করে গেছিলো তার প্রমান এই মেসেজ।
এই সময় আমাদের সুবুদ্ধির হত্যার অনেক প্রমান আছে আমার কাছে।প্রমান পেতে বেশী দূর যেতে হবেনা …
বাংলাদেশে কিছু অদ্ভুত অদ্ভুত পত্রিকা আছে , যারা ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব মিথ্যে সত্যের মতো চালিয়ে যায়…সেইসব পত্রিকা এবং তার পাঠকদের দেখেও বুঝে নিতে পারেন বুদ্ধি হত্যার কত গভীরতা…
আপনার ফেসবুকের কিছু বন্ধুর আজব আজব পোষ্ট দেখেও বুঝে নেওয়া যায় বুদ্ধি ঠিক কি পরিমান হত্যা হয়ে গেছে …
আপনার রেডিও অন করে বুঝে নিতে পারেন, টিভির দর্শকদের রুচি দেখেও জেনে নিতে পারেন…যে পাচ মিশালী ভাষায় আমরা কথা বলি সেটা তো বুদ্ধি হত্যার সবচেয়ে প্রামান্য পরিচয়…
ধর্মের অপব্যাখ্যা, ইতিহাসের অপব্যাখ্যা,রাজনীতির অপব্যাখ্যা, বুদ্ধিরও অপব্যাখ্যা নয় কি?
প্রতিনিয়ত আমাদের সুবুদ্ধি হত্যা করা হচ্ছে…সুবুদ্ধিহীনতাই একটা জাতি কতদুর যেতে পারে?
১৪ ই ডিসেম্বর, ১৯৭১। আমাদের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে জাতির অশেষ ক্ষতি করা হয়েছিলো।তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা। তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করার আছে ‘আর আমরা আমাদের সুবুদ্ধি হত্যা হতে দেবোনা, তোমরা ঘুমাও শান্তিতে”।