somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্তর্জালে আমি কাদের কাদের পুন মার্তে চাই?

২০ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তথ্যপ্রযুক্তির লগে আমাগো এক্টা হৃদ্যতা গড়ে উঠছে। কম্পিউটারে কাটে ব্যাপক সময়। তাতেই এইদিকে না হয় ওইদিকে একটা না একটা ভেজাল লেগেই থাকে। বড় বড় কোম্পানিগুলাও এমন সব কান্ডকারখানা করে, মেজাজমর্জি হয়া যায় খারাপ। অন্তর্জালে হৈলেও তাদের পুন মারার ইচ্ছা জাগে তীব্রভাবে।

অ্যাপল উইন্ডোজের লিগা সাফারির নতুন এক্টা ভার্সন রিলিজ কর্ল গতকাল কি পরশু। ভাবলাম সুন্দর বাংলা সাপোর্ট পামু। কে যেন পোস্টও এক্টা দিছিল যে, লেইটেস্ট সাফারিতে ভালো বাংলা সাপোর্ট আছে। ইনস্টল কৈরা দেখি সেইটা যথারীতি অ্যাপলীয় বাংলা। ডাগ্গা ডাগ্গা ফন্ট আর সাইজ। ফন্ট বদলায়াও কোনো ফল পাই নাই। তারপরে পুরা ইন্টারফেইসটা ধূসর গোধুলী। হালার পুতেরা চক্ষুরোগের জন্য কিছু বাকি রাখে নাই। কিছুদিন আগে তাদের ওএসএক্স লেপার্ড উইন্ডোজে ইনস্টল কর্তে গিয়া নিজেই খাইছি পুন মারা। পুরা গায়েব হৈ গেছে একটা ড্রাইভ। ফায়ারফক্স যেখানে ৭ মেগাবাইট, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার সেইখানে ১৪ মেগা আর সাফারি ১৮। এই ১৮ মেগাবাইটে স্টিভ জবস কুত্তার বাচ্চা কী ঢুকাইছে, আল্লাহপাক জানেন।

বাধ্য হয়া যদি কোনোদিন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইউজ কর্তে হয়, তিন দিন থাকে হাতের ব্যথা। হালার পেইজগুলা যেন বিল গেটসের বাড়ি থিকা ঘুইরা ঘুইরা আসে। বিশ্বের স্লোয়েস্ট এই ব্রাউজারটা আবার ভাইরাসের আড্ডাখানা। অমি ভুলেও পাসওয়ার্ড সেইভ করি না এক্সপ্লোরারে। মাইক্রোসফটের আরেক মাল উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ইউজ কর্তেছি না বহুদিন হৈল। লেইটেস্ট ভার্সন ১২ খুইলা দেখি মিডিয়া প্লেয়াররে তারা রীতিমতো ব্রাউজার বানায়া ফেলছে। হালারে চটকানা মার্তেচ্ছা করে। আরে ব্যাটা, ফায়ারফক্স-অপেরা ফালায়া তোর মিডিয়া প্লেয়ার দিয়া ব্রাউজিং কর্ব নাকি! ওয়েব ব্যবসা তোমাগো লিগা আসে নাই। তোমাগো মাথায় খালি ডলার ঘোরে।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ করার্পর আমার প্রথম কাম হৈল আউটলুকরে তাড়ানো। হটমেইল দেখতেছি এখন সেই আউটলুক স্টাইলে মেইল সেবা দিতেছে। ১৫ দিন কি ২০ দিন ইনেক্টিভ থাকছিলাম বৈলা হটমেইলের গুষ্টি আমার অনেকগুলা মেইল মুছে দিছিল। কুত্তার বাচ্চাদের ওপর আমিও প্রতিশোধ নিছি পরে। অনেক পরিচিতজনরে ইনভাইটেশন পাঠায়া পাঠায়া হটমেইল থিকা জিমেইলে আনছি। জিমেইল আসার পর ইয়াহু! আর হটমেইল বিরাট এক্টা লাথি খাইছে। বুদ্ধি আর গ্রাহকসেবা এক্টা প্রতিষ্ঠানরে কোথায় নিয়া যাইতে পারে, গুগল তার উদাহরণ। ইয়াহু হৈল আরেক গ্রেট চুতিয়া। গ্রাহকরে নিচের দিকের সুবিধাগুলা দিব, কিন্তু ওপরেরগুলা দিবে না। তারা এখন ঘুইরা দাঁড়ানোর চেষ্টা কর্তেছে। কিন্তু কোথায় কী!
ইয়াহুর সিইও জেরি ইয়াংরে আমি কায়মনোবাক্যে পুন মার্তে চাই। ওই জেরি ইয়াং হালা, এক গুগলপেইজের ধাক্কায় তোর জিওসিটিস কোথায় গেছে?

গেরামীণফুনের ইন্টারনেট। খানকীর বাচ্চারা মাসের ঠিক টাইমে ভ্যাট-চ্যাটসহ বিল আদায় কৈরা নিব। সার্ভিস দেওনের বেলায় শুয়োরের বাচ্চাদের কোনো মাথাব্যথা নাই। ১০-১৫ মিনিট পর পর লাইন ডিসকানেক্ট হয়া যায়। ৫ মেগাবাইটের একটা সফটওয়্যার ডাউনলোড কর্তে জান বাইর হওয়ার দশা। অভিযোগ জানাইতে গেলে প্রথমে তারা বলবে ১ চাপুন, তারপর বলবে ৩ চাপুন, এরপর বলবে ৬ চাপুন (এই পর্যায়ে ওই কন্ঠধারীরেই (চা) পুন মারার তীব্র ইচ্ছা জাগে), যাহোক তারপরে ওদের কী এক্টা প্যাকেজ বাজারে আইসা বাল ফেলছে তার বর্ণনা শুনাইবো। ওইদিকে চায়নার ২ নম্বরী কোম্পানি গো লগে তারা বাঁধছে গাঁটছড়া। আমজনতারে তারা ওয়্যারলেস মডেম খাওয়াইতে চায়। সেই মডেম কিনে চোখে আন্ধার দেখি। হেল্পফাইল দূরের কথা, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নামগন্ধও থাকে না মডেমের গায়ে।

এক্টেল আরেক চুতিয়া। একসময় তাদের কাস্টমার কেয়ারের গরমে অনেক গ্রাহক অন্যদিকে যাইতে বাধ্য হৈছে। এখন তারা গ্রাহকের পিছন পিছন ঘোরে। সামান্য এক গুনগুন না ধুনপুন বাজারজাতকরণের লিগা রীতিমতো গ্রাহকের পায়ে ধর্তেছে। দুইদিন পর পর এক সুকন্ঠী (ভুটকিই হবে!) ফুন কৈরা জানতে চায়, আপনি কি ওয়েলকাম টোন সেট করতে চান স্যার? আমার বিরক্তি লাগে। আমি প্রতিবারই সাফ জানায়া দেই, না দরকার নাই ভাই। তারপরও তারা ফুন করে। কোন্দিন ওদের পুন মেরে দেই ঠিক নাই।

টেলিটকে কল কর্লে রীতিমতো বোমাবাজির মুখে পড়তে হয়। টাং-টুং গুড়ুম-গাড়ুম শব্দ শুনি এখান থিকা ওইখানে ফুন কর্লেও। বিটিটিবির সমস্ত অবকাঠামো আর প্রযুক্তিগত সুবিধা পাইয়াও টেলিটক বালও ছিঁড়তে পার্তেছে না।

ওইদিকে আবার ওপেনসোর্সে ভরসা রাখনের মতো অবস্থা এখনো হয় নাই। ভালো মানের সফটওয়্যার নাই বললেই চলে। এখনো পেশাদারি কাম ওইগুলা দিয়া চলে না। হার্ডকোর ইউজার হওনের পরও ওপেন অফিস ইউজ কর্তে গিয়া রণেভঙ্গ দিছি। ওপেনসোর্স আসলে অ্যামেচারদের টেস্টিংয়ের জায়গা।

এক্টা টিপস দেই। যারা এইচপি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তারা ওইটাতে একইসঙ্গে ভাতও রান্না কর্তে পার্বেন। ল্যাপটপের কাম শেষ হৈলে ব্যাটারির সাইডের উপ্রে জাস্ট ভাতের ডেকচিটা রাখতে হৈব। এইচপির প্রতিষ্ঠাতা দুইজন মনে হয় মৈরা গেছে। নতুনগুলারে আমি চিনি না। ওইখানে কার পুন মারা যায় এক্টু পরামর্শ দেন তো?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৩:১৬
১১৬টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×