এ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার রাজনীতি থেকে যে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে সেটা হচ্ছে, এখন সরকারি জোট রুট কিংবা বিরোধী জোট কেউই প্রধানমন্ত্রী তুন মাহাথির এর বিপক্ষে নেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাক এর দল ও চায় প্রধানমন্ত্রী আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত পুরো মেয়াদে ক্ষমতায় থাকুন। এশিয়ার অন্যতম প্রধান ইসলামী দল পি এএএস এর প্রধান আব্দুল হাদি আবাং তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীত্ব তো কোনো জুতো নয় যে ইচ্ছে করলেই বদলে ফেলা যাবে। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী তুন মাহাথির আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত পুরো 5 বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকবেন এবং দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় রাখবেন।
PAS প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাদি আবাংঃ প্রধানমন্ত্রীত্ব জুতা নয় যে ইচ্ছা করলেই বদলানো যাবে।।
তবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তুন মাহাথির বার বারই বলে যাচ্ছেন যে, তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। তিনি পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২ কিংবা ৩ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। আনোয়ার ইব্রাহিমকে তিনি অপেক্ষমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাক এর দল ও ইসলামী পার্টি জোট গঠনকরতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের বিশাল ভোট ব্যাংক থাকবে। তুন মাহাথির তাঁর নতুন দল নিয়ে পাকাতান হারাপান জোট গঠন করেন । যে জোটের প্রধান শরিক দল ছিল আনোয়ারর ইব্রাহিমের পিকেআর, চীনাদের একটি দল ও ছোট ছোট আরো কয়েকটি দল। এই জোটের প্রধান ভোট ব্যাঙ্ক ছিল মূলতঃ আনোয়ার ইব্রাহিমের ও চীনাদের।
2018 সালের জাতীয় নির্বাচনে ২২২ আসনের পার্লামেন্টে মাহাথির এর নেতৃত্বাধীন জোট পাকাতান ১১৩ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করেন। মাহাথির নিজের দল পায় 13 টি আসন, আনোয়ার ইব্রাহিম এর দল ৪৮ আসন, নাজিব তুন রাজাক এর দল 79 টি আসন , ইসলামী দল পাস ১৮টি , চীনাদের দল ৪২ টি আসনে জয়লাভ করে।
অনেক কম আসন লাভ করেও মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ।
এই মুহূর্তে তার বিরোধী কেউ নেই বললেই চলে । সবাই চাচ্ছেন তিনি তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করুন। সম্ভবত তারা কেউ চাচ্ছেন না যে, আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করুন। তবে মাহাথির তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলে প্রতি দিনই বলে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৯