আল্লামা শামী বলেন, মহিলাদের মতো দাড়িহীন বালকদেরও পর্দা ফরয। মহিলাদের মত তারাও ঘরের কোনে থাকবে, বের হবে না। আল্লামা শামীর কথা সম্পূর্ণ বাস্তবতা-বিরোধী মনে হতে পারে। কারণ, মহিলারা পর্দা করবে ঠিক আছে, কিন্তু বালকরা কীভাবে পর্দা করবে? আর এটা সম্ভবই বা কীভাবে? বিশ্বের অবস্থা না জেনে শুধু বাংলাদেশের দিকে লক্ষ করলে এটা অবাস্তবই মনে হবে। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে, তাদের অবস্থা অবগত হলে বুঝা যাবে যে, আল্লামা শামীর কথা যথার্থ ও বাস্তবসম্মত। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা এখনো সেরকম হয়নি তাই বুঝতে কষ্ট হতে পারে।
আমেরিকার অনেক মানুষ মেয়েদেরকে বাদ দিয়ে বালকদের দিয়ে যৌন চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সেখানে এমনো অঞ্চল রয়েছে যার শতকরা আশিভাগ পুরুষে পুরুষে বিবাহ হচ্ছে। এসব দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লামা শামীর উক্তি যথার্থই মনে হয়।
আমাদের বুযুর্গগণ দাড়িহীন বালক থেকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন। কোথাও দাড়িহীন বালক দেখলে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিতেন এবং তওবা করতেন। একদা এক বালক হযরত থানভী রহ. এর কক্ষে প্রবেশ করে। তিনি বাহির থেকে এসে তাকে দেখেই দ্রুত বের হন এবং খানকার নাযিম শিব্বির আলীকে ডেকে বালকটিকে বের করতে বলেন। অতঃপর তিনি বললেন, “শোন, আমি কসম করে বলি, আমি নিজের নফসের উপর আস্থা রাখতে পারি না
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০