##"আমি নাস্তিক, আল্লাহতে বিশ্বাস নাই,
বিশ্বাস নাই এই কথাতে যে আল্লাহ নামক
কেউ একজন এই ধরা সৃস্টি করেছেন।তিনিই
চালাচ্ছেন তার অলৌকিক ক্ষমতার
মাধ্যমে,বিশ্বাস করিনা এই কথা যে
আমাদেরকে আবার তার সরনাপন্ন হতে হবে
জবাবদিহি করতে হবে দুনিয়াতে কাটিয়ে
আশা শত শত বছরের"।।।।
এই কথাগুলো একজন নাস্তিকের যে নাস্তিক
আজ আস্তিকতার দিকে ফিরে এসেছে। তার
মনে আজ এ প্রশ্ন।
★নাস্তিকরা কেন নাস্তিক????
মানুষের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে
মানুষকে দুইভাবে ভাগকরা হয় ১-- আস্তিক ২--
নাস্তিক।
উপরোক্ত বিশ্বাসগুলোতে যে হ্যা সুচক উত্তর
করবে সে আস্তিক আর যে না সুচক উত্তর
করবে সে নাস্তিক। পবিত্র হাদীস থেকে
জানা যায় "মানুষ জন্মানোর সময় মুসলিম হয়ে
জন্ম গ্রহন করে" তাই এখন প্রশ্ন হল তাহলে
মানুষ কেন নাস্তিক হয়???.
এ দায় কার???
যারা নাস্তিক তাদের জ্ঞানের পরিধি
নিয়ে আমাদের কিছু কথা আছে "নাস্তিকরা
জ্ঞানী হয়" আসলে কথাটা তা নয় উল্ট। করে
বলতে হবে যে "জ্ঞানীরা নাস্তিক হয়"।আগে
জ্ঞানী হয়ে পরে সে নাস্তিক হয় কারন তার
জ্ঞান তাকে প্রভাবিত করে আর তার
সহজাত ধর্ম বা বিশ্বাস থেকে সে সড়ে
আসে।আমরা যারা নামে মুসলিম আর যারা
এখনও আস্তিক তাদের মুলত কোনও ধরনের
জ্ঞানই নাই।ইহকাল এবং পরকাল দুই ধরনের
জ্ঞানের সমন্বয়ে একজন মুসলমানের জ্ঞান
পরিপূর্ণ হয়,আর তখন সে একজন খাটি
মুসলমানে পরিণত হয় পরকাল সম্বন্ধে তার পূর্ণ
জ্ঞান যখন তার মধ্যে কাজ করে তখন সে আর
কোন খারাপ কাজ করতে পারে না।এটা
হচ্ছে ভারসাম্যযুক্ত রীতি যে রীতি অনুসারে
সবাই আমরা সবাই স্বাভাবিক হয়ে আছি এখন।
এই ভারসাম্য হারা হয়ে যখন আমাদের জ্ঞান
একদিকে বেশী ঝুকে যায় তখন আমরা
সেইদিকে ঝুকে যাই যেমমন ধরুন
#একজন মৌলভী সাহেব যার ইসলাম সম্বন্ধে
অগাধ জ্ঞান কিন্তু অন্য দিকে তার জ্ঞান
শুন্যের কোঠায়।এই মাওলানা সাহেব
কোরআনের যেকোন কথা এবং হাদীসের সকল
উদ্বৃতি বিনা ওজরে বিশ্বাস করে নিবেন আর
বিজ্ঞানের কথাগুলোর প্রতি তার সন্দেহ
থাকবে।সে সব সময় ব্যখা করার চেষ্টা করবে
তার জ্ঞান দ্বারা অর্থাৎ তার অর্জিত
কোরআন ও হাদদীসের জ্ঞানই তার ভরসা।
সে একজন পাক্কা মুসলমান হতে পারে কিন্তু
তার মুল্য কেবল মুসলমানদের ভিতরেই
বিদ্যমান আর সে তার এই জ্ঞান প্রচার
করতে পারছেনা উপযুক্ত আধুনিক জ্ঞানের
অভাবে।।
★অন্যদিকে যে জ্ঞানীর জ্ঞান বিজ্ঞানের
জ্ঞানে পূর্ন তার ভিতর সব বিজ্ঞানের
সফলতা, ব্যখা বিশ্লেষন সঠিক এবং একমাত্র
সত্য বলে মনে হবে।অন্য সবকিছুকে সে মিথ্যা
বলে গন্য করবে।কারণ তার ভিতরে
বিজ্ঞানের জ্ঞানটাকে অধিক সত্য এবং
প্রমানসুলভ বলে মনে হয়।কিন্তু এটা সে জানে
না যে কুরআন হাদীসের বানীগুলোও পরমসত্য
এবং এগুলোও অকাট্যপ্রমান সমৃদ্ধ।
★ উপরের বিশ্লেষন থেকে পাওয়া দুই
শ্রেনীর লোকই জ্ঞানী তবে দুইজনের
জ্ঞানই এককেন্দ্রিক তাই তারা ভাল-মন্দ
বিচার করার সুযোগ পায় না।আর আমরা যারা
নামে মুসলিম কামে ফাকা তাদের কোন
ধরনের জ্ঞানই নাই।তাদের যদি জ্ঞানই
থাকত তাহলে অন্তত একদিকে ধাবিত হত মাঝ
পথে কেউ থাকত না।আবার আরেকগ্রুফ
হচ্ছে #জ্ঞানী যারা দুইধরনের জ্ঞানের
অপার ভান্ডারের গর্ভিত মালিক।তারাই
প্রকৃত জ্ঞানী তাদেরই ক্ষমতা আছে সত্য
মিথ্যা যাচাই করার।আপনার কাছে যদি দুইটা
টাকি থাকে একটা পাচঁ টাকার আর একটা ১০
টাকার নোট তাহলেই কেবল আপনি বিচার
করতে পারবেন কোনটা ছোট বোনটা বড়।এখন
আপনি যদি পাচঁ টাকার নোট হাতে নিয়
বলেন যে পাচঁ টাকার নোটটাই বড় আরেকজন
বলবে দশ টাকার টাই বড় তাহলেতো হবেনা।এ
জগড়া কখনও মিটবার নয়।বরং আপনার কাছে
যদি দুইটা টাকাই থাকে তাহলে আপনিই
বুজবেন কোনটা ছোট কোনটা বড়।আর যে
জীবনেও একটা টাকারও স্বাদ গ্রহন করেনি
তাকে যদি আপনি বলেন পাচঁ টাকার নোটটাই
বড় সে নির্দিদ্বায় তা বলে বেড়াবে।।।আর
আমরা হচ্ছি সেই ক্লাসের লোক।।।
★নাস্তিকতা হতে মুক্তির পথ>> আমাদের
জীবনে অনেকক নিদর্শন দেখেছি "যে মানুষ
অন্যধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহন করে সে কখনও
ইসলামকে ঘৃনা করেনা বা ইসলামের কোন আই
সে অমান্য করে না।উল্ল্যেখ্য যে সে ইসলাম
সম্বন্ধে সকল জ্ঞান আহরন করেই এখানে
পদার্পন বরেছেন।এমন একটা উদাহরন হযরত
উমার(রাঃ)।তাকে কেউ জোড় করে ইসলাম
ধর্ম গ্রহন করায় নি বরং সে ইসলামের মাধুর্য
দেখে ইসলাম গ্রহন করেছে।এখন আর সেই যুগ
নেই যে কেউ আপনার চরিত্র দেখে ইসলামের
পতাকা তলে আসবেন কারণ আপনি
ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসী বনে গেছেন আর
আপনার সকল কর্মকান্ডও এখন সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড।হাদীসে মুহাম্মদ থেকে আমরা পাই
যে তাহার উম্মতরাই এখন আল্লাহর দ্বিনের
প্রচারক।তাহলে আপনি যখন আস্তিক তখন
আপনার একটা দায়িত্ব হচ্ছে দায়ী ক্জ করা
অর্থাৎ ইসলামের পথে মানুষকে আহবান করা।
আপনি যখন ঈমানদার তখন ঈমানহীন একজনকে
আপনি ঈমান সম্বন্ধে জ্ঞান দিতে হবে,
আপনি যখন আস্তিক তখন নাস্তিককে আপনার
বিশ্বাস সম্বন্ধে বুঝানোটাই আপনার
দায়িত্ব।নাস্তিককে আপনার বিশ্বাস
সমম্বন্ধে তথ্য প্রমানসহ জ্ঞান দেয়াটাই
হচ্ছে মুল কাজ তার সাথে অযথা তর্ক
জড়ানোটা আপনার কাজ নয় এমনকি তার
পাছে তার বদনাম করাটাও সুখকর নয়।তার
বদনাম করলেই সে আপনার বিশ্বাসে
বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না বরং আপনার
বিশ্বাস সম্ম্বন্ধে সে একটা খারাপ ধারনা
পোষন করবে।আমি গতকাল যখন এই নিবন্ধটি
লেখতে মননস্ত করলাম তখন আমি আমার এক
বন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলাম।
- " নাস্তিকরা নাস্তিক দায় কার???""
সে উত্তর দিল সরকারের।
আসলেই কি দায় সরকারের নাস্তিকতা কি
প্রকাশ্যে বন্ধ হলেই কি নাস্তিকতা বন্ধ হয়
যাবে???. না তা হবে না বরং তাদেরকে
ভিতর থেকে বন্ধ করতে হবে তাদের ভিতর
এন্টবায়োটিক হিসেবে জ্ঞানের অনুপ্রবেশ
করাতে হবে, ইসলামের জ্ঞান।তবেই
নাস্তিকতা পুরোদমে দমিত হবে।।।
আর এভাবেই আমরা সমাজ থেকে প্রতিটি
সামাজিক সমস্যা দুর করতে পারব>>>
সায়েম মাহামুদ,
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫