আওয়াজ ও বোতল দুই বন্ধু বাটপার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফালতু ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। দুজনের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কথা হচ্ছিল।
আওয়াজঃ আচ্ছা দোস্ত তোর কাছে কি সিজান স্যারের ‘ভালোবাসার ৫০১ টি উপায় ও ছ্যাকা প্রতিরোধ’ বইটা আছে?? বইটা না আমার দরকার। ওখান থেকে ভালবাসার ৪২০ নম্বর উপায়টা পড়া লাগবে, ওটা পরীক্ষাতে আসবেই। আর বইটা ও না market out’।
বোতলঃ হ্যা, আমার কাছেতো আছে কিন্ত বইটাতো দেওয়া যাবেনা, বইটা কেনার সময়ই দোকানদার আমাকে বইটা অন্য কাউকে পড়তে দিতে নিষেধ করেছে। আর আমিতো শুধু ছ্যাকা chapter ই পড়ছি। ওখান থেকেই must common পরবে।
অতঃপর আওয়াজ শুধুমাত্র ছ্যাকাই ভালোভাবে শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলো।
পরীক্ষার দিন সকালঃ
বোতল সিজান স্যারের বই থেকে ভালোবাসার ৪২০ নম্বর উপায়টা ৫৪ বারের মতো revision দিতে দিতে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। এটা answer করতে পারলেই স্যার তো খুশি হবেনই আর চিত্র দিতে পারলে ৭৫% marks নিশ্চিত। কিন্ত পথে এক অন্ধকার গলিতে মুখোশধারী ৩ যুবক বোতলের উপর আক্রমণ করে তার দুর্লভ বইটি ও অনেক সাধের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। বোতল খুব আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করে ঐ মুখোশধারীরা যাওয়ার পথে তার কাপড়গুলি ও খুলে নিয়ে রাস্তার ১ টা নগ্ন পাগলকে দিয়ে দেয়। নগ্ন অবস্থায় বোতলের আর পরীক্ষা দিতে যাওয়া হয়না। wallet ব্যবহার করেনা বলে বোতল ঐ অবস্থায় ও নিজেকে নিজেই বাহবা দিতে থাকে। হঠাৎ তার মনে হয় মুখোশধারীদের একজন কি আওয়াজের মতোই বিশেষ ভঙ্গিতে হেঁটে গেল!!!!
অন্যদিকে আওয়াজ সিজান স্যারের বই থেকে নকল করে পরীক্ষা পাশ করে। অতঃপর সে তার নিজ এলাকায় একজন বিচারক (মহাজন) হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এলাকার সহজ-সরল মানুষগুলিকে ঠকিয়ে নানানভাবে ফায়দা লুটতে থাকে। কিন্ত ধীরে ধীরে তার সততা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অতঃপর এক শীতের দুপুরে পাটক্ষেতের মধ্য আওয়াজ হাতেনাতে ধরা পড়ে। তখন সে সালিসির মাধ্যমেই সব নিষ্পত্তি করতে চাইলে, তাকে কেন্দ্র করে এক সালিস বসে, যেখানে আরো ৩ যুবতি তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রেপ কারার অভিযোগ আনে। ফলে সালিস এক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে। সালিস আওয়াজকে খোঁজাকরন করে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয়। আর আওয়াজ তখন তার বুকে হাত রেখে ‘all is well, all is well, all is well.....................’ বলে চিৎকার করতে থাকে। গল্পের এখানেই সমাপ্তি।
শিক্ষণীয়ঃ সততাই উৎকৃষ্ট পন্থা।
সতর্কতাঃ
যদিও মুখোশধারী যুবকেরা এখানে অন্ধকার গলিতে মোবাইল কেড়ে নেয়, আপনার কাছের কোন বন্ধু বা পরিজন কিন্ত এরকম ঘটনা দিনের আলোতেই আপনার অন্যমনস্কতার সুযোগে ঘটাতে পারে। তাই চোখ-কান খোলা রাখুন দিন-রাত সবসময়। এক্ষেত্রে রাতের বেলায় Mr. Bean method অনুসরণ করা যেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
ইহা সম্পূর্ণরুপে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নয়। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।