মহাত্মা গান্ধী তাদের নাম দিয়েছিলেন হরিজন। অর্থাৎ হরির জন বা ঈশ্বরের সন্তান।
উদ্দেশ্য ছিল, সমাজের অচ্ছুৎ এ অংশটিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা।
ভারতে সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কি না জানি না। কিন্তু বাংলাদেশে ?
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস তাদের। নামকাওয়াস্ত বেতনে সারাদিন শহর পরিচ্ছন্ন করতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন। রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যেখানে শান্তির ঘুম দেবেন, সেখানকার অবস্থা জানেন কি?
শত বছর ধরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস করলেও ভদ্র সমাজ কোনদিন ফিরেও তাকাইনি তাদের দিকে। ৮ ফুট বাই ১২ ফুটের ছোট্ট একটি খুপরি ঘরে কীভাবে তিনটি পরিবার বাস একসাথে বাস করে, অবাক হতে হয়। একই ঘরে এক ভাই তার স্ত্রীকে নিয়ে খাটের ওপর, আরেক ভাই স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের মেঝেই, আরেক ভাই ওই ঘরলাগোয়া চিকন বারান্দায় রাত কাটায়।
ভদ্র সমাজের শব্দ 'প্রাইভেসি' এরা কীভাবে রক্ষা করে?
১৪৫ জনের জন্য মাত্র তিনটি টয়লেট। তাও আবার সেখানে লাইট নেই। সকালে লাইন পড়ে যায়। পুরুষরা ছোটেন বাইরের পাবলিক টয়লেটগুলোতে।
এই অসহনীয় পরিবেশে কীভাবে যুগের পর যুগ এরা বসবাস করছে, ভাবতে পারি না।
এদের সবচে কাছের অভিভাবক পৌরসভা। এদের আবাসনসহ সব সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তথ্যসূত্র: http://subornobhumi.com/?p=18820
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১