১. জর্জ আর জেনী খুব ভাল বন্ধু। এরা দুই জন দুই শহরে কাজ করে। একজনের ছুটি শনিবার আরেকজনের রবিবার। ফলে দুই জনের এক সাথে দেখা হওয়া খুব দুস্কর। এবার পহেলা মে তে দুই জনের এক সাথে ছুটি। জর্জ তার গাড়ী নিয়ে জেনীকে আনতে চলে গেল। গাড়ীতে দুইজনের মনে ভালবাসার উদয় হল। যেহেতু মাত্র একদিনের ছুটি তাই তারা ঠিক করল এক মুহূর্তও নষ্ট করা ঠিক হবে না। কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানো যাক। কিন্তু গাড়ীটা ছিল খুবই ছোট। দুই জনে মিলে ঠিক করল গাড়ীর নীচের ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়া যাক। নীচে বেশ জায়গা আছে আর কেউ বিরক্ত ও করবে না।
অনেকক্ষণ পর জর্জের খেয়াল হল কে যেন তাকে ডাকছে। লোকটি ছিল ট্রাফিক সার্জেন্ট।
লোকটি বলছে- ভাই আপনি কি করছেন।
জর্জ তার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দেয়-গাড়ী ঠিক করছি।
সার্জেন্ট কিছুক্ষণ কি যেন চিন্তা করেন। তারপর গম্ভীর মুখে বলে উঠেন-দুই টা কারণে আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রথমত গাড়ী ঠিক করতে হলে আপনাকে চিৎ হযে থাকতে হবে। কিন্তু আপনি উপুর হয়ে আছেন।
দ্বিতীয়ত আমি এখানে কোন গাড়ী দেখতে পাচ্ছি না। খুব সম্ভবত আপনাদের গাড়ীটি চুরি হয়ে গেছে।
২. এক বয়স্ক লোক ডাক্তারের কাছে গেলন। ডাক্তার সাহেব আমার সন্তানের খুব শখ।
ডাক্তার উনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঘোষনা দিলেন এই বযসে আপনার পক্ষে বাবা হওয়া সম্ভব নয়।
লোকটি রেগে মেগে ডাক্তারের চেম্বার তেকে বেরিয়ে আসলেন।
কয়েক মাস পর আবার সেই লোক এসে হাজির। বিজয়ীর বেশে হাসি হাসি মুখ করে বললেন-ডাক্তার সাহেব আপনার কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই দেখুন আমার স্ত্রীর প্রেগনেন্সি রিপোর্ট। লোকটা রিপোর্টটি ডাক্তারের দিকে ছুড়ে দেয়।
ডাক্তার একটু চিন্তা করে বলেন-ঠিক আছে আপনি শান্ত হয়ে বসুন। আমি আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করি আসলে কি ঘটেছে। তার আগে একটি গল্প শুনুন। এক শিকারী বাঘ শিকার করতে জঙ্গলে গিয়েছে। হঠাৎ করে তার সামনে বাঘ এসে উপস্থিত। তখন সে খেয়াল করল ভুল করে সে বন্দুক বাড়ীতে ফেলে এসেছে এবং তার বদলে সাথে করে ছাতা নিয়ে এসেছে। কোন উপায় না পেয়ে শেষে প্রাণ বাচাঁতে অগত্য সে ছাতাটাই বাঘের সামনে তাক করে ধরল। তাকে অবাক করে দিয়ে গুলির শব্দ হল এবং বাঘ মারা গেল।
গল্পের এই পর্যায়ে লোকটি নিজের হাতের তালুতে কিল মেরে চেঁচিয়ে উঠে- অসম্ভব এ হতেই পারে না। যত্তসব গাঁজাখুড়ি গল্প। ছাতা দিয়ে কোন দিন গুলি বের হতে পারে না। আর বাঘ যদি সত্যি সত্যি মরে গিয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে অন্য কেউ তার বন্দুক থেকে গুলিটা করেছে।
এই বার ডাক্তার টেবিল চাপড়ে বলে উঠেন-ঠিক তাই। আমিওতো এতক্ষণ ধরে আপনাকে এটাই বোঝাবার চেষ্টা করছি। আপনার বেলায়ও ঠিক এই ব্যাপারটিই ঘটেছে।
৩. ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা মিস মিলি এসেছেন। তিনি প্রথমেই সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। কাজেই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বললেন, 'ছোট্ট সুজি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।'
মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, 'ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।'
'বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?'
বাবু বলল, 'আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন কলগার্ল।'
মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।
'তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?'
'জ্বি মিস।' বলল বাবু।
'তিনি কী বললেন?'
'বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।'
৪. অনেক আগে একবার পোপ হুকুম দিলেন, ইহুদিদের রোম ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ইহুদিরা আদেশ শুনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। অবস্থা যখন খারাপের দিকে, তখন পোপ বললেন, 'ঠিক আছে, ওদের একটা সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। আমার সঙ্গে তাদের কোনও প্রতিনিধি ধর্ম নিয়ে বিতর্ক করুক। যদি আমি হেরে যাই, ইহুদিরা থাকতে পারবে। আর যদি আমি জিতে যাই, ব্যাটাদের পেঁদিয়ে বিদায় করা হবে।'
ইহুদিরা এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে তাদের এক প্রবীণ মোশেকে নির্বাচন করল বিতার্কিক হিশেবে। কিন্তু ঝামেলা হল, মোশে ল্যাটিন জানেন না, আর পোপ ইড্ডিশ বলতে পারেন না। কাজেই নির্বাক বিতর্ক করাই স্থির হল। নির্দিষ্ট দিনে দুজন মুখোমুখি বসলেন।
পোপ প্রথমে স্থির দৃষ্টিতে মোশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ তিনটি আঙুল তুলে দেখালেন। জবাবে মোশে খানিক ভেবে মধ্যমা তুলে পোপকে দেখালেন।
পোপ থতমত খেয়ে খানিক চিন্তা করে আঙুল তুলে মাথার চারপাশে ঘোরালেন। জবাবে মোশে একটা আঙুল তুলে দুজনের মাঝখানে মাটির দিকে ইঙ্গিত করলেন।
পোপ বিব্রত হয়ে এবার পবিত্র রুটি আর মদের বোতল বের করলেন। জবাবে মোশে হাসিমুখে বের করলেন একটি আপেল।
পোপ উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, 'আমি হার স্বীকার করছি।'
সবাই পোপকে ঘিরে ধরল, 'কী হল, মহামান্য পোপ? আমরা তো কিছুই বুঝতে পারলাম না!'
পোপ বললেন, 'আমি প্রথমে পবিত্র ত্রিত্বর প্রতীক হিশেবে তিনটি আঙুল তুলে দেখালাম। তখন মোশে একটি আঙুল তুলে দেখাতে চাইল যে অন্তত একক ঈশ্বরের প্রশ্নে খ্রিস্টান-ইহুদি একমত। তারপর আমি একটা আঙুল মাথার চারপাশে ঘুরিয়ে বলতে চাইলাম যে ঈশ্বর সর্বময়। জবাবে ইহুদি ব্যাটা আমাদের মাঝে আঙুল দেখিয়ে বলল, তিনি এই বিতর্কের স্থানেও আছেন। আমি তখন এই পবিত্র রুটি আর মদ বের করে বলতে চাইলাম যে ঈশ্বর আমাদের পাপ স্খালনের সুযোগ দেন। তখন ব্যাটা ফাজিল আপেল বের মনে করিয়ে দিল, আদমের সেই আদিম পাপের কথা। ... তোমরাই বল, এর সঙ্গে তর্ক চালিয়ে যাওয়া যায়? সবকিছুর জন্যেই ওর কাছে জবাব আছে, তাই আরও নাকাল হওয়ার আগেই হার স্বীকার করে নিলাম।'
ওদিকে উল্লসিত ইহুদিরা ধরল মোশেকে। 'কী হল? আমরা তো কিছুই বুঝলাম না ... !'
মোশে বলল, 'আমিও না। ... প্রথমে ব্যাটা কিছুক্ষণ জুলজুল করে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ফট করে তিনটা আঙুল তুলে দেখাল, মানে হচ্ছে ইহুদিদের চলে যাওয়ার জন্যে তিনদিন সময় দিচ্ছে সে। আমার মেজাজ গেল খারাপ হয়ে, একটা আঙুল তুলে দেখালাম, যে তিনদিন সময় তোমার ইয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো হবে। এরপর ব্যাটা আবার মাথার ওপর আঙুল তুলে ঘুরিয়ে বলতে চাইল, এই শহরের সব ইহুদিকে চলে যেতে হবে। তখন আমি মাটি দেখিয়ে বললাম, এইখানে, জনাব পোপ, আমরা এইখানে থাকব!'
'তারপর?'
'তারপর কী হল বুঝলাম না, ব্যাটা দুপুরের খাওয়ার বিরতি প্রস্তাব দিল!'
৫. ছোট্ট বাবুকে প্রশ্ন করলেন মিস, ‘ছোট্ট বাবু, বলো তো দেখি, তোমার বাড়ির পাশের পুকুরে তিনটা হাঁস ভাসছে। যদি তুমি একটাকে শটগান দিয়ে গুলি করো, কয়টা থাকবে?’
বাবু খানিকটা ভেবে বললো, ‘উমম, তাহলে গুলির শব্দ শুনে সব উড়ে চলে যাবে, একটাও থাকবে না।’
মিস হেসে বললেন, ‘উঁহু, ছোট্ট বাবু, তিনটার মধ্যে একটাকে গুলি করলে বাকি থাকবে দুটো। কিন্তু তোমার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’
বাবু মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে মিস, আমি একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আইসক্রীম পার্লার থেকে তিন মহিলা বের হয়েছে কোওন আইসক্রীম কিনে। একজন আইসক্রীম কামড়ে খাচ্ছে, একজন চেটে খাচ্ছে, আরেকজন চুষে খাচ্ছে। এদের মধ্যে কে বিবাহিত?’
মিস খানিকটা ভেবে বললেন, ‘ইয়ে, মানে বাবু, আমার মনে হয় শেষের জন।’
বাবু বললো, ‘উঁহু মিস, এদের মধ্যে যার হাতে বিয়ের আঙটি আছে, সে-ই বিবাহিত, কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’
৬. একজন আদর্শ স্ত্রীর গুণাবলী:
Beautiful= B
Responsible= R
Energetic= E
Adorable= A
Sweet=S
Truthful=T
Self-Organized=S
সংক্ষেপে: she must have good B.R.E.A.S.T.S