১।
ক)কথাকলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে জনৈক বালিকাকে খুব বাজে ভাবে টিজ করা হয়েছে ; এরকম বাজে টিজ শোনার পরো মেয়েটা বেচেই আছে এখনো ঠিক আত্মহত্য করে উঠতে পারেনি; সাহস কম কিনা, আত্মহত্যা করে উঠলে নিদেন পক্ষে আত্মহত্যার ট্রাই নিলে জনমত তার পক্ষেই থাকতো, আমরা এখনো এতখানি খারাপ হইনি মৃতার চরিত্র নিয়ে অযথা খারাপ কথা বলবো। আত্মহত্যা না করায় বিষয়টা কি দাঁড়ালো আসুন দেখি:
বালিকা১: কণাটার ভাব বেশি; টিজ করসে তো কি হইছে ফিরা উত্তর দেয়া লাগবো
বালিকা২: ছেলেরা একটু আঁধটু বলেই। অত ধরলে হয়
বালিকা৩: আমরা তো প্রতিদিন যাই কই কোনদিন তো কিছু শুনিনা; ওরেই কয় কেন?
বালিকা৪: হ ওর দোষ না থাকলে পোলাপান সাহস পায়, যেমনে কোমর দুলায় দুলায় হাটে মরা মানুষ জাইগা উঠবো আর ওরা তো ওরা, ........................
খ) বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের জনৈক বালক টিজ শুনলে তার বন্ধু মহলের প্রতিক্রিয়াটাও একটু দেখি:
বালক ১: আমাদের শুভকে আজকে মেয়েরা টিজ করছে; শুভ পার্টি দে
বালক ২: মনটা উদাস হয়ে গেল, আহারে কেউ কোন দিন আমারে তো টিজ করলো না আআআআ
বালক৩: কিরে বলদ তোরে মাইয়ারাও টিজ করে
বালক ১: আজকালকার মেয়েরা কঠিন চিজ, তিনটার সাথে প্রেম করে, পাঁচটারে ঝুলায় রাখে; এরা টিজ করবো না তো কি করবো......
২।
ক)বিথির পুরোনো প্রেম এবং আধুনিক প্রেমের অন্যান্য উপসর্গ সম্পর্কিয় ঘটনা জানার পরো জুবায়ের আর বিথির বিয়েটা বেশ ভালোভাবেই টিকে যায় এবং এ সংক্রান্ত কোন সাংসারিক জটিলতা বাস্তবিকই তৈরী হয় না।
এ ব্যাপারে বিথির বান্ধবিদের মনোভাব জানা যাক:
রূমা: শুনেছিস কনা বিথির ব্যাপারটা?
কনা: হুমম, বিথির ভাগ্যটা ভালো। জুবায়ের ভাই খুবি ভালো মানুষ উদার মনের মানুষ।
রূমা: হুমম, একদম হাম দিল দে চুকে সনম এর অজয় দেবগণ
খ)জুবায়ের এর পুরোনো প্রেম এবং আধুনিক প্রেমের অন্যান্য উপসর্গ সম্পর্কিয় ঘটনা জানার পরো জুবায়ের আর বিথির বিয়েটা বেশ ভালোভাবেই টিকে যায় এবং এ সংক্রান্ত কোন সাংসারিক জটিলতা বাস্তবিকই তৈরী হয় না।
এ ব্যাপারে জুবায়ের বান্ধুদের মনোভাব জানা যাক:
জাহিদ: হ্যালো, সুমন শুনছিস তো জুবায়েরের বিয়ে, ডাক্তার মেয়ে
সুমন: হ, শালায় ভার্সিতিতেও মৌজে থাকসে এখন বিয়াও করতেসে ভালো।
জাহিদ: হুমম, আজকালকার মেয়েরা পয়সা ছাড়া কিছু চিনে নাকি, ছেলের ক্যারিয়ার ভালো; শ্বশুরের পয়সা আছে আর কী লাগে...
সুমন: আর মেয়েও ধোয়া তুলশী পাতা নাকি খোজনিলে দেখা যাবে সেও কয়েক ঘাটের পানি খাওয় & ব্লা ব্লা ব্লা
৩।
ক)
স্কলাস্টিকা কিন্টারগার্ডেন এর গেটের পাসের মাঠে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবিরা দলবেধে আড্ডা দিচ্ছে স্কুল ছুটির অপেক্ষায়, আসুন আমরা কোন এক আড্ডায় ঢুকে যাই:
ভাবি১:ভাবির চেইনটা তো খুব সুন্দর, এত সরু চেইনেও নকশাটা কি সুন্দর ফুটে উঠেছে
ভাবি২: আমার সেঝ মামা দিয়েছিল বিয়েতে সৌদি থেকে আনানো
আচ্ছা ভাবি অর্থির মা কে দেখিনা বেশ কিছুদিন, জানেন নাকি কিছু?
ভাবি১: ওমা ভাবি আপনি জানেন না; কি আর বলবো লজ্জ্বার কথা, অর্থির বাবার সাথে ওদের বাসার কাজের মেয়ে................................................................................................................................................................................
ভাবি২: কি যে অবস্থা ভাবি, আজকালকার কাজের মেয়েগুলোর ওপর কোন বিশ্বাস নেই, সবগুলো বাড়ির পুরুষদের মাথা খারাপ করার জন্য তৈরী হয়ে থাকে, সাজের কি বাহার, ইচ্ছা করে করে ওর সামনে দিয়ে একশো বার উপুর হবে এটা ওটা ছুতোয়, কাজের লোক রাকাহই যাবে না মনে হচ্ছে, ভালো মেয়ে কোথায় পাবো.........
খ) নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বারোয়ারি পুকুরঘাটে কাপড়-চোপর ধুচ্ছে রহিমুদ্দি কলিমুদ্দির বৌ অথবা বাসন মাজছে রাম-শ্যাম-যদু-মধুর মায়েরা, আসুন আমরা তাদের কথোপকথন শুনি:
অই পচার মা ইট্টু সইরা ব, আমি বাসনডি ধুইয়া লইয়া যাই
পচার মা; ভাবি কি যেন হুনি হাচানি
ভাবি:হাচা না তয় মিছা নাকি; আমি আগেই কইছিলাম মাগীর খাই বেশি, জামাইডা বৈদেশে আর হ্যা বাড়ির রাখালের সাথে ........ কাইল এক্কারে হাতে নাতে ধরা পরছে, কতায় আছে না চুরের দশদিন গেরস্থের একদিন।
পচার মা:হ আমারো হ্যার ভাবসাব ভালো ঠেকতো না; এত জ্বালাও থাকে গতরে, এই কাম করার আগে মরতে পারলো না, অরে তো একঘরে করার কাম , গেরামটা নষ্ট হইয়া গেল.........