“বুকের ভেতর আমি একরাশ ঘৃণা লালন করি- জ্বালিয়ে রেখেছি আগুন। সব সময় আমার বাচ্চাদের ভেতরে ঘৃণাটা ঢুকিয়ে দেই। এটা আমি সারাজীবন করে যাব, আমার ভেতরের আগুন আমি নেভাতে দেব না।”
গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারিতে সিলেটের স্কুল শিক্ষিকা নূরজাহান মানতাসা’র ফেসবুক স্ট্যাটাস এটি।
তারপরে কেটে গেছে অনেকটা সময়। প্রোপাগান্ডা আর সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পে ধর্মান্ধতা আর সাম্প্রদায়িকতা অদম্য হয়ে উঠলো। সুশিলতা আর আধুনিকতার মুখোশ খসে পড়লো সময়ের আবর্তে। আস্তিকতার সার্টিফিকেট আর বেহেশতের ভিসার চাহিদা রাতারাতি বেড়ে গেল দুম-দাম। উত্থান ঘটলো তরমুজ লোভী বিপ্লবীদের, সহজ পথে ঈশ্বর ভক্তি প্রদর্শনের লজ্জাস্কর ও প্রতারণামুলক প্রচেষ্টা সমাজের অধিকাংশ মানুষের মানবিক ও ধর্মীয় দৈন্যতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। নষ্টদের পিছেই ঘুরতে থাকলো মূর্খেরা। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নাবালকদের নির্বুদ্ধিতায় নষ্ট হলো কিছু হৃদ্যতার সম্পর্ক।
কিন্তু দিন শেষে আদর্শের ই জয় হয়। পাওনা বুঝে পায় সকল পাপী, গ্লানীর মুক্তি ঘটে নির্ধারিত নিয়মে। অসাম্প্রদায়িকতা ও থাকে অটুট। স্বরস্বতী দেবীর মণ্ডপ বানায় হিন্দু-মুসলিম একসাথে; রমযান আর ঈদের চাঁদ দেখে মুসলিম বন্ধুটির বাড়ি যায় হিন্দু বন্ধুটি ও। পরিশুদ্ধ হয় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা। নষ্টরা কোণঠাসা হয় নাকি একাকীত্বে ভোগে সে খবর কেউ রাখেনা। জঞ্জাল সাফ করে নির্মলতায় বসবাস অভ্যাস থেকে অধিকারে দাঁড়ায় ততোদিনে...