
আয়নাঘর থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি হয়ে বর্ণনা করেন তাকে আটকের দিন কেমন আচরণ করেছিল সাদা পোশাকের বিশেষ বাহিনী। বর্ণনা করেন কীভাবে কাটিয়েছেন আয়নাঘরে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তিনি।
তার কয়েকটি দাবির মধ্যে রয়েছে-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস যেন জনগণের মাঝে তুলে ধরা হয়, জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয় এবং দেশের সংবিধান যেন নতুন ভাবে লেখা হয়। যারা দেশকে নতুনভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাদের যেন সম্মানিত করা হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোনো রকম জরিপ ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধের শহিদের সংখ্যা প্রকাশ করেন। একটা যুদ্ধে কত মানুষ মারা গেলেন তার কোনো সঠিক সংখ্যা জাতি এখনো জানে না।
শহিদের সংখ্যা নিয়ে একটি জরিপ হয়েছিল উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, একটা জরিপ হয়েছিল যেখানে ২লাখ ৮৬ হাজার শহিদের সংখ্যা জানা গেলেও শেখ মুজিবুর রহমান ৩ লাখ বলতে গিয়ে ৩ মিলিয়ন বলে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার আযমী বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্রিত করারজন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী গত ৬ আগস্ট মুক্ত পান আয়নাঘর থেকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী মুক্ত হয়েছেন।
ওকে খামোখাই আয়না ঘরে রাখা হয়নি । সে নিশ্চয়ই সেনাবাহিনিতে এই জাতিয় সঙ্গীত বদল , সংবিধান সংশোধন ইত্যাদি নিয়ে হইচই করেছিল ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



