somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ছায়ীদ আল আরিফ
আমি ছাইদুর রহমান।অ্যাকোইন্টেন্সরা আরিফ নামে জানে।ব্লগে লিখি “ছায়ীদ ‍আল আরিফ” নামে।কতো ভেরিয়েশন তাইনা? আমিও ঠিক এমনই, ভেরাইটিজ।কোন বিষয়ে স্পেশালিটি নাই বাট নানান বিষয় জানতে ভালো লাগে...nস্বপ্ন দেখি সুন্দর কিছুর...

রায়া’র শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৮

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রায়ার পূর্ণ নাম রুরাল এইড ইয়ুথ এসোসিয়েশন। এটি আমাদের গ্রাম ভিত্তিক একটি সোশাল অর্গানাইজেশন। গ্রামটি ফরিদপুর জেলার এক প্রান্তে অবস্থিত।এখনো এটি একদম অজপাড়া। প্রগতির ছোঁয়া এখনো এ গ্রামকে স্পর্শ করেনি।আর মানবিকতার সংকট এখানের অধিবাসীদের চরমভাবে গ্রাস করে আছে।এই সংকট উত্তরণের সংকল্পেই ২০১৭ এর ঈদুল ফিতরের পরপরই আমরা কিছু সংখ্যক তরুণ মিলে এই প্লাটফর্মটি তৈরী করি। এভাবেই যাত্রা হয় রায়া’র। যাত্রার কয়েক মাস পরই শীতকাল চলে আসে।আমরা তখন নবজাতক সংগঠন।তা-হলেও আগ্রহ উদ্দীপনায় ‍আমরা পরিপক্ব। তাই ‍আমরা আমাদের প্রথম প্রোজেক্ট তথা শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৭ হাতে নিই্ এবং সকলের ব্যাপক সাড়া ও সহযোগিতায় অনায়াসেই ‍আমাদের প্রোজেক্ট সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।

পেশাগত কাজে বা পড়াশোনার ব্যস্ততায় ‍আমরা প্রায় সবাই গ্রামের বাইরে থাকি তাই ইচ্ছে থাকলেও ‍সব সময় সক্রিয় থাকতে পারি না।যাইহোক এরপর বছর ঘুরে আবার শীত আসে সাথে সাথে আমাদের চিন্তারাও সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমাদের দ্বিতীয় প্রোজেক্ট “শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৮” বাস্তবায়নের দিকে ছুটে চলি। অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ বছরের শেষ দিন অনাবিল সুন্দর এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ‍এক নতুন সমাজের আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপনি টানা হয়।

প্রতিক্রিয়াঃ আমাদের প্রথম প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন-অনুষ্ঠানে ব্যস্ততার কারনে আমরা অনেকেই থাকতে পারিনি তাই এর আনন্দও উপলব্দি করতে পারিনি। এবার প্রায় আমাদের সবারই এ পবিত্র আনন্দ উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে।আমাদের প্রতি আমাদের অতিথিদের নির্মোহ ভালোবাসা দেখে আমরা আপ্লুত হয়েছি। তৃপ্তির আনন্দ যখন তাদের চোখে চকচক করতে দেখেছি আমাদের হৃদয় রাজ্যেও তখন সীমাহীন ভালোবাসার ঢেউ বয়ে গেছে। আমাদের এ ছোট্ট উদ্যোগ পরম করুনাময় কবুল করুন এবং অব্যাহত রাখার তাউফিক দিন।

নতুন প্রোজেক্টঃ ‍আমাদের বেশ কিছু প্রোজেক্ট পরবর্তী পরিকল্পনায় রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম রয়েছে
১) ‍একটি লাইব্রেরী করা।
২) ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা।
৩) ‍আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল স্থাপন করা।
আপাতত আমাদের ১নং ‍প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের টাইমলাইন হচ্ছে ২০১৯ এর ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।এই সময়ের মধ্যেই আমাদের এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। সকলের কাছে আমরা দু’আ প্রত্যাশী।
https://www.facebook.com/RAYAorg/
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×