ব্যোমকেশ পর্দায় আসেন ১৯৬৭ সালে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে উত্তম কুমারের মধ্যে।এরপর ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে এবং সিনেমাহলের পর্দায় আসেন আমাদের মাঝে।আপনারা যদি ব্যোমকেশ মুভি গুলোতে সময়ের ক্রমানয়ে দেখতে থাকেন,তাহলে কলকাতার ছবি যৌন বিপ্লবের ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
যৌনতা ব্যাপারটা দিনদিন যে খোলামেলা হচ্ছে তা বুঝা যায় শেষ ব্যোমকেশ ছবি ''হর হর ব্যোমকেশ'' চলচ্চিত্রে।শরদিন্দু ব্যোমকেশের যৌন জীবন নিয়ে যে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছিল তা অরিন্দম তা প্রকাশ্য করে দিলেন।
কিন্তু শেষ গুলাগুলি দৃশ্য ব্যতিত ছবিতা বেশ বেড়েই ছিল।ঠিক সেই সময় কে ক্যামেরাবন্ধী করেছেন অরিন্দম,তখনকার ভারতীয় রাজনীতি নিয়ে হালকাপাতলা আলাপ,দাঙ্গার বিষ ঢুকার প্রারম্ভ সময় অঙ্কন করেছেন চমৎকার ভাবে।কিন্তু সবচাইতে মজার ব্যাপার ছিল রহস্যের উপস্থাপন।শেষ দৃশ্য না দেখা পর্যন্ত ক্রিমিন্যাল কে বুঝতেই পারবেন না।এক্ষেত্রে ভালই খেল দেখেয়েছিন অরিন্দম।
এছাড়া ছবির আর মজার বিষয় ছিল সংগীত।আমি বলতেই বাধ্যি হচ্ছি আবহ সঙ্গীত এক কথায় দুর্দান্ত ছিল।ফলে চোখে ছবিটি আর চমৎকার ও বাস্তবময় হয়ে পড়ছে।
চাঁদের কলঙ্ক থাকে সেই কথা প্রমাণ করেছেন অরিন্দম।শেষ গুলাগুলি দৃশ্য যে একদমই হাস্যকর হয়ে পড়ছে তা এক্কাবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কিন্ত গোয়েন্দা ছবি হিসেবে ''হর হর ব্যোমকেশ'' সুন্দরই এবং অরিন্দম ব্যোমকেশ ছবির ভিন্নতা ও এনেছেন।এটা স্বীকার্য।
ত,আর দেরী কেন ??দেখতে বসে যান,ব্যোমকেশ নিয়ে নতুন ছবি ''হর হর ব্যোমকেশ''।এই গরমে যা আপনাকে ভালই স্বস্তির অনুভূতি এনে দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫