স্বজনের মৃত্যু, তার সাথে নামীদামী হাসপাতালের মোটা অঙ্কের বিল।
বত্রিশটা দিন স্ত্রী আর সন্তানদের কিভাবে গেছে আত্মীয়রা পুরোটা বোঝেনি।
মৃত্যু সংবাদে আত্মীয়, কলিগ, প্রতিবেশী সবারই চোখ ভিজেছিল,
কিন্তু চোখ মুছে স্বাভাবিক হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না,
কারণ কারো জীবন যুদ্ধ তো থেমে নেই।
বহুদিনের সাজানো সংসার, দুঃখরা কমই হানা দিয়েছিল।
কে ভেবেছিল অপ্রত্যাশিত আঘাত সব কিছু তছনছ করে দেবে।
মৃতের স্ত্রীর মুখের দিকে তো তাকানো যায় না।
পিতৃহারা কিশোর ছেলে দুটোকে সান্ত্বনা দিতে চোখে জল এসে গেলো।
ছোট ছেলে দুটো পারবে কি জীবন যুদ্ধে নামতে?
সময়ই সব বলে দেবে, যুদ্ধ যে ওদের করতেই হবে।
সব মৃত্যুই কষ্ট দায়ক, লাইফ সাপোর্টের মৃত্যু আরও বেশী।
দুইবার মৃত্যু সংবাদ কে শুনতে চায়, কিন্তু শুনতে তো হোল।
প্রথম সংবাদের পর সুসংবাদ হিসাবে জানা গেলো পালস পাওয়া গেছে।
আবার আশার আলো জ্বলে উঠলো সবার মনে।
এক ঘণ্টা পরে ডাক্তার বলল এটাই চূড়ান্ত রায়, আর পরিবর্তন হবে না।
এই শহরে প্রতিদিন এরকম কত মৃত্যু হয়,
সব মৃত্যুর খবর যদি নিতে হত, সবার জীবন থেমে যেত।
মৃত্যু তো আসবেই, আসুক,
কিন্তু মৃতের ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা যেন মনে বল না হারায়,
মৃত ব্যক্তি অন্য জগতে সুখে থাকুক,
তার একটাই কামনা, স্বজনেরা ভালো থাকুক।