একজন অমলকান্তি— একজন নূর হোসেন,
আরো অনেক একজন..
সেদিন প্রতিবাদ মুখর হয়েছিলেন
গণতন্ত্র মুক্তির দাবিতে তাদের কেউ কেউ
এখনো বেঁচে আছেন মমি হয়ে
কেউ আবার বুলেট ঝাঁঝরা হয়ে
মরে পড়ে ছিলেন কুকুরের মত—প্রতিবাদে স্বৈরাচারের
গদি টলে গেছে —
মুক্তিকামী মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে
এখন সময় বদলে গেছে—যারা গণতন্ত্র রক্ষা করবেন বলে
জনসমক্ষে শপথ নিতেন—সিংহাসনের লোভে তারা হিংস্র
হায়েনার চেয়ে বর্বর—তারা এখন মানুষের বাক ও বিবেকের স্বাধীনতা
গোগ্রাসে গলধকরণ করেন—মানুষ এখন আর উম্মুক্ত বক্ষে অথবা পিষ্ঠে
লেখেনা গণতন্ত্র মুক্তিপাক স্বৈরাচার নিপাত যাক
তারা এখন তৈল মর্দনে ব্যস্ত অন্যথা হলে রাজাকার পদবি জুটে
দেশদ্রোহিতার মিথ্যে অভিযোগ মাথায় নিয়ে কেউ আর বলতে চায়না
‘গণতন্ত্র চাই’ —এ দেশে যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন
মেঘনাদ বধ কাব্য লেখার সাহস টুকু হারিয়ে গেছে
চাটুকারে ভরে গেছে দেশ
অমল নূর হোসেনরা বুকে পাষাণ বেঁধেছে
আজ একজন স্বৈরাচারের মৃত্যু হয়েছে প্রবঞ্চক ক্ষমতার চাটুকারিতায়
স্বাভাবিক নিয়মেই—যে দেশে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু নেই ।
তুমি ব্যতিক্রমী
তুমি বড়ো ব্যতিক্রমী
তবু প্রেমের যে হয় না ব্যতিক্রম
দু’চোখে কেবল তার রঙিন স্বপন
গন্তব্য একটা ই .
জানিগো ভালো লাগে না.
আমারো ঠিক তা ই..
আমিও চাই সম্পূরক প্রেমের অটুট বন্ধন
সুখের অসুখে ভেসে প্রেমের নিকুঞ্জ বন
তুমি আমি শুধু দু’জনায়
তুমি— বড়ো ব্যতিক্রমী, ভালোবাসিগো তোমায়
চারিদিকে যেন অথৈ জলরাশি —তুমি ছাড়া
এই ছন্নছাড়া জীবনে— আর কেহ নাই কিছু নাই…
হে অনুজ
হে অনুজ, আপনার পদচারণায়
আমার অতীত পদধ্বনি শুনি
এ আমার ব্যর্থতা যদি সঠিক পথটি
না রেখে যেতে পারি—না দেখাতে পারি আলো
ধ্রুব তারার মতো
চলার পথে —বাঁধা আসে
তাই কী নদী থেমে থাকে
নদী ছুটে যদি ভুল পথে
পাহাড় সমীপে—ভুল বুঝে
ঠিকই সে ফিরে আসে
গন্তব্য তার অথৈ সমুদ্র
নদী জানে—তবু সব নদী
পায়না সন্ধান—মাঝপথে হয় ইতি
যদি হারায় স্রোত—পথচলার গতি
যদি তেমন হয়—আমার আছেগো সংশয়
আমার গন্তব্য যেন সাগর হয়
তবেই যদি পারি—নচেৎ সকলি অপচয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮