সম্প্রতি সময়ের অন্যতম আলোচিত যুবক, ভিপি নুরুল হক (নুরু) রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, গনতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় যে কেউ শর্ত পূরন করে রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে, নুরুল হক নুরু কে আমার ব্যাক্তিগত অভিনন্দন, তবে রাজনৈতিক দল জনপ্রিয় করতে হলে নুরুকে দেশের যুবকদের চাওয়াগুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে, এ দেশের যুবক সমাজের অধিকাংশের দাবি দলে পরিবারতন্ত্রের কাঠামো চলবে না।
বাংলাদেশের দিকে এই মূহুর্তে তাকালেও দেখা যাবে, পরিবারতন্ত্র নামক একটি দানব দেশকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে শেষ করে দিচ্ছে। তাই নুরুল হক নুরুর রাজনৈতিক স্লোগান তুলতে হবে,
"পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক, দলে গনতন্ত্র মুক্তি পাক" তাহলে যুবক সমাজ রাজনীতিমুখী হবে, নুরুর দলকে গ্রহণ করার সম্ভাবনা বাড়বে।
দলের গঠনতন্ত্র মূলত দলের রাজনৈতিক দর্শন প্রকাশ করে, নুরুর দলের প্রার্থী বাঁছাইয়ের জন্য আমার কিছু বক্তব্য।
এক, দলের সভাপতি পদে কোন ব্যাক্তি দুইবারের বেশি থাকতে পারবে না, মেয়াদ হবে ছয় বছর (তিন বছর পর পর দলের কাউন্সিল ধরে) বয়স ৫০-৭০ মধ্যে থাকতে হবে।
দুই, নির্বাচনের আগে দলের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য নাম ঘোষণা করতে হবে, যিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ঘোষিত হবেন তিনি দলের প্রধান হিসাবে থাকতে পারবেন না।
তিন, প্রধানমন্ত্রী পদ ও রাষ্ট্রপতি পদে কেউ দুইবারের বেশি থাকতে পারবে না। যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি কখনো রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে পারবেন না।
চার, যে কোন নির্বাচনে কোন প্রার্থী দুইবার পরাজিত হলে সে কোন নির্বাচনে আর দলের মনোনয়ন পাবেন না। (প্রধানমন্ত্রী আর রাষ্ট্রপতি পদ বাদে দলের মনোয়ন নিয়ে যে কেউ দুইয়ের অধিকবার লড়তে পারবেন)
পাঁচ, প্রতিটি উপজেলা থেকে একজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি "দলের নীতি নির্ধারক প্যানেল করতে হবে, এই প্যানেলে ভোটের মাধ্যমে এমপি, মেয়র, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে, ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে সব, এক ভোট বেশি যিনি পাবেন তিনি প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত হবেন। (উপজেলা প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন দলের নিবন্ধিত স্থানীয় সদস্যদের ভোটে, বার্ষিক নির্দিষ্ট দল পরিচালনা চাঁদা দিয়ে যে কেউ সদস্য হতে পারবে, তবে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের সদস্য হতে পারবে না, তিন বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে, স্থানীয় সকল নির্বাচনের প্রার্থী বাঁছাই তার উপর ন্যাস্ত থাকবে, তার সিধান্তই চুড়ান্ত)
ছয়, দলের যে কোন পদের প্রার্থী ও নির্বাচনের প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে সদস্য পদের বয়স তিন বছর হতে হবে। সরকারি চাকুরিজীবীরা অবসরের দুই বছর পর দলের সদস্য হতে পারবে।
যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, একদিন তাদের জয় আসবেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬