বেশ কিছু দিন থেকেই অনেক চাকুরি প্রার্থীরা একটা বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে এই ব্যাপারে আন্দোলন করা হচ্ছে। তা হলো সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩০ থেকে ৩২ এ উন্নীতকরণ। শোনা যাচ্ছে, সরকার ও বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন।।
চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়লে সবার জন্যই ভালো। কারণ চেষ্টা করার সুযোগ ও সময় বেশি পাচ্ছি।।কিন্তু সত্যিকার অর্থে কত টুকু সময় ও সুযোগ পাব???
১।দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের( জাতীয় সহ) একটা বেশির ভাগ অংশ( আমি সহ) মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।আমরা (জাতীয় ছাড়া) মাস্টার্স বা সমমানের পরীক্ষা পাস করি মোটামুটি ২৪/২৫ এর মধ্যেই।এর পর এই বাকি ৬/৫ বছর??? এখন আমার এই ৫ বছরে যদি চাকুরি না হয়, আশা করা যায়, ৪০ বছরেও চাকুরি হবে না।। আর আমার/আমাদের পক্ষে এত্ত দিন বেকার থেকে সারা দিন রাত পড়াশুনাও সম্ভব না।।কারণ ফ্যামিলি আর হতাশা।। আর পরবর্তী প্রজন্মের সুযোগ তো থাকতেই হবে। তাই নিজের চেষ্টা আর ভাগ্যের ফল দেখার জন্য ৩০ যথেষ্ট( আমার কাছে)।।
২।যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আমাদের একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করতে সময় লাগে ৭-৮ বছর। ততক্ষনে বয়স দাঁড়ায় প্রায় ২৭। হাতে থাকে ৩ বছর।সময়টা কম না।তবে যথেষ্ঠ ও না।। তাহলে কি করব?? ভাসমান নৌকায় যে ফুটা দিয়ে পানি ওঠে, তা বন্ধ না করে নৌকার পানি সেচে কোন লাভ আছে কি?? যদি দাবীই থাকে আর আন্দোলন করতেই হয়, তা যেন হয় সেশন জট কমাতে। বয়সসীমা বৃদ্ধিতে না।কারণ সেশন জটের জন্য জীবন থেকে ২/৩ বছর হারিয়ে যায়।তাই বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবীটা ঠিক নৌকার পানি সেচার মত বলে মনে হয়।আর ফুটা হল সেশন জট।যা থেকেই যাচ্ছে।
আমি বয়সসীমা বৃদ্ধির বিপক্ষে না। তবে কোন লাভ হবে কি? সে ব্যাপারে আমি সন্ধিহান।।