তোমাদেরও আছে বিস্তর অধিকার—
কামনার আজ্ঞাবহ হয়ে যদি বলি— আমি যে শুধু তার,
ক্ষ মা করে দিও;
রবির আলো— আলোকিত করে সব;
ফুলেদের–পাখিদের–অগণিত মানুষের,
নদীর আঁকাবাঁকা পথও —হয় না ব্যর্থ মনোরথ;
ঐ যে রঙিন প্রজাপতি, রঙধনু-সাতরং;—এমন কি নিকষ আধার! ভরা পূর্ণিমা চাঁদ।
তৃষিত চাতকের দৃষ্টি শুধু —সুশীতল বৃষ্টি, তৃষ্ণায় বাকিসব ভুলে যায়; তাতে কী? ক্ষতি কি!
আমিও ভুলোমন অবচেতন মনে স্বর্ণালি কিছুক্ষণ ,
শুধু থাকি নিমজ্জিত যখন— ঢঙ্গে তার; বর্ণালি রঙে তাঁর—
নৈঃস্বর্গের পাহাড়ে-নদীতে অবাক জলপ্রপাতে, সৌখিন আঙুলে- চিবুকে- চুলে তাঁর
—সে যেন এক অপরূপ সৃষ্টি, মহান বিধাতার।
ঐ টুকু না হলে—হতো না অক্ষরে অক্ষরে শব্দের বিন্যাসে বিরচিত কবিতার সম্ভার ।
প্রখর সূর্য ও ডুবে যায় পশ্চিমে অপার স্নিগ্ধ—তায়, সাগরেরই বুকে—
গায়ে গোধূলির আলো মেখে; তারপর ঠিকি হয় উদয়,
ভোরের আকাশে-স্নিগ্ধ বাতাসে- আলোকিত উচ্ছাসে চিরচেনা সার্বজনিন রূপ তার— জানে যে সকলে
নদীর স্তনে সর্পিল কোমরে মনে সঙ্গমে দু’চোখের কোটরে রৌদ্র প্রখরে—অথবা গোধূলীর আলোয়
নৌকো মাঝির স্বপ্নিল চোখে, ঘার্মাক্ত দেহে— শক্ত পেশীতে আছেগো অধিকার;
তোমাদেরও ঢের আছে আমার কাছে—বাকী সব সূদীর্ঘ সময়ে হাতে হাতে মেলাবার,
শুধু সুখপাখি বিলোবার ক্ষণ এলে— সে আমার কেবলই ভালোবাসার পারাবার ভ্রমর যেমন ফুলে।
তোমাদেরও আছেগো বিস্তর অধিকার—এই হৃদয়ে আমার..
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫